Ads 468x60px

সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১০

ফটোগ্রাফি : শুরু করার পূর্বে

আমি ফটোগ্রাফির ক-ও জানিনা। একটা পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরা আছে (Canon IXUS 100 IS) যেটা দিয়ে অতো কিছু না ভেবে ছবি তুলি। তবে ইদানিং সময়ে নতুন শখ হয়েছে ভালো ছবি তোলার। এজন্য দরকার পড়াশোনা, যেটা করার ধৈর্য কোনকালেই আমার ছিলো না। এখনও নেই, আরেকটা সমস্যা হলো শর্ট টার্ম মেমরি। আজকে কিছু পড়লে কয়দিন পরে সেটা মনে থাকে না। তাই মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। ফটোগ্রাফি নিয়ে যা পড়ছি তা লিখে রাখলে কেমন হয় ? অন্তত নিজের মতো করে ? তাই এ লেখার অবতারনা। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ প্রজন্ম ফোরামের শুভ ভাই, সামু ব্লগের ফয়সাল আকরাম ভাই, যাদের লেখা পড়ে ফটোগ্রফির অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আর কৃতজ্ঞ রাসেল জন ভাইয়ের প্রতি যার ফ্লিকার একাউন্টে থাকা মনোমুগ্ধকর ছবিগুলো আমার মনের সুপ্ত বাসনা আবার জাগিয়ে তুলেছে। বকবক না করে কাজের কথায় আসি।

প্রথম পাঠ: অ্যাপার্চার (Aperture)

ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলতে গেলে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে যার একটি হলো অ্যাপার্চার। অ্যাপার্চারের মান দিয়ে বোঝা যায় কতটুকু আলো সেন্সরে প্রবেশ করবে বা করলো। এটি হচ্ছে লেন্সের ডায়ামিটার বা পরিধি যা নিয়ন্ত্রণ করে আইরিস। অ্যাপার্চার বেশী হলে সেন্সরে প্রবেশকৃত আলোও বেশী হবে। অ্যাপার্চারের মান প্রকাশ করা হয় F-stop দিয়ে। মান বেশী হলে বুঝতে হবে কম আলো প্রবেশ করবে আবার মান কম হলে বেশী আলো প্রবেশ করবে। যেমন F2.8 বা f/2.8 এরচেয়ে কম আলো প্রবেশ করবে f/22 তে। ব্যপারটা উল্টো মনে হলেও ম্যানুয়ালি ছবি তুলতে গেলে এটা মনে রাখতে হবে। এখনকার অনেক ক্যামেরার ম্যানুয়ালে বলা থাকে অ্যাপার্চার ভ্যালু কত। সাধারণত F2.0-F8.0 টাইপের লেখা থাকে। এতে বুঝতে হবে এই ক্যামেরার সর্বোচ্চ অ্যাপার্চার F2.0 এবং সর্বনিম্ন ভ্যালু F8.0। অ্যাপার্চার যতো বেশী হবে কম আলোয় ছবি তোলা ততো সহজ হবে। কারন অল্প আলোয় অ্যাপার্চার বড়িয়ে আপনি সেন্সরে বেশী আলো প্রবেশ করাচ্ছেন। কম অ্যাপার্চার ভ্যালুতে শাটার স্পিড কম হবে আবার অ্যাপার্চার ভ্যালু বাড়লে শাটার স্পিডও বাড়বে। একটা কথা মনে রাখবেন অ্যাপার্চার কমালে ছবির শার্পনেস বেড়ে যাবে। এ নিয়ে এখন আর কথা বাড়াবো না। অ্যাপার্চারের বেসিক বলা হয়ে গেছে। এবার চলুন পরের পাঠে।

দ্বিতীয় পাঠ: শাটার স্পিড

শাটার স্পিড হচ্ছে সে সময় যে সময় পর্যন্ত আপনার শাটার খোলা থাকবে। অর্থাৎ লেন্সে আলো প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে শাটার দিয়ে। অ্যাপার্চারের সাথে এর সম্পর্ক আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়। অ্যাপার্চার ভ্যালু নিয়ন্ত্রণ করে আলো কম-বেশী করলেন। সে আলো যে সময়টুকু থাকবে সেটিই শাটার স্পিড। শাটার স্পিড মাপা হয় সেকেন্ডে, যেমন 1/1000 sec, 1/60 sec, 1/30 sec ইত্যাদি। ডিনমিনেটর (উদাহরণে 1000, 60, 30) যতো বেশী হবে শাটার স্পিডও ততো বাড়বে। আপনি যদি বেশী শাটার স্পিডে ছবি তুলতে চান তাহলে অ্যাপার্চার বাড়াতে হবে। যেমন F1.8 অ্যাপার্চারের জন্য শাটার স্পিড 1/250 sec হওয়া উচিৎ।

তৃতীয় পাঠ: আইএসও (ISO)

আইএসও বলতে বুঝতে হবে সেন্সরের সেনসিটিভিটি কত। কম মান যেমন ১০০ হলে কম আলোক সংবেদনশীল, ৪০০ হলে বেশী আলোক সংবেদনশীল। মান বেশী হলে আবার ছবিতে নয়েজ বা গ্রেইন চলে আসবে। অল্প আলোয় ছবি তোলার সময় আইএসও বাড়িয়ে নিতে হয়। যেমন মোমবাতির আলোয় কোন অনুষ্ঠানের ছবিতে আইএসও বাড়াতে হবে, পাশাপাশি অ্যাপার্চারও বাড়াতে হবে (আসলে মান কমবে যেমন F1.8) আর শাটার স্পিড কম-বেশী করতে পারেন প্রয়োজন অনুযায়ী। আবার দিনের আলোয় আইএসও কমিয়ে (যেমন ১০০) ছবি তুললেই হবে, কারন যথেষ্ট আলো সাবজেক্টে পড়ছে।

এই তিনটি বিষয়কে নিয়ে যে ধারনা তার নাম এক্সপোজার। এক্সপোজার মানে হচ্ছে সেন্সরের উপর আলো পড়া। এক্সপোজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় অ্যাপার্চার, শাটার স্পিড ও আইএসও দিয়ে। ওভার এক্সপোজ মানে ছবিতে শাদার (আলো) পরিমাণ বেশী, আন্ডার এক্সপোজ মানে প্রয়োজনীয় আলো ছবিতে আসেনি (ছবি অন্ধকার দেখাবে)

অনেক বলে ফেলেছি। সামনে আরো কিছু লিখব। সে পর্যন্ত যা জানলেন তা নিয়ে পড়াশোনা করুন, ফটোগ্রাফি ভালো না বেসে পারবেন না। সৃষ্টিতেই তো আনন্দ, তাই না ?

শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১০

লিনাক্স আড্ডায় প্রথমবার

লিনাক্স ফোরামে নিবন্ধিত হবার পর তিনটি আড্ডা হলো। যার প্রথম দুটোয় উপস্থিত হতে পারিনি কিছু পারিবারিক সমস্যায়। গতকাল ২৬ শে নভেম্বর শুক্রবার ৩য় আড্ডার সময় নির্ধারিত হয় কিছুদিন আগেই। এবার যাবো বলে ঠিক করেছিলাম প্রথম দুটো মিস করে। চারটার আগেই চলে আসি টিএসসিতে। এসে দেখি মূল গেট বন্ধ। দিলাম শাহরিয়ার ভাইকে ফোন। উনি আমার কথা বুঝতে পারছিলেন না। তারপর রাসেল ভাইকে কল দিলাম। তিনি বললেন তার আসতে দেরি হবে। আরো জানালেন উতা ভাই (শাবাব ভাই) আসছেন। আমাকে বললেন লোকজন জড়ো করতে। আমি পড়লাম ফ্যাসাদে। শাবাব ভাই, রাসেল ভাই, রিং ভাই, রণদা ছাড়া আর কাউকে ভালো করে চিনি না। খুঁজতে লাগলাম শাবাব ভাইকে। তার ট্রেডমার্ক দাড়ি দেখে চিনতে পারলাম। তারপর আলাপ, পরিচয় এবং অন্যান্যদের জন্য অপেক্ষা। একে একে অনিক ভাই, রিং ভাই, আহসান ভাই, রাব্বি ভাই প্রমুখ এলেন।

অত:পর আমরা রিং ভাইয়ের পরামর্শে পকেট গেট দিয়ে টিএসসিতে ঢুকলাম। মাঠে গিয়ে বসে পড়লাম। শাবাব ভাই শুরু করলেন তার বক্তব্য। প্রাঞ্জল ভাষায় লিনাক্স বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরলেন। তার বক্তব্য শুনলাম, ভালো লাগল। শেষ সময়ে এলেন রাসেল ভাই, তখন সূর্যের আলো নেই বললেই চলে। তিনি এসেই আমাকে খুঁজলেন। আগের দুটো আড্ডায় আসিনি বলে ভেবেছিলেন এবারো আসবো না। এবার আর তা হয়নি। শাহরিয়ার ভাই বা এঞ্জেল ভাই না আসায় দ্বিধান্বিত ছিলাম চার তারিখের পার্টির রেজিস্ট্রেশন কিভাবে হবে। শাবাব ভাই রিসিট নিয়ে আসায় রেজিস্ট্রেশন করে নিলাম ১৫৫ টাকা দিয়ে। এরপর চলে আসার পালা, ইতিমধ্যেই রিংদা বিদায় নিয়ে নিলেন আমাদের কাছ হতে মোয়া খাওয়ার আহবান জানিয়ে। আমিও সবার কাছ হতে বিদায় নিয়ে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে।

আড্ডাটা মজার হলেও আসতে পড়তে হয়েছে দীর্ঘ যানজটের কবলে। যা সাময়িক বিরক্তির উদ্রেক করলেও লিনাক্স গুরুদের সাথে পরিচয়ের আনন্দকে ম্লান করতে পারেনি।

এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রথম সোনা

২৬ শে নভেম্বর ২০১০ বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় দিন হিসেবে লেখা থাকবে। এদিন দীর্ঘ ৩২ বছরের হাহাকার ঘুচে যায় ক্রিকেটের কল্যানে। এশিয়ান গেমসে ১৯৭৮ সাল থেকে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে কাবাডি যুক্ত হওয়ায় নিয়মিত পদক আসছিল কাবাডির মাধ্যমে। যদিও তা সীমাবদ্ধ ছিল রূপা বা ব্রোঞ্জে, স্বর্ণ কখনোই জেতা সম্ভব হয়নি। এবার তাও জিতলো বাংলাদেশ। কারন ক্রিকেটের অন্তর্ভূক্তি। দল পাঠায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা, ভারত পাঠায়নি আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য (সম্ভবত)। প্রমীলা ক্রিকেটের সংযোজনও ছিল একটা চমক। প্রথমে মেয়েরা রূপা এনে দেয় ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে, যেখানে অনুপস্থিত ছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে পুরুষদের ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়া, সেমিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। ফাইনালে ছিল আফগানিস্তান, যারা সেমিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে এসেছে।

ফাইনাল কিছু হলেও দেখেছি, টেন স্পোর্টস খেলা দেখিয়েছে। আফগানিস্তান খুব ভালো খেলেছে। আমি আশাবাদী, এরা ভালো করবে ভবিষ্যতে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা আরো বেশী ছিল। তারা আফগানদের অলআউট করতে পারেনি, আবার জয়ের জন্য শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেসদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রোমানের ব্যাটিং নতুন ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। করিম খান সাদেকের ওভারে নেয়া ২টি ছক্কাময় ১৭ রান জয় নিশ্চিত করে দেয় বাংলাদেশের। জয় জয়ই, তা যেভাবেই আসুক। ধন্যবাদ বিসিবি, ক্রিকেটারদের এবং যারা চীনে ক্রিকেট প্রচারে সহায়তা করেছেন (এরা হলেন সৈয়দ আশরাফুল হক, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মঞ্জুরুল ইসলাম ও গ্রাউন্ডসম্যান জসিম)। বাংলাদেশের গ্রাউন্ডসম্যান জসিমের প্রস্তুত করা পিচেই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, ভাবতেই গর্বে বুকটা ফুলে যায়।

জয়তু ক্রিকেট, জয়তু বাংলাদেশ।

সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০১০

যানজট ও একজনের ভাবনা

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো গরু-খাসির মাংস ঘরে ঘরে ঈদের আমেজ ধরে রেখেছে। আমার বাসায়ও তাই। ঈদ শেষ, ব্যস্ত জীবনের প্রাত্যাহিক রুটিন আবার শুরু হয়েছে। তবুও কি যেন নেই মনে হবে রাস্তায় নামলে। আমাদের যানজটের শহর ঢাকায় এখন যানবাহনের অকল্পনীয় চাপ নেই। শুরু হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। রাস্তায় নামলে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু সবসময় এমন কেন হয় না ? আমরা ইচ্ছে করলেই ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে পারি। তবে ইচ্ছেটা হতে হবে পরিকল্পিত। স্কুল-অফিসের টাইম শিডিউল পাল্টে, রাস্তায় অত্যন্ত হালকা বাস নামিয়ে, গাড়ীর লেন পাল্টে কিছুই হবে না।

কি পরিকল্পনা দরকার তাহলে ? আমি সাধারন নাগরিক হিসেবে যা মনে করি তা হলো ঢাকাতে প্রাইভেট কারের চাপ কমাতে হবে। মানুষকে অভ্যাস করতে হবে হাঁটার, প্রয়োজনে সাইকেল ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন কয়েক শ করে প্রাইভেট কার ঢাকার রাস্তায় নামছে। এটা সরকারকে বন্ধ করতেই হবে। চালু করতে হবে স্কাই রেল। আচ্ছা মানুষ প্রাইভেট কার কেন কিনছে ? স্বাচ্ছন্দে গন্তব্যে যাওয়ার জন্যই তো ? তাই যদি হয় তাহলে বিকল্প সার্ভিসগুলো এমন করতে হবে যাতে মানুষ প্রাইভেট কারে না যেয়ে পাবলিক ভেহিক্যাল ব্যবহার করে। দেশের নেতা-নেত্রীরা এসব হয়তো জানেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক চাপে তা করতে পারেন না। তবুও দেশের জন্য কিছু ত্যাগ তো করতেই হবে।

কি বলতে চেয়েছিলাম কি বলছি। নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এসব লিখতে শুরু করেছিলাম। আজকে শুনলাম এক ভদ্রলোক গাড়ী ক্রয় করা নিয়ে আরেকজনের সাথে আলাপ করছেন। তিনি মনে করেন গাড়ী কিনে লাভ নেই কারন যানজটে জ্বালানী তেল পুড়ে তার সময়ের পাশাপাশি অর্থের শ্রাদ্ধ হবে। এরচেয়ে মোটর সাইকেল ঢের ভালো। চিপা গলিতে হুট করে ঢুকে পড়া যাবে। তিনি আরো বললেন গাড়ী চালানোর রাস্তা ঢাকায় নাই, মানে রাস্তায় ইতিমধ্যেই অনেক গাড়ী। আর কতো ? সামনা-সামনি কিছু বলিনি, কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে তাকে একটা ধন্যবাদ এমন করে ভাববার জন্য। তিনি ভেবেছেন অন্তত, আর আমরা তো ভাবি না। এমন করেই যদি সরকার চিন্তা করতো !

রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১০

এবারও টিকে যাচ্ছেন রকিবুল হাসান ?

বিশ্বকাপ ক্রিকেট যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই জাতীয় দল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেকে বলবেন কয়দিন আগই নিউজিল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ, আবার দুশ্চিন্তা কেন ? আছে আছে ভালো কারণ আছে। দল নির্বাচন নিয়ে আমার মনে রয়েছে হতাশা। সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, তাতে যাচাই করা যাবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সক্ষমতা। ভালো কথা, যাচাই করুন। কিন্তু মশাই দলটাও তো হতে হবে সমালোচনা মুক্ত। সম্ভাব্য সেরা একাদশ গড়তে হবে দেশের স্বার্থেই। সেটা কি হবে ?

সমস্যাটা এখানে, আমাদের ঘুণে ধরা মানসিকতায়। আমরা সবকিছু বুঝেও অবুঝের মতো আচরণ করি। নির্বাচকেরা ভালো করেই জানেন আশরাফুল কি চিজ। আমরা যারা টিভিতে খেলা দেখি, পত্রিকার খেলার পাতায় চোখ রাখি তারাও জানি আশরাফুলের সক্ষমতা সম্বন্ধে। তিনি যখন খেলেন তখন প্রতিপক্ষ চেয়ে চেয়ে দেখে, আর আমরা দীর্ঘশ্বাস ফেলি কবে আবার তিনি এমন খেলবেন। তো সেই অ্যাশ কিউদের বিরুদ্ধে বাদ পড়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারন নৈপুণ্য দেখালেন। নির্বাচকেরাও চশমাখানা নাকের ডগা থেকে গোড়ায় তুললেন। কাকে বাদ দেয়া যায়।

নিউজিল্যান্ডের সাথে আমাদের ব্যাটসম্যানদের পারফর্ম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। সাকিব, ইমরুল, শাহরিয়ার নাফিস এ দলে ছিলেন না অবশ্য। সবচেয়ে বাজে সময় কাটিয়েছেন আমাদের হেড কোচ সিডন্স সাহেবের প্রিয় শিষ্য রকিবুল, জুনায়েদ। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটি করতে তাদের পাঠানো হয়েছে। আমিও আশায় বুক বাঁধলাম এবার তাহলে এরা বাদ পড়তে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আবার দেখলাম রকিবুলের ব্যাটে অন্যরূপ। স্ট্রাইকরেটের অসামান্য উন্নতি, যা তার চরিত্রের সঙ্গে বেমানান। অন্যদিকে জুনায়েদ ভাইজান তার ফর্ম বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। নাফিস খুব একটা খারাপ করেননি। ইমরুল ছিলেন যথারীতি ধারাবাহিক।

এবার আসা যাক দল নির্বাচনের প্রসঙ্গে। তামিম ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরছেন, আশরাফুলও ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম নিয়ে আসছেন। রকিবুলকে বাদ দিতে আবার নির্বাচকরা ভয় পান। তাহলে কে কে হবেন বলির পাঁঠা ? শাহরিয়ার নাফিস ও জুনায়েদ । একটি ম্যাচ উইনিং ইনিংস সত্ত্বেও বাদ পড়তে যাচ্ছে নাফিস। অন্যদিকে পুরো সিরিজে বিরক্তিকর ক্রিকেট খেলেও দলে টিকে যাচ্ছেন রকিবুল। তবে কি নির্বাচকেরা ঘরোয়া ক্রিকেটকেই মূল্যায়নের মানদন্ড ঠিক করেছেন ?  এখনও দল নিশ্চিত না হলেও একটি জাতীয় দৈনিক এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে।

সত্যিই কি বিচিত্র আমাদের নির্বাচকদের ভাবনা।

Like us on Facebook