Ads 468x60px

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০

বিজয়ের দিনে প্রতিজ্ঞা

আজ বিজয় দিবস। মহান বিজয় দিবস। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের বিজয়ের দিন। আজ আমাদের উচ্ছ্বাসের দিন, আজ আমাদের সেই কৃতী সন্তানদের কথা স্মরণ করার দিন। যাদের আত্নত্যাগে আমরা পেয়েছি নিজের একটি দেশ, মাতৃভাষায় কথা বলার ও চর্চা করার অবাধ স্বাধীনতা। সেই দিনে কলুষিত মনকে বিশুদ্ধ করার শপথ করি। মনের যত জঞ্জাল সব পরিষ্কার করে বিশুদ্ধ জীবন যাপনের প্রতিজ্ঞা করার উপযুক্ত সময় হতে পারে আজই।

আসুন, ঝেড়ে ফেলি সকল ময়লা-আবর্জনা, শুধু ঘর থেকেই নয় মন থেকেও। আজকে শপথ করি আর কখনো মিথ্যা বলবো না, প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করবো যার দ্বারা অপর উপকৃত হবে। সময় নষ্ট করবো না অপ্রয়োজনীয় কাজে, সৃজনশীল কিছু করবো। মানুষকে সৎ উপদেশ, পরামর্শ দেব। স্ব স্ব ধর্মানুযায়ী চলে জীবনটাকে আত্মিক প্রশান্তি দিতে সচেষ্ট হব। অকারণে প্রাণী হত্যা করবো না, কেউ অতিথি পাখি বিক্রি করলে তাকে অন্য জীবিকার উপায় বাতলে দেব। দেশের ট্রাফিক আইন মেনে চলবো, বৃদ্ধ, অসুস্থদের রাস্তা পারে সহায়তা করবো। সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে চেষ্টা করে যাব।

পাশাপাশি নিজের টেকি জীবনকে জঞ্জালমুক্ত করবো।  যে কম্পিউটার চালাচ্ছি সেখান থেকে অবৈধ অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশান ফেলে দেয়ার এটাই হতে পারে উপযুক্ত সময়। আর কারো কাছে চোর উপাধি পেতে রাজি নই, এ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে সবাইকে। তবেই না ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চেহারা ফুটে উঠবে সকলের কাছে।

সর্বোপরি বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট হই, আজই হোক এ যাত্রার প্রথম দিন।

শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১০

শাহরুখ খানের কনসার্ট ও নিজস্ব মত

আমি নিজেকে বাংলাদেশী বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। এর কয়েকটি কারণ হতে পারে। এক, আমার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে তাই জন্মভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা; দুই, একাত্তরের রক্তক্ষয়ী ইতিহাস দেশের প্রতি মমত্ববোধ বহুগুণ বাড়িয়েছে; তিন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কারণ তা হলো আমার ভাষা। বাংলায় আমি যেভাবে কথা বলতে পারি অন্য কোন ভাষায় তা পরিনা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভালো ইংরেজী শিখতে পারা সৌভাগ্যের ব্যপার। আমি নিজেকে সেসব সৌভাগ্যবানদের একজন মনে করিনা এবং আমার ইংরেজীও অতোটা সমৃদ্ধ নয়। এসব বলার প্রেক্ষাপট ১০ ডিসেম্বর বৈশাখী টিভিতে হওয়া কিং খান কনসার্ট।

গত কয়েকদিন ধরে চলা শাহরুখ খানের কনসার্টের খবরে কান, চোখ বিরক্ত হলেও একটা আগ্রহবোধ আমার মধ্যে কাজ করছিল। শাহরুখ বাইরের দেশে কনসার্টে যা করে তা কি এখানেও করবে ? সেটা জানার কৌতুহল এবং কিঞ্চিৎ হলেও অনুষ্ঠান কেমন হয় তা দেখার আগ্রহে বৈশাখী টিভির সামনে বসি। আমি ভারতের অন্যান্য অ্যাওয়ার্ড শো দেখেছি (অবশ্যই টিভিতে), তাই তারা (রানী, ইশা, অর্জুন) কেমন পারফর্ম করবে তা অজানা ছিল না। অনুষ্ঠান শুরু করতে দেরী হওয়া, কুমার বিশ্বজিৎ ও শাকিব খানের অনুষ্ঠানে অংশ না নেয়া ছিল প্রত্যাশিত। এদেশে ঠিক সময়ে যে কিছুই হয় না। একসময় অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং নাচ শুরু করেন শেফালি জারিওয়ালা। এই মেয়ে কিছু বছর আগে 'কাঁটা লাগা' নামক হিন্দী মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে মিডিয়ায় আসে। বলে রাখি সেসময় আমি নিয়মিত হিন্দী মুভি, মিউজিক ভিডিও দেখতাম। এরপর এই মেয়ে আর কি করেছে জানি না। শেফালির পোষাকে অশালীন কিছু পাইনি, যদিও অনেকে হয়তো সুড়সুড়ি অনুভব করতে পারেন। অবাক কান্ড হলো ম্যালাইকা অরোরা খানের মূল গান 'মুন্নি বদনাম'-এও অশালীনতা খুঁজে পাইনি। এরপর একে একে এলো ইশা কোপিকার, অর্জুন রামপাল, রানী মুখার্জি। তারা অন্যান্য শো-তে যা করে এখানেও তাই করলো। রানীর পোষাকতো আরেকটি শো-তে করা তার পারফর্ম্যান্সের পোষাক। রানীর মুখে বাংলা শুনে আগত অনেক দর্শক বিমোহিত হয়ে গেল। লক্ষ্য করলাম তার বাংলায় কিছুটা আড়ষ্টতা, হয়তো হিন্দীময় পরিবেশে থাকার কুফল। এরপর দেবাশীষ বিশ্বাস শুরু করলেন শাহরুখ বন্দনা। মানুষের অষ্টম ধর্মের নাম নাকি শাহরুখ খান (!!!)। তিনি মঞ্চ কাঁপাতে আসছেন, দেবাশীষ তাকে দেখেছেন এবং নিজে ধন্য হয়েছেন। এখন দর্শকও তাকে দেখে ধন্য হবেন। এলেন শাহরুখ, নাচলেন তার হিট গানে। উন্মত্ত দর্শক নাচলেন, শাহরুখে সাথে থাকা স্বল্পবসনা নৃত্য শিল্পীদের দেখে চোখ জুড়ালেন। আর আমি বিব্রত বোধ করলাম টিভির সামনে বসেই। এরপর বোম্বে ভাইকিংস খ্যাত নীরাজ শ্রীধর কিছু হিন্দী গান গাইলেন। সময় কাটানো আর কি, সাথে ছিল লাল রঙের প্যান্ট পরিহিত নীরাজের লঙ্ফ-ঝম্ফ। মন্দ হয়নি দর্শককে বাঁদর নাচানো। এরপর আবার শাহরুখ এবং আমার গল্পেরও শুরু এখানে।

শাহরুখ সচরাচর যা করেন, অর্থাৎ দর্শককে মঞ্চে ডাকেন মজা করার জন্য। এখানেও তাই করলেন। এক যুগলকে ডাকলেন রোমান্সের গুরু রোমান্স শেখাবেন বলে। খুশিতে গদগদ হয়ে যুগল মঞ্চে উঠলেন, বিশেষ করে রমণীর খুশি যেন বাঁধ ভাঙছিল। শাহরুখ বলে কথা। মঞ্চে শাহরুখ তাদের ভালোবাসা শেখালেন, মেয়েটিকে চুমো খেলেন (ছেলেটিও বাদ থাকবে কেন ?)। কিছু ফান করে ছেড়ে দেয়ার আগে আবদার জানালেন অনেকগুলো বাচ্চা জন্ম দেয়ার; তার নাইট রাইডার যে মেয়েদের মতো খেলছে, তাদের জন্য কিছু খেলোয়াড় দরকার! মেয়েটিও খুশিতে আত্মহারা এসবে। খান সাহেব শালা বলেও গালিগালাজ করলেন তাদের, যা সে ছেলেটি শিখিয়ে দিয়েছিল। দেখলাম, আরেকবার বিব্রত হলাম।

এরপর এলো আরো দুই জন। একজন হিন্দী, বাংলা ছাড়া কিছুই জানেন না। অন্যজন আবার এক ধাপ উপরে, তিনি বাংলা ভালো জানলেও ইংরেজীতে সমস্যা এবং হিন্দী ঘৃণা করেন। তিনি আবার শাহরুখের জন্য আনা বোতল থেকে পানিও খেলেন, শাহরুখকে হিরু হিরু বলে জানালেন শাহরুখের বাংলা জানা জরুরী। শাহরুখ ভদ্রলোকের অবস্থা বুঝে বৌয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। এবার যিনি এলেন তার ইংরেজী আরো করুণ। এক রাশিয়ান তরুণীকে নিয়ে পর্বে তিনি যে বাক্য ছাড়লেন তা দেখে যে কেউ লজ্জা পাবে। আমি তার কথায় যতোটা না লজ্জিত হয়েছি তার চেয়ে বেশী হয়েছি সে তরুণীর পোশাক দেখে। তার অন্তর্বাস দেখা যাচ্ছিল এবং তা দেখানোর জন্যই কিনা সে একটা ভঙ্গিমা করলো। হায় বাঙালী, টাকা দিয়ে এসব দেখে। এদের পরের জন আবার স্বপ্ন দেখেছিল শাহরুখের সাথে সাক্ষাতের, তার স্বপ্ন সেদিন পূরণ হলো। সে আবার আব্দার করলো তার ভাইকে আনার জন্য। শাহরুখ তা এড়িয়ে গেল, তারপর নাচানাচি করার সময়ও ফিল্মে কাজ করার আব্দার। এবারও খান সাহেবের না। এরপর শাহরুখ বিশ্রাম নিয়ে আবার নাচানাচি করলেন সবাইকে (অন্যান্য সহশিল্পীদের) নিয়ে। তার বিশ্রামের সময় নীরাজ আবার এসেছিলেন এবং টুইস্ট গেয়ে বানর নাচ দেখিয়েছিলেন।

কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমরা কি দেখলাম ? বিনোদন, দুই ঘন্টার বিনোদন। যাতে ছিল কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি, ভাষার অপব্যবহার, অশালীন পোষাকের প্রদর্শনী। কোটি টাকা দিয়ে আমরা এই কিনলাম ? আবার অনেকে হাজার টাকা এমনকি লাখ টাকা খরচ করে হলেও শাহরুখের কনসার্টে গিয়েছেন। টিভি পর্দায় একজন উৎসুক অভিনেত্রীকে শাহরুখের সাথে নাচানাচি করার আকুলতা দেখেছি, দেখেছি সমাজের গণ্যমান্য অনেককেই। যে মাসে আমাদের দেশ বিজয় অর্জন করলো সে মাসে আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতি আমদানী করেছি। তাদের নাচন দেখে হাততালি দিয়েছি, হিন্দী গানের তালে মাথা দেহ সবই নাচিয়েছি। অকাতরে ঢেলে দিয়েছি হাঁড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পরে উপার্জিত টাকা, স্রেফ কয়েক মিনিটের নাচ-গান দেখার জন্য। আখেরে লাভ হলো কার ? যারা শাহরুখকে দেখলাম তাদের নাকি শাহরুখের ? মাত্র কয়েক ঘন্টার মূল্য যে এত কোটি টাকা তা কয়জন স্বপ্নে ভেবেছিল ? যার টাকা আছে সে খরচ করবেই, আমাদের কি। শুনেছি খান সাহেব নাকি দুই কোটি টাকা পেয়ে শো শেষে এক পরিবারের জন্মদিনের পার্টিতেও গিয়েছিলেন।

সেলুকাস সাহেবকে টানবো না, নিজেই দীর্ঘশ্বাস ফেলি আর বলি বাঙালির শিক্ষা হবে কবে ? শিক্ষার দরকার নাই, যাদের টিভিতে হিন্দী সিরিয়াল, গায়ে হিন্দী ছবির নায়িকার নামে পোষাক, নাম হিন্দী ছবির নায়কের নামে তাদের কাছ থেকে আর কীইবা প্রত্যাশা করা যায় ? সময়ের অপচয় করলাম, আমার সময় অনুষ্ঠান দেখে, আপনার সময় এ লেখা পড়িয়ে।

দু:খিত।

রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১০

শাহরুখ খানের শো ও আমাদের কিং খান

সন্ধ্যা রাতে লিখতে বসলাম একটা বিষয় মনের ভিতর খচখচ করছে তাই। কদিন পত্র-পত্রিকায়, রাস্তার বিলবোর্ডে ভারতের সিনেমার এক নায়কের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। টিভিতে আসছে বিজ্ঞাপন। তিনি শাহরুখ খান। বাংলাদেশে আসবেন, ধন্য করবেন আমাদের। আমরা তাকে দেখব, নিজের গায়ে চিমটি কেটে বলবো “এই যা, স্বপ্ন দেখছি না......উমা এ যে শাহরুখ.........”। তিনি কিং খান, বলিউড বাদশা।

হলিউডের আদলে ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাণস্থলের নাম দেয়া হয়েছে বলিউড, নকল প্রিয় বাঙালী এটাও রপ্ত করেছে। এফডিসি হয়েছে ঢালিউড। শুধু তাই নয়, নায়কদের নামেও রয়েছে বলিউডের প্রভাব। ছোটকালে দেখেছি সালমান শাহ, আমিন খান একটু বড় হয়ে দেখলাম শাকিল খান, তরুণ কালে দেখলাম শাকিব খান। ঢালিউড খানে খান খান। এর মধ্যে সালমান খানের নামে টিভি নাটকের ইমন হয়ে যায় সালমান শাহ। এখন আবার নায়কের বড্ড অভাব। কোন নায়ক নাকি হিট, সুপার হিট ছবি উপহার দিতে পারে না। যা পারে তা হলো ফ্লপ, সুপার ফ্লপ। একজন আবার ব্যতিক্রম। তিনিও খান, আমাদের শাহরুখ খান। নাম তার শাকিব খান। আবার ক্রিকেটার সাকিব নয়, উচ্চারণে ও বানানে পার্থক্য থাকলেও অলস আমরা অনেকেই দুটোই “শ” উচ্চারণ করি। যেন “বিশ” ও “বিষ”। তো সেই শাকিব খান নাকি যে ছবিতে থাকবেন সেটা হিট, ভাববেন না আমি বাংলা সিনেমার পোকা। সবই পত্রিকায় দেখা, টিভির চকচকে লিপস্টিক মাখা উপস্থাপিকার মিষ্টি কণ্ঠে শোনা। এই শাকিব খান আমাদের একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি সপ্তায় মনে হয় তার ছবি মুক্তি পায়। সেই খান আবার নিজের নামে ছবিও করেছেন, নাম্বার ওয়ান শাকিব খান। কি কাকতালীয়, শাহরুখ খানও ছবি করেছেন “মাই নেম ইজ খান”। তো এই খান সাহেব শাহরুখ বাংলাদেশে আসবেন, আর্মি স্টেডিয়াম মাতাবেন। সাথে থাকবেন রানী মুখার্জি, ইশা কোপিকার, অর্জুন রামপাল প্রমুখ। এতদিন যাদের টিভির পর্দায়, কম্পিউটারের মনিটরে কিংবা ম্যাগাজিন কভারে দেখা গেছে তারাই স্বশরীরে আসছেন, এটা অনেক ভক্তের কাছে জীবনের সেরা প্রাপ্তি। আমিও হয়তো বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতাম, শাহরুখকে দেখার জন্য নয়। ক্যামেরার সদ্ব্যবহার করার জন্য, সাথে রানী-ইশারা থাকতো বোনাস। টিকেটের দামও সবার জন্য নয়, সর্বনিম্ন যে দাম তা দিয়ে স্টেডিয়ামের কোণায় বসতে হবে। কাছে বসতে চাইলে লাখ পেরুবে, তাই ঐ ইচ্ছাটা দমন করেছি। টিভির পর্দায় দেখতে হবে শাহরুখকে নিয়ে বাঙালীর উন্মাদনা। কি লিখতে যেয়ে কি লিখছি। শাকিবের প্রসঙ্গে ফেরৎ আসি। ভদ্রলোক আমাদের একমাত্র কিং খান। তিনি শো করলে সেটা হিট, টিভিতে আসলে উপস্থাপিকার সামনের সারির দাঁতের প্রদর্শনী দেখে মনে হয় টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন। সেই শাকিব খান শো করবেন আরেক খান শাহরুখের সাথে। সেটা ভেবে অনেকেই পুলকিত, আনন্দিত, শিহরিত হয়েছিলেন। তাদের স্বপ্নে কিক মেরে (ইনসেপশন ছবির মতো) বাস্তবে নিয়ে এসেছেন আয়োজকরা। শাহরুখ খান নাকি শাকিবের সাথে পারফর্ম করবেন না। শাকিব আলাদা নাচবেন, টাইম পাস করার জন্য। ভারতের অন্যান্য শোতে যা হয়, ঐশ্বরিয়ার নৃত্যের আগে সময় পার করার জন্য বিপাশা বসুরা নাচেন। এমনটি এখানেও হচ্ছে, পার্থক্য বড় রাজার আগে ছোট রাজার আগমন ঘটবে। বিষয়টা আমার কাছে কেমন যেন লাগছে। কি দরকার হিন্দী নাচানাচির অনুষ্ঠানে আমাদের জনপ্রিয় তারকাদের এনে ছোট করার ? যারা পারফর্ম করবেন তারা এভাবে না ভাবলেও আমি ভাবছি। শাহরুখ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাইরের কারো সাথে তিনি পারফর্ম করবেন না। তাহলে কেন শাকিব খান, কুমার বিশ্বজিৎদের এখানে ডেকে আনা। নিজেদের সংস্কৃতি এভাবে বিসর্জন দিতে হবে ? কথা আর ঘুরিয়ে লাভ নেই, যা হবার হবে। আমরাও শাকিবকে নাহয় টাইম পাস পারফর্মার হিসেবে দেখব। আর দেখতে দেখতে একবারও ভাববো না রাস্তার ধারে শীতের রাতে নগ্ন গায়ে শুয়ে থাকা শিশুটার কথা, টিকেটের টাকা দিয়ে এরকম কত শিশুর মুখে হাসি ফুটাতে পারতাম সে কথা। দরকার কি, নিজের সুখ আগে, দুই দিনের দুনিয়া। আমোদ-ফূর্তি করার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে না!

শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১০

উবুন্টু-ফেডোরা রিলিজ পার্টি রিভিউ

লিনাক্সগুরুদের সাথে পরিচিত হবার যে শখ ছিল সেটা গত আড্ডায় কিছুটা মিটলেও কোথায় যেন একটা ঘাটতি ছিল। শাহরিয়ার ভাই (সামনে ভাই বলবো না, আমরা এক্স এআইইউবি গ্রাজুয়েট এবং কাছাকাছি দুটো ব্যাচ), রাসেল ভাই, এঞ্জেল ভাই, শামীম ভাই প্রমূখের সাথে ভালো করে পরিচিত হবার দরকার ছিল। আজ সেটা হয়ে গেল উবুন্টু-ফেডোরা রিলিজ পার্টিতে। অনুষ্ঠান তিনটায় শুরু হলেও আমি যেতে যেতে প্রায় সাড়ে তিনটা। রাস্তায় জ্যাম ছিল, যা অগ্রাহ্য করার ইচ্ছা থাকলেও উপায় ছিল না। তাই এ দেরী। দেখা হলো অনুপম ভাইয়ের সাথে, তারপর শাবাব ভাই, রাসেল ভাই, শাহরিয়ার, আকরাম ভাই, অসহায় ভাই (জীবন চৌধুরী) ও আরো অনেকের সাথে। কুশল বিনিময় চলার ফাঁকে এল চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি। সবাই চাচ্ছিল টি-শার্ট নিতে, কিন্তু অনাকাঙ্খিত দেরী হচ্ছিল। আলাপ ও খাওয়া দুটো একসাথেই চলছিল। রাসেল ভাই ব্যস্ত ছিলেন ছবি তোলায়। আমিও এক ফাঁকে তুললাম কিছু ছবি। নিজে অনুপস্থিত, রাসেল ভাইয়ের ছবিতে থাকতে পারি। এবার এলেন লিফোর মডু শামীম ভাই। তিনি এইচপি নেটবুক নিয়েছেন, সেটার সুবিধা-অসুবিধার লেকচার দিলেন আমাদের। আমরাও বাধ্য ছাত্রের মতো শুনলাম। শাবাব ভাই পরামর্শ চাইলেন নেটবুক সম্বন্ধে, এসার ভালো না ডেল না এইচপি এটা নিয়ে তিনি যথেষ্ঠ সন্দিহান। শামীম ভাই কি বলেছিলেন তা শোনার আগে অন্যদিকে চলে যাই। আকরাম ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো। তিনি ফটোশপ ইনস্টল করতে চাচ্ছেন, আমিও কি করা যায় পরামর্শ দিলাম। এরই মধ্যে চলে এল টি-শার্ট, ডিজাইন করেছেন অভ্রনীলদা। দুটো রঙ (সাদা ও কালো) ছিল, আমি দুটোই নিলাম। সব মিলিয়ে পাঁচটা নিলাম। বাসায় এসে দেখলাম চারটিই দিয়ে দিতে হবে। কাল এ্যামিগোজে যেয়ে আরো কটি নিতে হবে। যাই হোক এরপর কেক কাটা হলো, খাওয়া হলো। রাসেল ভাই ছবি তুললেন, অনেকেই তুললেন। তারপর একে একে অতিথিরা বিদায় নিতে শুরু করলেন, আমিও সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। সাথে এল অনিক, আমার বাসার পথেই ওর বাসা তাই নিয়ে নিলাম গাড়ীতে। অনিক আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে ইইই পড়ছে ২য় বর্ষে। মোদ্দা কথা ভালো একটা পার্টি হলো। আরিব্বাস আসল কথাই বলিনি। এটা হয়েছিল HFC তে, রাপা প্লাজায়। ওহহো আরেকজনের সাথে দেখা হয়েছে, শাহরিয়ারের হবু বউ মানে আমাদের ভাবীর সাথে।

শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১০

আশরাফুলের কান্না ও কিছু বাস্তবতা

খবর পড়লাম আশরাফুল নাকি আজকের ম্যাচ শেষে কেঁদেছে। তার টিমমেটরাই সেটা জানিয়েছে সাংবাদিকদের। দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে বোতল-তোয়ালে টানাটানির কাজ করেছে আশরাফুল। এটা নিয়ে অনেকেই দেখলাম ব্যথিত। আশরাফুলের জায়গায় আমি থাকলেও হয়তো বিব্রত বোধ করতাম। আমি বিষয়টা অন্যভাবে দেখতে চাই।

নিউজিল্যান্ডের সাথে সফল একটা সিরিজ শেষ করে তামিম আসলেও দলে জায়গা পাবে এটা আশা করেছিল শাহরিয়ার নাফিস। নির্বাচকরা তখন কূটচালে ব্যস্ত কি করে আশরাফুলকে দলে রাখা যায়। তারা এশিয়ান গেমসে আশরাফুলকে নেতা করে পাঠাল। ভুলে গেল টি-২০ তে অন্যতম সফল খেলোয়াড় অলোক কাপালীর কথা। জাতীয় দলে জুনায়েদ-রকিবুলও থাকবে আবার আশরাফুলও থাকবে। বলির পাঁঠা বানানো হলো একটা ম্যাচও না খেলতে দেয়া জহুরুল ইসলাম অমি ও সফল ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিসকে। সমালোচনা এড়াতে দল প্রকাশ করা হলো বিলম্বে। তবুও সমালোচনা হলো এবং মাথা মোটা নির্বাচকরা নির্বিকার থাকতেই পছন্দ করলেন।

কেউ কি ভেবেছেন নাফিস, অমির হৃদয় চিরে আসা দু:খবোধের কথা ? কিংবা বারবার আশায় থাকা অলোক কাপালীর একটু সুযোগ না পাওয়ার বেদনার কথা ? তাদের কান্না পত্রিকায় আসে না, আসে আশরাফুলের কান্নার সংবাদ। অথচ কি এমন গড় এই আশরাফুলের ? নির্বাচকরা কি করে শাহরিয়ার নাফিসের মতো জিম্বাবুয়ের সাথে ৬২ গড় থাকা ব্যাটসম্যানকে বাদ দেয় ?

আমার মনে পড়ছে আকরাম - বুলবুলের কথা। তারা নির্বাচকদের ভালোবাসা কখনো পাননি। কিংবা দুর্জয়, নান্নু। সময় বড় নিষ্ঠুর। সে সময়ের কাছে ধরা খেয়ে যাচ্ছে আশরাফুল - মাশরাফি। বর্তমান বড় কঠিন, নির্বোধ ব্যাটিং কিংবা ধারহীন বোলিং দিয়ে দলে টিকে থাকা বড়ই কঠিন। হয়তো সময় হয়েছে এদের বিদায়ের, তবে তা যেন হয় সাময়িক। রফিক, পাইলটদের মতো যেন আশরাফুল- মাশরাফির করুণ বিদায় না হয়। তবে বিশ্বকাপের দলে আশরাফুলকে দেখতে চাই না। মাশরাফি থাকুক, ও আশরাফুলের মতো এতো বাজে পারফরম্যান্স দেখাবে না, এই বিশ্বাস আমার আছে।

বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১০

ছবিতে বর্ডার যোগ করা

ফটোশপকে এককালে মনে করতাম সবচেয়ে সেরা ফটো এডিটিং টুল। গিম্পকে মনে হতো বাচ্চা পোলাপানের জন্য বানানো কিছু। সময় পাল্টেছে, এখন আমি লিনাক্স ইউজার। ফটোশপকেও তাই দিয়েছি বিদায়। ঐ বাচ্চা পোলাপানের মনে করা গিম্পই এখন আমার অন্যতম প্রিয় অ্যাপ্লিকেশান। ওয়েবে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে নিজেই কয়েকটি লিখেছি বিভিন্ন ফোরামে। আজকেও আরেকটি লিখব। বেশ সহজ একটি টিউটো। কি করে ছবিতে বর্ডার দেয়া যায় তা। অনেকে জানেন, আবার অনেকে জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্যই এ লেখা।

প্রথমেই যে ছবিতে বর্ডার দেবেন সেটা গিম্প দিয়ে ওপেন করে নিন।

Free Image Hosting at www.ImageShack.us

নতুন একটি  ট্রান্সপারেন্ট লেয়ার খুলুন, আমি নাম দিলাম "border"।
Free Image Hosting at www.ImageShack.us
বর্ডার লেয়ার সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Shift + b চেপে বাকেট টুল সিলেক্ট করুন। লেয়ারটি ফিলআপ করে দিন যে রঙের বর্ডার দেবেন সে রঙে (আমি দিলাম কালো)।
Free Image Hosting at www.ImageShack.us
Free Image Hosting at www.ImageShack.us

Ctrl + a চেপে বর্ডার লেয়ারটি সিলেক্ট করুন। তারপর Select -> Shrink এ গিয়ে ভ্যালু দিন (আমি দিলাম ২)। OK চেপে বেরিয়ে আসুন।
Free Image Hosting at www.ImageShack.us

এবার কিবোর্ডের Del বাটনটি চেপে দেখুন কি সুন্দর কালো বর্ডার দেখা যাচ্ছে।

Free Image Hosting at www.ImageShack.us

Ctrl + shift + s চেপে ফাইলটি সেভ করে নিন (.png or .xcf)।

ব্যস, হয়ে গেল বর্ডার।

সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১০

ফটোগ্রাফি : শুরু করার পূর্বে

আমি ফটোগ্রাফির ক-ও জানিনা। একটা পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরা আছে (Canon IXUS 100 IS) যেটা দিয়ে অতো কিছু না ভেবে ছবি তুলি। তবে ইদানিং সময়ে নতুন শখ হয়েছে ভালো ছবি তোলার। এজন্য দরকার পড়াশোনা, যেটা করার ধৈর্য কোনকালেই আমার ছিলো না। এখনও নেই, আরেকটা সমস্যা হলো শর্ট টার্ম মেমরি। আজকে কিছু পড়লে কয়দিন পরে সেটা মনে থাকে না। তাই মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। ফটোগ্রাফি নিয়ে যা পড়ছি তা লিখে রাখলে কেমন হয় ? অন্তত নিজের মতো করে ? তাই এ লেখার অবতারনা। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ প্রজন্ম ফোরামের শুভ ভাই, সামু ব্লগের ফয়সাল আকরাম ভাই, যাদের লেখা পড়ে ফটোগ্রফির অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আর কৃতজ্ঞ রাসেল জন ভাইয়ের প্রতি যার ফ্লিকার একাউন্টে থাকা মনোমুগ্ধকর ছবিগুলো আমার মনের সুপ্ত বাসনা আবার জাগিয়ে তুলেছে। বকবক না করে কাজের কথায় আসি।

প্রথম পাঠ: অ্যাপার্চার (Aperture)

ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলতে গেলে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে যার একটি হলো অ্যাপার্চার। অ্যাপার্চারের মান দিয়ে বোঝা যায় কতটুকু আলো সেন্সরে প্রবেশ করবে বা করলো। এটি হচ্ছে লেন্সের ডায়ামিটার বা পরিধি যা নিয়ন্ত্রণ করে আইরিস। অ্যাপার্চার বেশী হলে সেন্সরে প্রবেশকৃত আলোও বেশী হবে। অ্যাপার্চারের মান প্রকাশ করা হয় F-stop দিয়ে। মান বেশী হলে বুঝতে হবে কম আলো প্রবেশ করবে আবার মান কম হলে বেশী আলো প্রবেশ করবে। যেমন F2.8 বা f/2.8 এরচেয়ে কম আলো প্রবেশ করবে f/22 তে। ব্যপারটা উল্টো মনে হলেও ম্যানুয়ালি ছবি তুলতে গেলে এটা মনে রাখতে হবে। এখনকার অনেক ক্যামেরার ম্যানুয়ালে বলা থাকে অ্যাপার্চার ভ্যালু কত। সাধারণত F2.0-F8.0 টাইপের লেখা থাকে। এতে বুঝতে হবে এই ক্যামেরার সর্বোচ্চ অ্যাপার্চার F2.0 এবং সর্বনিম্ন ভ্যালু F8.0। অ্যাপার্চার যতো বেশী হবে কম আলোয় ছবি তোলা ততো সহজ হবে। কারন অল্প আলোয় অ্যাপার্চার বড়িয়ে আপনি সেন্সরে বেশী আলো প্রবেশ করাচ্ছেন। কম অ্যাপার্চার ভ্যালুতে শাটার স্পিড কম হবে আবার অ্যাপার্চার ভ্যালু বাড়লে শাটার স্পিডও বাড়বে। একটা কথা মনে রাখবেন অ্যাপার্চার কমালে ছবির শার্পনেস বেড়ে যাবে। এ নিয়ে এখন আর কথা বাড়াবো না। অ্যাপার্চারের বেসিক বলা হয়ে গেছে। এবার চলুন পরের পাঠে।

দ্বিতীয় পাঠ: শাটার স্পিড

শাটার স্পিড হচ্ছে সে সময় যে সময় পর্যন্ত আপনার শাটার খোলা থাকবে। অর্থাৎ লেন্সে আলো প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে শাটার দিয়ে। অ্যাপার্চারের সাথে এর সম্পর্ক আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়। অ্যাপার্চার ভ্যালু নিয়ন্ত্রণ করে আলো কম-বেশী করলেন। সে আলো যে সময়টুকু থাকবে সেটিই শাটার স্পিড। শাটার স্পিড মাপা হয় সেকেন্ডে, যেমন 1/1000 sec, 1/60 sec, 1/30 sec ইত্যাদি। ডিনমিনেটর (উদাহরণে 1000, 60, 30) যতো বেশী হবে শাটার স্পিডও ততো বাড়বে। আপনি যদি বেশী শাটার স্পিডে ছবি তুলতে চান তাহলে অ্যাপার্চার বাড়াতে হবে। যেমন F1.8 অ্যাপার্চারের জন্য শাটার স্পিড 1/250 sec হওয়া উচিৎ।

তৃতীয় পাঠ: আইএসও (ISO)

আইএসও বলতে বুঝতে হবে সেন্সরের সেনসিটিভিটি কত। কম মান যেমন ১০০ হলে কম আলোক সংবেদনশীল, ৪০০ হলে বেশী আলোক সংবেদনশীল। মান বেশী হলে আবার ছবিতে নয়েজ বা গ্রেইন চলে আসবে। অল্প আলোয় ছবি তোলার সময় আইএসও বাড়িয়ে নিতে হয়। যেমন মোমবাতির আলোয় কোন অনুষ্ঠানের ছবিতে আইএসও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি অ্যাপার্চারও বাড়াতে হবে (আসলে মান কমবে যেমন F1.8) আর শাটার স্পিড কম-বেশী করতে পারেন প্রয়োজন অনুযায়ী। আবার দিনের আলোয় আইএসও কমিয়ে (যেমন ১০০) ছবি তুললেই হবে, কারন যথেষ্ট আলো সাবজেক্টে পড়ছে।

এই তিনটি বিষয়কে নিয়ে যে ধারনা তার নাম এক্সপোজার। এক্সপোজার মানে হচ্ছে সেন্সরের উপর আলো পড়া। এক্সপোজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় অ্যাপার্চার, শাটার স্পিড ও আইএসও দিয়ে। ওভার এক্সপোজ মানে ছবিতে শাদার (আলো) পরিমাণ বেশী, আন্ডার এক্সপোজ মানে প্রয়োজনীয় আলো ছবিতে আসেনি (ছবি অন্ধকার দেখাবে)

অনেক বলে ফেলেছি। সামনে আরো কিছু লিখব। সে পর্যন্ত যা জানলেন তা নিয়ে পড়াশোনা করুন, ফটোগ্রাফি ভালো না বেসে পারবেন না। সৃষ্টিতেই তো আনন্দ, তাই না ?

শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১০

লিনাক্স আড্ডায় প্রথমবার

লিনাক্স ফোরামে নিবন্ধিত হবার পর তিনটি আড্ডা হলো। যার প্রথম দুটোয় উপস্থিত হতে পারিনি কিছু পারিবারিক সমস্যায়। গতকাল ২৬ শে নভেম্বর শুক্রবার ৩য় আড্ডার সময় নির্ধারিত হয় কিছুদিন আগেই। এবার যাবো বলে ঠিক করেছিলাম প্রথম দুটো মিস করে। চারটার আগেই চলে আসি টিএসসিতে। এসে দেখি মূল গেট বন্ধ। দিলাম শাহরিয়ার ভাইকে ফোন। উনি আমার কথা বুঝতে পারছিলেন না। তারপর রাসেল ভাইকে কল দিলাম। তিনি বললেন তার আসতে দেরি হবে। আরো জানালেন উতা ভাই (শাবাব ভাই) আসছেন। আমাকে বললেন লোকজন জড়ো করতে। আমি পড়লাম ফ্যাসাদে। শাবাব ভাই, রাসেল ভাই, রিং ভাই, রণদা ছাড়া আর কাউকে ভালো করে চিনি না। খুঁজতে লাগলাম শাবাব ভাইকে। তার ট্রেডমার্ক দাড়ি দেখে চিনতে পারলাম। তারপর আলাপ, পরিচয় এবং অন্যান্যদের জন্য অপেক্ষা। একে একে অনিক ভাই, রিং ভাই, আহসান ভাই, রাব্বি ভাই প্রমুখ এলেন।

অত:পর আমরা রিং ভাইয়ের পরামর্শে পকেট গেট দিয়ে টিএসসিতে ঢুকলাম। মাঠে গিয়ে বসে পড়লাম। শাবাব ভাই শুরু করলেন তার বক্তব্য। প্রাঞ্জল ভাষায় লিনাক্স বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরলেন। তার বক্তব্য শুনলাম, ভালো লাগল। শেষ সময়ে এলেন রাসেল ভাই, তখন সূর্যের আলো নেই বললেই চলে। তিনি এসেই আমাকে খুঁজলেন। আগের দুটো আড্ডায় আসিনি বলে ভেবেছিলেন এবারো আসবো না। এবার আর তা হয়নি। শাহরিয়ার ভাই বা এঞ্জেল ভাই না আসায় দ্বিধান্বিত ছিলাম চার তারিখের পার্টির রেজিস্ট্রেশন কিভাবে হবে। শাবাব ভাই রিসিট নিয়ে আসায় রেজিস্ট্রেশন করে নিলাম ১৫৫ টাকা দিয়ে। এরপর চলে আসার পালা, ইতিমধ্যেই রিংদা বিদায় নিয়ে নিলেন আমাদের কাছ হতে মোয়া খাওয়ার আহবান জানিয়ে। আমিও সবার কাছ হতে বিদায় নিয়ে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে।

আড্ডাটা মজার হলেও আসতে পড়তে হয়েছে দীর্ঘ যানজটের কবলে। যা সাময়িক বিরক্তির উদ্রেক করলেও লিনাক্স গুরুদের সাথে পরিচয়ের আনন্দকে ম্লান করতে পারেনি।

এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রথম সোনা

২৬ শে নভেম্বর ২০১০ বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় দিন হিসেবে লেখা থাকবে। এদিন দীর্ঘ ৩২ বছরের হাহাকার ঘুচে যায় ক্রিকেটের কল্যানে। এশিয়ান গেমসে ১৯৭৮ সাল থেকে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে কাবাডি যুক্ত হওয়ায় নিয়মিত পদক আসছিল কাবাডির মাধ্যমে। যদিও তা সীমাবদ্ধ ছিল রূপা বা ব্রোঞ্জে, স্বর্ণ কখনোই জেতা সম্ভব হয়নি। এবার তাও জিতলো বাংলাদেশ। কারন ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তি। দল পাঠায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা, ভারত পাঠায়নি আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য (সম্ভবত)। প্রমীলা ক্রিকেটের সংযোজনও ছিল একটা চমক। প্রথমে মেয়েরা রূপা এনে দেয় ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে, যেখানে অনুপস্থিত ছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে পুরুষদের ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়া, সেমিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। ফাইনালে ছিল আফগানিস্তান, যারা সেমিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে এসেছে।

ফাইনাল কিছু হলেও দেখেছি, টেন স্পোর্টস খেলা দেখিয়েছে। আফগানিস্তান খুব ভালো খেলেছে। আমি আশাবাদী, এরা ভালো করবে ভবিষ্যতে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা আরো বেশী ছিল। তারা আফগানদের অলআউট করতে পারেনি, আবার জয়ের জন্য শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেসদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রোমানের ব্যাটিং নতুন ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। করিম খান সাদেকের ওভারে নেয়া ২টি ছক্কাময় ১৭ রান জয় নিশ্চিত করে দেয় বাংলাদেশের। জয় জয়ই, তা যেভাবেই আসুক। ধন্যবাদ বিসিবি, ক্রিকেটারদের এবং যারা চীনে ক্রিকেট প্রচারে সহায়তা করেছেন (এরা হলেন সৈয়দ আশরাফুল হক, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মঞ্জুরুল ইসলাম ও গ্রাউন্ডসম্যান জসিম)। বাংলাদেশের গ্রাউন্ডসম্যান জসিমের প্রস্তুত করা পিচেই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, ভাবতেই গর্বে বুকটা ফুলে যায়।

জয়তু ক্রিকেট, জয়তু বাংলাদেশ।

সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০১০

যানজট ও একজনের ভাবনা

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো গরু-খাসির মাংস ঘরে ঘরে ঈদের আমেজ ধরে রেখেছে। আমার বাসায়ও তাই। ঈদ শেষ, ব্যস্ত জীবনের প্রাত্যাহিক রুটিন আবার শুরু হয়েছে। তবুও কি যেন নেই মনে হবে রাস্তায় নামলে। আমাদের যানজটের শহর ঢাকায় এখন যানবাহনের অকল্পনীয় চাপ নেই। শুরু হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। রাস্তায় নামলে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু সবসময় এমন কেন হয় না ? আমরা ইচ্ছে করলেই ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে পারি। তবে ইচ্ছেটা হতে হবে পরিকল্পিত। স্কুল-অফিসের টাইম শিডিউল পাল্টে, রাস্তায় অত্যন্ত হালকা বাস নামিয়ে, গাড়ীর লেন পাল্টে কিছুই হবে না।

কি পরিকল্পনা দরকার তাহলে ? আমি সাধারন নাগরিক হিসেবে যা মনে করি তা হলো ঢাকাতে প্রাইভেট কারের চাপ কমাতে হবে। মানুষকে অভ্যাস করতে হবে হাঁটার, প্রয়োজনে সাইকেল ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন কয়েক শ করে প্রাইভেট কার ঢাকার রাস্তায় নামছে। এটা সরকারকে বন্ধ করতেই হবে। চালু করতে হবে স্কাই রেল। আচ্ছা মানুষ প্রাইভেট কার কেন কিনছে ? স্বাচ্ছন্দে গন্তব্যে যাওয়ার জন্যই তো ? তাই যদি হয় তাহলে বিকল্প সার্ভিসগুলো এমন করতে হবে যাতে মানুষ প্রাইভেট কারে না যেয়ে পাবলিক ভেহিক্যাল ব্যবহার করে। দেশের নেতা-নেত্রীরা এসব হয়তো জানেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক চাপে তা করতে পারেন না। তবুও দেশের জন্য কিছু ত্যাগ তো করতেই হবে।

কি বলতে চেয়েছিলাম কি বলছি। নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এসব লিখতে শুরু করেছিলাম। আজকে শুনলাম এক ভদ্রলোক গাড়ী ক্রয় করা নিয়ে আরেকজনের সাথে আলাপ করছেন। তিনি মনে করেন গাড়ী কিনে লাভ নেই কারন যানজটে জ্বালানী তেল পুড়ে তার সময়ের পাশাপাশি অর্থের শ্রাদ্ধ হবে। এরচেয়ে মোটর সাইকেল ঢের ভালো। চিপা গলিতে হুট করে ঢুকে পড়া যাবে। তিনি আরো বললেন গাড়ী চালানোর রাস্তা ঢাকায় নাই, মানে রাস্তায় ইতিমধ্যেই অনেক গাড়ী। আর কতো ? সামনা-সামনি কিছু বলিনি, কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে তাকে একটা ধন্যবাদ এমন করে ভাববার জন্য। তিনি ভেবেছেন অন্তত, আর আমরা তো ভাবি না। এমন করেই যদি সরকার চিন্তা করতো !

রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১০

এবারও টিকে যাচ্ছেন রকিবুল হাসান ?

বিশ্বকাপ ক্রিকেট যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই জাতীয় দল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেকে বলবেন কয়দিন আগই নিউজিল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ, আবার দুশ্চিন্তা কেন ? আছে আছে ভালো কারণ আছে। দল নির্বাচন নিয়ে আমার মনে রয়েছে হতাশা। সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, তাতে যাচাই করা যাবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সক্ষমতা। ভালো কথা, যাচাই করুন। কিন্তু মশাই দলটাও তো হতে হবে সমালোচনা মুক্ত। সম্ভাব্য সেরা একাদশ গড়তে হবে দেশের স্বার্থেই। সেটা কি হবে ?

সমস্যাটা এখানে, আমাদের ঘুণে ধরা মানসিকতায়। আমরা সবকিছু বুঝেও অবুঝের মতো আচরণ করি। নির্বাচকেরা ভালো করেই জানেন আশরাফুল কি চিজ। আমরা যারা টিভিতে খেলা দেখি, পত্রিকার খেলার পাতায় চোখ রাখি তারাও জানি আশরাফুলের সক্ষমতা সম্বন্ধে। তিনি যখন খেলেন তখন প্রতিপক্ষ চেয়ে চেয়ে দেখে, আর আমরা দীর্ঘশ্বাস ফেলি কবে আবার তিনি এমন খেলবেন। তো সেই অ্যাশ কিউদের বিরুদ্ধে বাদ পড়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারন নৈপুণ্য দেখালেন। নির্বাচকেরাও চশমাখানা নাকের ডগা থেকে গোড়ায় তুললেন। কাকে বাদ দেয়া যায়।

নিউজিল্যান্ডের সাথে আমাদের ব্যাটসম্যানদের পারফর্ম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। সাকিব, ইমরুল, শাহরিয়ার নাফিস এ দলে ছিলেন না অবশ্য। সবচেয়ে বাজে সময় কাটিয়েছেন আমাদের হেড কোচ সিডন্স সাহেবের প্রিয় শিষ্য রকিবুল, জুনায়েদ। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটি করতে তাদের পাঠানো হয়েছে। আমিও আশায় বুক বাঁধলাম এবার তাহলে এরা বাদ পড়তে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আবার দেখলাম রকিবুলের ব্যাটে অন্যরূপ। স্ট্রাইকরেটের অসামান্য উন্নতি, যা তার চরিত্রের সঙ্গে বেমানান। অন্যদিকে জুনায়েদ ভাইজান তার ফর্ম বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। নাফিস খুব একটা খারাপ করেননি। ইমরুল ছিলেন যথারীতি ধারাবাহিক।

এবার আসা যাক দল নির্বাচনের প্রসঙ্গে। তামিম ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরছেন, আশরাফুলও ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম নিয়ে আসছেন। রকিবুলকে বাদ দিতে আবার নির্বাচকরা ভয় পান। তাহলে কে কে হবেন বলির পাঁঠা ? শাহরিয়ার নাফিস ও জুনায়েদ । একটি ম্যাচ উইনিং ইনিংস সত্ত্বেও বাদ পড়তে যাচ্ছে নাফিস। অন্যদিকে পুরো সিরিজে বিরক্তিকর ক্রিকেট খেলেও দলে টিকে যাচ্ছেন রকিবুল। তবে কি নির্বাচকেরা ঘরোয়া ক্রিকেটকেই মূল্যায়নের মানদন্ড ঠিক করেছেন ?  এখনও দল নিশ্চিত না হলেও একটি জাতীয় দৈনিক এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে।

সত্যিই কি বিচিত্র আমাদের নির্বাচকদের ভাবনা।

শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০১০

উবুন্টুতে ইনস্টল করুন বানশির নতুন ভার্সন

বানশি একটি জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার। সম্প্রতি রিলিজ হল নতুন স্ট্যাবল ভার্সন (1.8.0)। কিছু ফিচার যোগ হয়েছে যেমন- অ্যামাজন এমপিথ্রী স্টোর ও প্লাগইন, মিরো পডকাস্ট ডিরেক্টরী যা স্ট্রীমিং করতে সাহায্য করবে ইত্যাদি। অ্যাপল ডিভাইস আইফোন, আইপ্যাড, আইপড, আইটাচ প্রভৃতির সাপোর্ট, অডিওবুক ও আরো অনেক কিছু।

উবুন্টুতে ইনস্টল করার জন্য টার্মিনালে নিচের কমান্ডগুলো দিন।

[code]$ sudo add-apt-repository ppa:banshee-team/ppa
$ sudo apt-get update
$ sudo apt-get install banshee[/code]

এভাবে রিপো আপডেট করে নতুন ভার্সন ইনস্টল করতে পারবেন।

শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০১০

পৃথিবীর মত গ্রহ

পৃথিবীতে মানুষ বাড়ছে, নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ। যখন পৃথিবী নিজের সব কিছু মানুষের জন্য উজাড় করে দেবে তখন মানুষ কোথায় যাবে ? হয়তো এখন এমন ঘটবে না তবে ভবিষ্যতেও যে ঘটবে না তার নিশ্চয়তা নেই। বিজ্ঞানীরাও কিন্তু বসে নেই। তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন কিছু করার জন্য, খুঁজছিলেন পৃথিবীর মত কোন গ্রহ। তাতে কিছুটা হলেও সফল। সৌরজগতের বাইরে পাওয়া গেছে একটি গ্রহের সন্ধান যা মাত্র ২০ আলোকবর্ষ দূরে। Gliese 581 নামক একটি তারাকে ঘিরে গ্রহটি আবর্তিত হচ্ছে যার আবহাওয়া না গরম না ঠান্ডা। এটাই বিজ্ঞানীদের আশাবাদী করে তুলেছে। গ্রহটির নাম দেয়া হয়েছে Gliese 581g।



গ্রহটির ব্যাসার্ধ ও ভর পৃথিবীর চেয়ে সামান্য বেশী। মধ্যাকর্ষণ বলও পৃথিবীর কাছাকাছি। তবে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে হলেও প্রাণ ধারন করা সম্ভব। মাত্র ৩৭ দিনে সেখানে বছর হয়, অর্থাৎ একবার সূর্যকে ঘুরে আসতে তার মাত্র ৩৭ দিন লাগে। তরল পানি, পাথুরে স্থলভাগ ও সমৃদ্ধ বায়ুমন্ডল গ্রহটিকে নিয়ে আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আহ্নিক গতি কম থাকার জন্য এর এক দিকে অন্ধকার ও অন্যদিকে আলো। এর মাঝামাঝি স্থানটি হতে পারে প্রাণের উপযুক্ত আবাস। বিজ্ঞানীরা এরকম আরো গ্রহ পাওয়ার আশা ছাড়ছেন না। এখন অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই, সে গ্রহে যেতে প্রায় ২০০ বছর লেগে যাবে যদি আলোর গতির এক দশমাংশ বেগ সম্পন্ন কোন নভোযানে করে যাওয়া যায়।

গিম্পে ছবি টুকরো টুকরো করা

আজকে গিম্প দিয়ে মজার একটা কাজ করব। সময়সাপেক্ষ কাজ, তবে ধৈর্য নিয়ে করতে পারলে দারুন আউটপুট পাব আমরা। যা করব তা হল একটা ছবিকে ছিঁড়ে ফেলব। ভাবছেন কি বকছি আবোল-তাবোল, তাহলে দেখুন। সত্যিই একটি ছবি দুই টুকরো করে ফেলব আজকে। এজন্য নিলাম ল্যুসিড লিংক্স-এর ছবি। হ্যাঁ, উবুন্টুর সেই ল্যুসিড লিংক্স।

প্রথমেই নিউ ফাইল নিন যা ব্যকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করব। এর আকৃতি যে ছবিটি নিয়ে কাজ করবেন তার চেয়ে বেশী হতে হবে।  ব্যকগ্রাউন্ডকে একটু সাজানো যাক, আমি হলদে করে ফেললাম। এজন্য প্রথমে ফিল বাকেট টুল দিয়ে লেয়ারটি হলুদ করে  Filter > Artistic > Apply Canvas এ ক্লিক করুন ব্যকগ্রাউন্ড লেয়ার সিলেক্টেড অবস্থায়। ডিফল্ট সেটিংস রাখুন।

আজকে গিম্প দিয়ে মজার একটা কাজ করব। সময়সাপেক্ষ কাজ, তবে ধৈর্য নিয়ে করতে পারলে দারুন আউটপুট পাব আমরা। যা করব তা হল একটা ছবিকে ছিঁড়ে ফেলব। ভাবছেন কি বকছি আবোল-তাবোল, তাহলে দেখুন। সত্যিই একটি ছবি দুই টুকরো করে ফেলব আজকে। এজন্য নিলাম ল্যুসিড লিংক্স-এর ছবি। হ্যাঁ, উবুন্টুর সেই ল্যুসিড লিংক্স।

প্রথমেই নিউ ফাইল নিন যা ব্যকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করব। এর আকৃতি যে ছবিটি নিয়ে কাজ করবেন তার চেয়ে বেশী হতে হবে। ব্যকগ্রাউন্ডকে একটু সাজানো যাক, আমি হলদে করে ফেললাম। এজন্য প্রথমে ফিল বাকেট টুল দিয়ে লেয়ারটি হলুদ করে Filter > Artistic > Apply Canvas এ ক্লিক করুন ব্যকগ্রাউন্ড লেয়ার সিলেক্টেড অবস্থায়। ডিফল্ট সেটিংস রাখুন।




নতুন একটি ছবি নিয়ে সেটি ব্যকগ্রাউন্ডে পেস্ট করুন, আমার ক্ষেত্রে ল্যুসিড লিংক্স। ছবির নাম দিন right, ও হ্যাঁ ফ্লোটিং লেয়ারে রাইট ক্লিক করে নিউ লেয়ার সিলেক্ট করলে নতুন লেয়ার তৈরী হবে।




এবার লেসো টুল নিয়ে মাঝ বরাবর কেটে ফেলুন, যেমনটি আমি করলাম।




এবার Select > Distort এ ক্লিক করে OK করুন। ডিফল্ট সেটআপ রাখুন।


Ctrl + I চেপে ইনভার্ট সিলেকশান করুন। এবার Edit > Copy এবং Edit > Paste এ ক্লিক করুন। দেখবেন নতুন ফ্লোটিং লেয়ার দেখা যাচ্ছে। সেটিতে রাইট ক্লিক করে নিউ লেয়ার হিসেবে নিন এবং নাম দিন left ।

এখন আমাদের তিনটি লেয়ার, background , right & left।


প্রথম লেয়ার (left) টি ডিজেবল করে দিন চোখের আইকনে ক্লিক করুন।


লেয়ারটিতে রাইট ক্লিক করে Alpha to Selection সিলেক্ট করুন। এবার right লেয়ারটি সিলেক্ট করুন।

বাকেট টুল ব্যবহার করে সিলেক্টেড রিজিওন সাদা করে দিন।


লেসো টুল নিন এবং মাঝ বরাবর ছবির মত কেটে নিন।


আবার Select > Distort এ ক্লিক করে OK করুন। এরপর Select > Grow এ ক্লিক করে 4 দিন।


কী-বোর্ডের Del বাটন চেপে সাদা অংশটি মুছে ফেলুন। Select > None চাপুন এবং left লেয়ারটি এনাবল করুন । রাইট ক্লিক করে Alpha to Selection করুন এবং Ctrl + I চেপে ইনভার্ট সিলেকশান করুন। আবার বাকেট টুল নিন এবং সিলেক্টেড রিজিওন সাদা করে দিন। আগের মতোই লেসো টুল নিয়ে মাঝ বরাবর সিলেক্ট করে Select > Distort এ ক্লিক করে OK দিতে হবে।


Select > Grow এ 7 দিয়ে OK করুন। আবার Del চেপে সাদা অংশ ফেলে দিন। দেখুন ছবিটি কেমন দেখাচ্ছে।


এবার যেকোন লেয়ার সিলেক্ট করে রোটেট করতে পারেন রোটেট টুল ব্যবহার করে।


দুটো লেয়ারই রোটেট করা হয়ে গেলে left লেয়ারটি সিলেক্ট করে রাইট ক্লিক করে মার্জ করে নিন নিচের লেয়ারের সাথে।

তারপর আরেকটু অলঙ্করনের জন্য Filters > Light and Shadow > Drop Shadow এ ক্লিক করে OK করে দিন।


দেখুন শেষ পর্যন্ত কি হলো।


এভাবে আপনি যেকোন ছবিকে এরকম দুই টুকরো করে ফেলতে পারেন। তো আর কি, শুরু করে দিন !

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

ফেডোরাতে ওপেনঅফিস আপডেট ভার্সন ইনস্টলেশন

ফেডোরা অনেক লিনাক্স ব্যবহারকারীর পছন্দের ডিস্ট্রো। ফেডোরার কেডিই ভার্সনে সাধারনত ওপেন অফিস দেয়া থাকে না। যারা ওপেন অফিসে অভ্যস্থ তাদের জন্য বিষয়টা অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে। তাই আজ দেখব কি করে ওপেন অফিসের নতুন ভার্সন ইনস্টল করা যায়।

প্রথমে কনসোল খুলে নিন এবং নিচের কমান্ড দিন।

32- বিট ডিস্ট্রোর জন্য

[code]wget http://download.services.openoffice.org/files/stable/3.2.1/OOo_3.2.1_Linux_x86_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]


64-বিট ডিস্ট্রোর জন্য

[code]wget http://download.services.openoffice.org/files/stable/3.2.1/OOo_3.2.1_Linux_x86-64_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]


ডাউনলোড হয়ে গেলে রুট ইউজার হিসেবে লগ-ইন করুন।

[code]su -[/code]


এবার ডাউনলোডকৃত ফাইলটি এক্সট্রাক্ট করুন। হোম ফোল্ডারে সেটি পাবেন। রাইট ক্লিক করে এক্সট্রাক্ট করতে পারেন অথবা কনসোলে কমান্ড দিন।

[code]tar -xvf OOo_3.2.1_Linux_x86_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]


64-বিটের জন্য কমান্ডটি হবে নিম্নরূপ।

[code]tar -xvf OOo_3.2.1_Linux_x86-64_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]


এবার এক্সট্রাক্টকৃত ফোল্ডারে যান নিচের কমান্ড দিয়ে।

[code]cd OOO320_m18_native_packed-1_en-US.9502[/code]


এবার নিচের কমান্ড চালিয়ে গ্রাফিক্যাল সেটআপ শুরু করুন।

[code]./setup[/code]


ওপেন অফিস এভাবে গ্রাফিক্যালি সেট-আপ করতে পারবেন।

একটি কথা মনে রাখবেন, যদি ওপেন অফিস ইনস্টল করা থাকে তবে নতুন ভার্সন ইনস্টলের পূর্বে তা আনইনস্টল করে ফেলতে হবে।

তার জন্য নিচের কমান্ড চালাতে পারেন।

[code]yum remove openoffice.org<<version>>[/code]


ফেডোরা অনেক লিনাক্স ব্যবহারকারীর পছন্দের ডিস্ট্রো। ফেডোরার কেডিই ভার্সনে সাধারনত ওপেন অফিস দেয়া থাকে না। যারা ওপেন অফিসে অভ্যস্থ তাদের জন্য বিষয়টা অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে। তাই আজ দেখব কি করে ওপেন অফিসের নতুন ভার্সন ইনস্টল করা যায়।
প্রথমে কনসোল খুলে নিন এবং নিচের কমান্ড দিন।
32- বিট ডিস্ট্রোর জন্য

[code]wget http://download.services.openoffice.org/files/stable/3.2.1/OOo_3.2.1_Linux_x86_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]

64-বিট ডিস্ট্রোর জন্য

[code]wget http://download.services.openoffice.org/files/stable/3.2.1/OOo_3.2.1_Linux_x86-64_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]

ডাউনলোড হয়ে গেলে রুট ইউজার হিসেবে লগ-ইন করুন।

[code]su -[/code]

এবার ডাউনলোডকৃত ফাইলটি এক্সট্রাক্ট করুন। হোম ফোল্ডারে সেটি পাবেন। রাইট ক্লিক করে এক্সট্রাক্ট করতে পারেন অথবা কনসোলে কমান্ড দিন।

[code]tar -xvf OOo_3.2.1_Linux_x86_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]

64-বিটের জন্য কমান্ডটি হবে নিম্নরূপ।

[code]tar -xvf OOo_3.2.1_Linux_x86-64_install-rpm-wJRE_en-US.tar.gz[/code]

এবার এক্সট্রাক্টকৃত ফোল্ডারে যান নিচের কমান্ড দিয়ে।

[code]cd OOO320_m18_native_packed-1_en-US.9502[/code]

এবার নিচের কমান্ড চালিয়ে গ্রাফিক্যাল সেটআপ শুরু করুন।

[code]./setup[/code]

ওপেন অফিস এভাবে গ্রাফিক্যালি সেট-আপ করতে পারবেন।
একটি কথা মনে রাখবেন, যদি ওপেন অফিস ইনস্টল করা থাকে তবে নতুন ভার্সন ইনস্টলের পূর্বে তা আনইনস্টল করে ফেলতে হবে।
তার জন্য নিচের কমান্ড চালাতে পারেন।

[code]yum remove openoffice.org<<version>>[/code]

রবিবার, ২ মে, ২০১০

বাংলাদেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারেরা

বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রায়ই নানারকম প্রতিভার নাম শোনা যায়। এককালে শুনতাম জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার দুলু নাকি রিভার্স সুইপের মাস্টার। আল-শাহরিয়ার রোকনের প্রতিভা নিয়েও সাংবাদিক ভাইয়েরা দস্তার পর দস্তা কাগজ শেষ করেছেন। মেহরাব হোসেন অপিও ছিলেন মেধাবী ক্রিকেটার, ইনজুরি-বিয়ে তার ক্যারিয়ার অকালে শেষ করে দিল। সাইফুল্লাহ জেম নামী এক স্পিনার, উইকেট কিপার আতিয়ার এদের কথাও পত্রিকার পাতায় এসেছে। তবে আমি যতদূর দেখেছি, একজন দর্শক হিসেবে আমার লিস্টটা ছোট। হয়তো সবই টিভিতে দেখা, বা পত্রিকায় কিংবা রেডিওতে জাফরউল্লাহ শরাফতের ধারাবিবরনী শুনে বোঝা। ক্রিকেট একদম পিচ্চিকাল থেকে দেখতাম, ফুটবলটা আরো বেশী। তবে ক্রমেই বাংলাদেশের ফুটবলের পৃথিবীটা ছোট হয়ে গেছে, এখন জাতীয় দলে কে গেল কে আসলো তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই।

যাই হোক আমার চোখে বাংলাদেশের ক্রিকেট গত দশ বছরে হাতেগোনা কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সন্ধান পেয়েছে। যাদেরকে সঠিক পরিচর্যা করলে বাংলাদেশের ম্যাচ উইনার বেশ কয়েকজন থাকত।

প্রথমেই বলব আশরাফুলের কথা। ছেলেটা সত্যিকারের মেধাবী অল-রাউন্ডার। তাকে আমরা প্রোপার গাইডেন্স দিতে পারিনি। তার লেগ-স্পিনটা ঘষা-মাজা করলে সেও সাকিবের মত আরেক অল-রাউন্ডার হতে পারত। প্রথমদিকে আশরাফুল কিন্তু বোলিং করত। তাকে তার মত খেলতে দিলে কি হতে পারে তার প্রমাণ বহুবার আমরা দেখেছি। গতকাল পাকিস্তানের সাথে টি-20 ম্যাচে 49 বলে করা 65 রান কিঞ্চিৎ হলেও তার প্রতিভার উদাহরন দেয়। আর কতকাল সে একটা ভাল ইনিংস খেলে শীতনিদ্রায় ডুব দেবে কে জানে। সে কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বিজ্ঞাপন। কালকে যারা কমেন্ট্রি শুনেছেন তারা বুঝেছেন।

এরপরে মাথায় এল অলক কাপালীর নাম। এই ছেলের নাম প্রিমিয়ার ক্রিকেটের স্কোর-কার্ডে দেখে মনে হত সে ইন্ডিয়ান হবে হয়তো। নাহলে এত ধারাবাহিক হয় কিভাবে! মহসিন কামালদের যুগে আকরাম-বুলবুলের বিকল্প হিসেবে দলে এসেছিল কাপালী। সে সময়ের কাপালীকে দেখে ভিভ রিচার্ডসও পছন্দ করেছিলেন। আফসোস আমরা কাপালীর প্রতিভাও কাজে লাগাতে পারলাম না। আইসিএলে গিয়ে নিষিদ্ধ হলো কাপালী, এতে ক্ষতিটা কার হলো ? বাংলাদেশের ক্রিকেটের নাকি বিসিসিআই'? এখনো সময় আছে, বাংলাদেশের প্রশ্নবিদ্ধ ভঙ্গুর মিডল-অর্ডারে কাপালীই হতে পারে যুৎসই উত্তর। তার ব্যাটিং যারা দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম হ্যাট্ট্রিক কার জানেন তো ? বোলারের নাম কিন্তু অলক কাপালী!

আফতাব আহমেদ, ছক্কা মারা সে আফতাব। আরেক জেনুইন হিটার। আইসিএল নামক ক্রিকেট-বাণিজ্যের ফাঁদে পড়ে আফতাবের ব্যাটিংও এখন জাদুঘরে রাখা কোন প্রাচীন বস্তুর মত হয়ে গেছে। এখনও মিস করি ওয়ান ডাউনে নেমে প্রতিপক্ষের বোলারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেওয়া সে আফতাবকে। কবে তাকে স্বরূপে পাব কে জানে!

তামিম ইকবাল, দিন দিন যার ব্যাট আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে। আগে সে লেগ সাইডে ভালো ছিলো না, এখন সে ত্রুটি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। তাকে আরো শাণিত করলে সে হতে পারে আমাদের হেইডেন, শেওয়াগ।

সাকিব আল হাসান, এখন সে ভালো গুরুত্ব পাচ্ছে; আশা করি সামনেও সে ভালো সাপোর্ট পাবে সবার থেকে। বিসিবির কারো পায়ের কাছে নতজানু হবে না আশা করি।

মাশরাফি মর্তুজা, যে হতে পারত প্রকৃত অলরাউন্ডার। কিন্তু তাকে অতিরিক্ত ব্যবহার করে শরীরের উপর চাপ বাড়িয়ে ইনজুরিতে ফেলে ক্যারিয়ারের অনেক সময় নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সে মনে হয় মানসিকভাবেও এখন চাঙ্গা নয়। বাংলাদেশের স্বার্থেই আগের সেই তেজী মাশরাফিকে দরকার।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, এই ছেলের হয়তো আফতাব-আশরাফুলের মত তেমন প্রতিভা নেই তবে আছে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করার মানসিকতা। যেটা নেই আফতাব-আশরাফুলের। এই ছেলেকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না, দরকার সাপোর্ট। বাংলাদেশের ম্যাচ উইনার হবার অমিত সম্ভাবনা আছে এর মাঝে।

নাজিমউদ্দীন আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যানের নাম। যার ফার্স্ট-ক্লাস রেকর্ড ভালো, কিন্তু সে কখনো টেস্টে সুযোগ পায়নি। পেয়েছে টি20, ওডিআইতে। আশা করি শীঘ্রই তাকে জাতীয় দলে দেখব।

আপাতত আর কারো নাম মাথায় আসছেনা। অনেকে হয়তো বলবেন জুনায়েদ, রকিবুল, মুশফিক, নাইম এরা কি প্রতিভাবান নয় ? আমি বলব, যাদের নাম বললাম এরা ঢের ভালো ওই ঠুকে খেলা জুনায়েদদের চেয়ে। অন্তত টি-20'র আসরে কাপালী-নাজিমুদ্দীনকে দেখলে ভালোই লাগত। তবে সামনে অনেক ক্রিকেট। এরা আবার জাতীয় দলে আসবে, প্রোপার সাপোর্ট পাবে এ আশাই করি।

শনিবার, ১ মে, ২০১০

উবুন্টুতে ইউনিজয় ব্যবহার

উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্ট অনেকে শখের বশে ইনস্টল করে ফেলেছি, কিন্তু একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাংলা লিখব কিভাবে ? উবুন্টুতে ডিফল্ট দেয়া আছে প্রভাত লেআউট যা উইন্ডোজে নেই। তাই আমরা যারা উইন্ডোজ থেকে উবুন্টুতে এলাম তারা কিভাবে বাংলা লিখব ? মোস্তফা জব্বার সাহেবের বিজয় কিংবা ওমিক্রনল্যাবের অভ্রের সাথে দেয়া ইউনিজয় লেআউটে যারা অভ্যস্ত তারা কি করবেন ?

সমস্যা যখন আছে এর সমাধানও নিশ্চয় আছে । তো দেখি কি সমাধান দেয়া যায় ।

  • System > Administration > Synaptic Package Manager এ যান

  • Password দিন

  • Synaptic Package Manager এর সার্চ বক্সে m17n লিখে খুঁজুন

  • অনেকগুলো রেজাল্ট আসবে যার মধ্য থেকে m17n-db এবং scim-m17n প্যাকেজ দুটি সিলেক্ট করুন । ইনস্টলের জন্য একটি একটি করে উভয়ের উপর মাউস ক্লিক করে

    mark for install এ ক্লিক করুন। এবার Apply করে ইনস্টল শেষ হবার জন্য অপেক্ষা করুন।

  • System > Preference > SCIM Input Method Setup এ ক্লিক করুন।

  • নতুন উইন্ডো থেকে IMEngine > Global Setup সিলেক্ট করে Disable All এ ক্লিক করুন।

  • এবার Bengali > bn-unijoy সিলেক্ট করে Apply করুন ।

  • OK ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন।

  • এবার Accessories > gedit ওপেন করে যেকোন স্থানে রাইট ক্লিক করে Input Method > SCIM Input Method সিলেক্ট করুন।

  • প্যানেলে কী-বোর্ডের আইকন দেখতে পাচ্ছেন তো ? ওখানে ক্লিক করে আপনি সিলেক্ট করতে পারবেন ইউনিজয়।


এ সবই উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্টের পুরনো ভার্সনগুলোর জন্য প্রযোজ্য। নতুন যে উবুন্টু 10.04 এল তাতে কিন্তু আরো সহজে ইউনিজয় ব্যবহার করা যায়।

  • System > Preference > Ibus Preference এ যান ।

  • Input Method ট্যাবে যান এবং Select an input method এ ক্লিক করে Bengali > Unijoy ক্লিক করে Add বাটনে প্রেস করুন এবং Close চেপে বেরিয়ে আসুন।

  • প্যানেলে কী-বোর্ড আইকন চলে এসেছে। আপনি পছন্দমত শর্টকাট কী বেছে নিতে পারেন Ibus Preference এর General ট্যাব থেকে, show input method name on language bar এ টিক দিলে কোন লেআউটে লিখছেন তা স্ক্রীণের কোনায় ভেসে উঠবে।


আশা করি এখন ইউনিজয়ে লিখতে কোন সমস্যা হবে না। সহজ মনে হয় দ্বিতীয় পদ্ধতি, তাই আমার মতামত হল উবুন্টুর নতুন ভার্সন Lucid Lynx (Ubuntu 10.04) ব্যবহার করাই ভালো ।

উইন্ডোজে উবুন্টু

আমরা যারা উইন্ডোজ ব্যবহার করি তারা লিনাক্সের প্রতি আগ্রহ থাকার পরেও প্রয়োজনীয় ডাটা হারিয়ে যাবার ভয়ে লিনাক্স ইন্সটল করি না । তাদের জন্য আমার এ প্রয়াস, আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে ।

আমরা উইন্ডোজের সাথে লিনাক্স ব্যবহার করব । এজন্য তেমন কোন কাজ করতে হবে না । শুধু ডাউনলোড করে নিন Wubi Installer সফটওয়্যারটি ।


ধরে নিলাম আপনি লিনাক্স উবুন্টু ৯.০৪ ISO ডাউনলোড করে রেখেছেন অথবা সিডি রাইট করে রেখেছেন ।


এখন আসল কাজ শুরু করা যাকঃ


• ISO ইমেজটি যে ফোল্ডারে আছে সে ফোল্ডারে wubi.exe ফাইলটি রাখুন । যদি ISO ইমেজ না থাকে তবে উবুন্টু সিডিটি ডিভিডি-রমে প্রবেশ করান ।

• Wubi রান করান । সেট করে দিন উবুন্টু ইন্সটলেশন ড্রাইভ, কতটুকু জায়গা উবুন্টু নেবে , একাউন্ট নেম, পাসোয়ার্ড প্রভৃতি ।



• Install এ ক্লিক করুন । কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, নতুন উইন্ডো আসবে ; Restart দিন । আপনি যদি সিডি ইউজ করে থাকেন তাহলে Restart দেবার আগে সিডি বের করে ফেলুন ।

• Boot Screen থেকে Ubuntu সিলেক্ট করুন ।
• আপনার কাজ শেষ, এবার নিশ্চিন্ত মনে এক কাপ কফি খেয়ে আসতে পারেন । ততোক্ষণে হয়ে যাবে উবুন্টু সেট-আপ । উপভোগ করুন লিনাক্স উবুন্টু ৯.০৪ ।

এভাবে আপনি প্রবেশ করতে পারেন মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সের জগতে ।


প্রয়োজনীয় লিঙ্কঃ
http://wubi-installer.org/

শেষ কবিতাখানা

শেষ কবিতাখানা


আল মাহমুদ


তোমার ঠোটঁ...


মরুসাহারার তৃষ্ণার্ত পথিকের মরিচীকার ফাকেঁ পাওয়া এক বিন্দু জল।


তোমার চুল...


স্বপ্নের মাঝে অদ্ভুত এলোমেলো লতানো গুল্ম।


তোমার দৃষ্টি...


খটখটে শুকনো মাটিতে এক পশলা তীক্ষ্ণ বৃষ্টিকণা কিংবা আগুনের ফুলকি।


তোমার ছোয়া...


শীতের সকালে পাওয়া সামান্য রোদের উষ্ণতা।


তোমার কোমর...


শনির বলয়ের মত ঘিরে রাখে আমার হাত ।


তোমার আহবান...


গভীর রাতে ভূতে পাওয়া মানুষের মত ছুটে যাই আমি।


তোমার চুমু...


অতৃপ্ত আত্নার পরমশান্তিময় সমাধি।


তোমার ঠোটঁ...


মরুসাহারার তৃষ্ণার্ত পথিকের মরিচীকার ফাকেঁ পাওয়া এক বিন্দু জল।


তোমার চুল...


স্বপ্নের মাঝে অদ্ভুত এলোমেলো লতানো গুল্ম।


তোমার দৃষ্টি...


খটখটে শুকনো মাটিতে এক পশলা তীক্ষ্ণ বৃষ্টিকণা কিংবা আগুনের ফুলকি।


তোমার ছোয়া...


শীতের সকালে পাওয়া সামান্য রোদের উষ্ণতা।


তোমার কোমর...


শনির বলয়ের মত ঘিরে রাখে আমার হাত ।


তোমার আহবান...


গভীর রাতে ভূতে পাওয়া মানুষের মত ছুটে যাই আমি।


তোমার চুমু...


অতৃপ্ত আত্নার পরমশান্তিময় সমাধি।

লিনাক্স কেন ?

আমাদের দেশের অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীই কিন্তু মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে হাতেখড়ি নেন। আমার হয়েছিল উইন্ডোজ ৯৮ দিয়ে, ক্রমান্বয়ে মিলেনিয়াম, এক্সপি,ভিসতা এবং সেভেন। আর সবগুলোই যে পাইরেটেড কপি তা না বললেও চলে। তার মধ্যে আবার ছিল মাইক্রোসফট অফিস, ফটোশপ, এসিডি সি প্রভৃতি সফটওয়্যার যার সবগুলোই পাইরেটেড বা সোজা বাংলায় চোরাই মাল।



একটু ভাবুন, আপনি সৎ একজন মানুষ। সদা সত্য কথা বলেন, মানুষকে ভালো কাজের উপদেশ দেন। সন্তানকে অন্যায় থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দেন, চুরি বিদ্যা মহাপাপ এটা তার মস্তিষ্কের কোষে কোষে ছড়িয়ে দেন, অফিসে সবাই ঘুষ খেলেও আপনি ছেলেবেলায় মা-বাবার দেয়া উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন ঘুষ নামক সুখাদ্য থেকে দশ হাত দূরে থেকে। সেই আপনি পিসিতে চালাচ্ছেন বাজারের সিডি-ভিসিডির দোকান থেকে কেনা চোরাই অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার। হয়তো আপনি সেভাবে উপলব্ধি করতেই পারছেন না, এটা কতবড় অন্যায়। আপনি হয়তো টাকা দিয়ে ক্যাসপারস্কাই কিনলেন, বললেন টাকা দিয়েই এন্টিভাইরাস কিনে চালাই। আরে মশাই আপনার উইন্ডোজটাই পাইরেটেড, শুধু এন্টি ভাইরাস দিয়ে কি লাভ ? এখন হয়তো বলবেন অরিজিনাল সফটওয়্যার কেনার পয়সা কি আমি দেব নাকি ? এত নীতি বাক্য শুনাতে এসেছি কেন ? হয়তো কিছু গালাগাল আমাকে দিয়েও ফেলেছেন। যাই হোক, আমার নিজেরও সফটওয়্যারের পেছনে নষ্ট করার টাকা নাই। তাই বিবেক বারবার দংশন করছিল, আর কত চোর সেজে থাকব ? নাহ, এবার নতুন কিছু শেখা যাক। সেটা হল উইন্ডোজের বিকল্প। আরেকটা অপারেটিং সিস্টেম। যেমন উবুন্টু, ফেডোরা, ওপেন সুসে, লিনাক্স মিন্ট প্রভৃতি। আপনারা হয়তো নাম শুনে থাকবেন এগুলোর। আর অনেকের মনে বদ্ধমূল ধারনা লিনাক্স হচ্ছে টেকি লোকদের জন্য, সাধারনের জন্য নয়। আসুন, এবার দেখি আপনার ধারনা পাল্টাতে পারি কিনা।

একটা মজার কথা বলি। আমরা অনেকেই হয়তো লিনাক্স মনে করি নিজেই একটা অপারেটিং সিস্টেম, আসলে তা না। লিনাক্স হচ্ছে “কার্ণেল” যা ছাড়া কোন অপারেটিং সিস্টেম অচল। উইন্ডোজ এক্সপি,সেভেন প্রভৃতির কার্ণেলের নাম NT (এনটি) আর ম্যাক ওএসের কার্ণেলের নাম XNU (এক্সএনইউ)। কার্ণেলের সাথে কিছু ডিস্ট্রো জুড়ে দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন ওপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজ ইনস্টল করলে কি পান ? এমএস পেইন্ট, নোটপ্যাড, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মিডিয়া প্লেয়ার প্রভৃতি। অফিস স্যুট কিন্তু থাকে না, সেটা আপনাকেই ইনস্টল করতে হয়।

অন্যদিকে লিনাক্স ডিস্ট্রোতে কি কি থাকে দেখা যাক। যেমন উবুন্টুতে আপনি ইনস্টলের পর পাবেন ওপেন অফিস, ফায়ারফক্স, বিটটরেন্ট ক্লায়েন্ট ট্রান্সমিশন, রিদমবক্স মিউজিক প্লেয়ার, ডিভিডি বার্ণার, ইমেজ এডিটের জন্য গিম্প (যদিও উবুন্টু ১০.০৪ এ গিম্প বাদ দেয়া হয়েছে), চ্যাট করার জন্য ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি। আর আপনি যদি রেডিমেট সব পেতে চান তাহলে আছে লিনাক্স মিন্ট।

ধরুন আপনি ভিএলসি প্লেয়ার ইনস্টল করবেন। উইন্ডোজে এক্সিকিউটেবল ফাইল ডাউনলোড করে তারপর ইনস্টল দিতে হবে। আর উবুন্টুতে টারমিনাল খুলে শুধ লিখবেন, sudo apt-get install vlc ;

বাকী কাজ উবুন্টুই করে নিবে। অথবা সফটওয়্যার সেন্টারে যেয়ে ভিএলসিতে ক্লিক করে ইনস্টল বাটনে ক্লিক করুন। ডাউনলোড, ইন্সটলেশন নিয়ে আপনাকে ভাবতেই হবে না। এবার আপনিই বলুন কোনটা বেশী ইউজার ফ্রেন্ডলী ?

বাংলা লিখবেন ? উইন্ডোজে অভ্র, কিংবা বিজয় ইনস্টল করতে হবে, পাশাপাশি ফন্ট তো লাগবেই। আর উবুন্টুতে বাই ডিফল্ট বাংলা লেআউট (প্রভাত, ইউনিজয়,জাতীয় ) দেয়া থাকে, আপনি কষ্ট করে সিলেক্ট করে দিবেন কোনটা চালাবেন।

ভাইরাসের ভয়ে থাকার কোন কারন নেই, লিনাক্স ডিস্ট্রোগুলোয় ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছুই নেই। ফায়ারওয়ালের ব্যবস্থাও কিন্তু আছে উবুন্টু, মিন্টে। ভাবছেন উইন্ডোজের ফাইল চালাতে পারবেন কিনা ? অবশ্যই পারবেন, এনটিএফএস ড্রাইভ মাউন্ট করা কোন সমস্যাই না। বরঞ্চ উইন্ডোজ বুঝতে পারে না লিনাক্স ডিস্ট্রোর ড্রাইভ। পেন ড্রাইভের ভাইরাস কি বস্তু সেটা লিনাক্স ডিস্ট্রো চালালে জানতেই পারবেন না। যতো ভাইরাসে ভর্তি পেন ড্রাইভ হোক না কেন, লিনাক্সে তার কার্যকারীতা শূণ্যের কোঠায়।

এবার ভেবে দেখুন, আপনি উইন্ডোজে থাকবেন নাকি লিনাক্সও ঘুরে দেখবেন

Like us on Facebook