Ads 468x60px

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১১

আমার লিনাক্স দিবস

গতকাল ২৫ শে আগস্ট ছিল লিনাক্সের জন্মদিন। আমরা যারা লিনাক্স চালাই তাদের জন্য দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। অন্য অনেকের জন্যও হয়তো, অন্তত যারা লিনাক্সকে ভালোবাসেন। তো সেদিন সকালে একটা পরীক্ষার ইনভিজিলেশনের দায়িত্ব ছিল। শেষ হতে হতে দুপুর একটা। আমি জানতাম টিএসসিতে কমিউনিটির কিছু বড় ভাই-ছোট ভাইয়েরা মিলে একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। তাদের সংগঠন হলো ফস (FOSS)। আমিও ছুটলাম টিএসসির উদ্দেশ্যে। নিয়ে নিলাম (ক্যানন ইক্সাস ১০০ আইএস) ক্যামেরাটা।

বেশি সময় থাকা হয়নি, বাসায় ফেরার একটা তাড়া ছিল। ঢাকা শহরের জ্যামের কারনে আধা ঘন্টার পথ যেতে আড়াই ঘন্টা লাগবে, এই শঙ্কাটা কাজ করছিল মনে।

গিয়েই ফোন দিলাম আশিকূর নূরকে। এই ছোট ভাইটাই আসতে উৎসাহ দিয়েছিল। ওকে ফোন দিয়ে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নিলাম। দেখা হলো রিংদা, শামীম ভাই, অনিরুদ্ধ, রোহান (দুষ্ট বালক নামেই চিনি :( ) এদের সাথে। কোত্থেকে হাজির হলো নির্ঝর। ওকে থামিয়ে কথা বললাম। ছবিও তুললাম দুটো। এর মাঝেই রিংদা, শামীম ভাইয়ের সাথে কথাবার্তা বললাম। লিব্রে ক্যালকে কিছু সমস্যা ফেস করছি সেটা জানালাম শামীম ভাইকে। আশিকূরের সাথেও টুকটাক বিষয়ে কথা হলো। এরপর আরো কিছু ছবি তুলে বেরিয়ে এলাম। আয়োজনে লিনাক্স মিন্ট, ফেডোরার সিডি-ডিভিডি দেখলাম রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য। কিছু ল্যাপটপ দেখলাম, সবগুলোয় লিনাক্স ছিল তবে উবুন্টু-মিন্টেই সীমাবদ্ধ। ফেডোরা বা ওপেনস্যুযে পাওয়ার্ড কোন মেশিন চোখে পড়লো না। এমন জানলে আমার ফেডোরা পাওয়ার্ড ল্যাপিটা নিয়ে যেতাম।

রাতে আবার ফ্রীনোডে আড্ডায় বসলাম উন্মাতাল তারুণ্য ওরফে শাবাব ভাইয়ের আমন্ত্রণে। কম-বেশি অনেকেই ছিল, অপরিচিত কিছু ভাইও ছিল ভার্চুয়াল আড্ডায়। দেখলাম এখানেও ওপেনসুয্যে, ফেডোরা ব্যবহারকারী কম। গতকাল অল্প সময়ের জন্য উইন্ডোজে গিয়েছিলাম। প্রায় সারাট সময়ই ছিলাম ফেডোরায়। রাতে আবার ডেস্কটপে থাকা লিনাক্স মিন্টে ঢুঁ মেরেছিলাম।

মোদ্দাকথা লিনাক্স দিবসটি লিনাক্সময় কাটাতে পেরেছি। আগামীর স্বপ্ন দেখি, হয়তো একদিন সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে পূর্ণরূপে লিনাক্স চালাতে পারবো।

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১১

ফেডোরা ইনস্টলের পর করণীয় : পর্ব ২

ফেডোরা (১৫) লাভলক ইনস্টলের পর অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না কি করবেন। গ্নোম ৩ অনেক নতুনত্ব নিয়ে এসেছে, তাই এতকাল গ্নোম ২ চালিয়ে আসা ব্যবহারকারীরা অভ্যস্থতার জন্য অসুবিধায় পড়েন। গুগলে ঘাঁটাঘাটি করে অনেক কিছু জানা যায়, তবে নিজের ভাষায় জানতে পারলে মন্দ কি ? তাই আমার এ ক্ষুদ্র চেষ্টা।

১) সুডোর ব্যবহার

ফেডোরায় সুডো এনাবল করার জন্য নিচের কমান্ড দিন।

রুটে যাওয়ার জন্য নিচের (su) কমান্ডটি দিয়ে এন্টার চাপুন, পাসওয়ার্ড দিয়ে রুটে প্রবেশ করুন।
su
yum install nano
nano /etc/sudoers

এবার নিচের লাইনটি খুঁজে বের করুন।
root ALL=(ALL) ALL
তার নিচে রুটের পরিবর্তে আপনার ইউজার নেম দিয়ে ফাইলটি সেভ করুন (লাইনটির নিচে লিখবেন, লাইনটি মুছবেন না)। ধরি আপনার ইউজার নেম xyz, তাহলে কোডটি হবে-
xyz ALL=(ALL) ALL
Ctrl+W চেপে এন্টার চাপলে সেভ হয়ে যাবে। এরপর Ctrl+x চেপে বেরিয়ে আসুন। হয়ে গেল, এবার আপনি সুডো কমান্ডটি দিয়ে কাজ করতে পারবেন, বার বার রুটে যেতে হবে না।

২) সবচেয়ে গতিশীল মিরর খুঁজে নিন

ফেডোরার অনেকগুলো মিররের মাঝে কোনটি আপনার জন্য দ্রুত কাজ করবে তা বের করার জন্য টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি দিন।
sudo yum install yum-fastestmirror

প্যাকেজ ইনস্টলের বা আপডেটের সময় এর ফল দেখতে পাবেন।

৩) আরপিএম ফিউশন যুক্ত করুন

এই থার্ড পার্টি রিপোজিটরি যুক্ত করে আপনি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে পারবেন, যেগুলো ফেডোরা বা রেড-হ্যাট দিতে অনিচ্ছুক।

sudo yum localinstall --nogpgcheck http://download1.rpmfusion.org/free/fedora/rpmfusion-free-release-stable.noarch.rpm http://download1.rpmfusion.org/nonfree/fedora/rpmfusion-nonfree-release-stable.noarch.rpm

৪)রেস্ট্রিকটেড কোডেক ইনস্টলেশন

এমপিথ্রী সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কোডেক ইনস্টলের জন্য দিন নিচের কমান্ড।

sudo yum install gstreamer-plugins-good gstreamer-plugins-bad gstreamer-plugins-bad-free gsreamer-plugins-bad-nonfree gstreamer-plugins-ugly gstreamer-ffmpeg xvidcore

৫) ফাইল আর্কাইভার প্লাগ-ইন

sudo yum install p7zip p7zip-plugins unrar

৬) টুইক টুল

গ্নোম টুইক টুল দিয়ে গ্নোম শেলের থিম পরিবর্তন, ডেস্কটপে রাইট-ক্লিক এনাবল, আইকন পরিবর্তন ইত্যাদি কাজ করা যায়।

sudo yum install gnome-tweak-tool

এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন আরেকটি কাজের টুইক টুল Ailurus, এটা দিয়ে আপনি সফটওয়্যার ইনস্টলেশন কিংবা রিপোজিটরি যুক্ত করা বা সিস্টেম ইনফরমেশন ইত্যাদি সুবিধা পাবেন।

৭) ফ্ল্যাশ প্লাগইন

sudo yum install gnash gnash-plugin

sudo yum install flash-plugin

৮) ভিএলসি ইনস্টলেশন

sudo yum install vlc


৯) টরেন্ট ক্লায়েন্ট ইন্সটলেশন

sudo yum install deluge

আপাতত এগুলোই জানালাম, সামনের পর্বে আরো কিছু টুইক জানাবো; ততদিন হ্যাপি লিনাক্সিং :)

ফেডোরায় ইনস্টল করুন ক্রোমিয়াম ব্রাউজার

ফেডোরা (১৫) লাভলকে মজিলা ফায়ারফক্স ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে দেয়া থাকে। অনেকেই ফায়ারফক্সের চেয়ে গুগল ক্রোম বা ক্রোমিয়াম ব্রাউজার পছন্দ করেন। তিনটি কমান্ডের মাধ্যমে খুব সহজে ফেডোরায় ইনস্টল করে ফেলতে পারেন ক্রোমিয়াম ব্রাউজার। এজন্য টার্মিনালে একে একে নিচের কমান্ডগুলো দিয়ে যান।

su
cd /etc/yum.repos.d
wget -c http://repos.fedorapeople.org/repos/spot/chromium/fedora-chromium.repo
yum install chromium

ইনস্টলের সময় ওয়াই (y) চেপে অনুমতি দিন। কিছুক্ষণের মধ্যে ইনস্টল হয়ে যাবে ক্রোমিয়াম ব্রাউজার।

সোমবার, ৬ জুন, ২০১১

ফেডোরা (১৫) ইনস্টলের পর করণীয় : পর্ব ১

আমার লিনাক্সের সাথে পরিচয় ফেডোরা দিয়ে। তখন ফেডোরার সাত-পাঁচ না বুঝে ইনস্টল করলেও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও লিনাক্স জ্ঞানের অভাবে ফেডোরার স্বাদ নেয়া হয়নি। দিন পাল্টেছে, উবুন্টু-মিন্ট-ওপেনসুয্যে ঘুরে আবার ফেডোরার স্বাদ নিচ্ছি। তবে এবার ভালো লাগার পরিমানটা বেশী। গ্নোম ৩ ইন্টারফেস মনটাকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডেস্কটপে ফেডু বাবুকেই প্রধান লিনাক্স ওএস রূপে রাখবো। সাথে ওপেনসুয্যেও থাকবে, এবং ডেবিয়ান ঘরানার লিনাক্স মিন্ট বা উবুন্টু থাকছে উন্নত গ্রাবের জন্য।

ইনস্টল তো হলো, কিন্তু কিছু কাজ যে করা বাকি.........

প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হলো টাইটেল প্যানেলে মেনুতে পাওয়ার অপশান যুক্ত করা।

Application → System → Add/Remove Software এ গিয়ে সার্চ বারে gnome-shell-extensions-alternative-status-menu লিখে খুঁজতে হবে। যে অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যাবে তা ইনস্টল করলেই শাটডাউন অপশান চলে আসবে মেনুতে। এটা পেতে হলে কিন্তু লগ-আউট করে লগ-ইন করতে হবে।

আরেকটা বিষয় হলো উইন্ডোতে ম্যাক্সিমাইজ, মিনিমাইজ বাটন যুক্ত করা।

এজন্য GCONF-EDITOR নামক অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করতে হবে পূর্বের নিয়মে। এরপর Configuration Editor খুলে Desktop → Gnome → Shell → Windows এ গিয়ে button_layout এ ক্লিক করে নিচের কোডটি দিতে হবে।

:minimize,maximize,close

আর যদি উবুন্টুর মতো বাম কোণায় বাটনগুলো দেখতে চান তবে দিতে হবে,

close,minimize,maximize:

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী পর্বে আরো কিছু কাজের কথা বলবো। সে পর্যন্ত হ্যাপি লিনাক্সিং।

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১১

একরাশ হতাশা



আজকে আমি থাকতে পারতাম আমার ভার্সিটি লাইফের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে। আমাদের বন্ধু মহলের অনেকেই (হয়তো শুধুমাত্র আমি ছাড়া) তার নতুন জীবনের সূচনালগ্নে শুভ কামনা জানাতে উপস্থিত থাকবে। আমি পারছিনা পেশাগত জীবনের দায়িত্ববোধের কারণে। আমার একদিনের আনন্দে অনেকের জন্য বয়ে আনতে পারে বিষাদময় মুহুর্ত, এসব ভেবে জলাঞ্জলি দিয়েছি নিজের ভালো লাগা। বন্ধুটির কাছে আমি দু:খিত। তবে আশা করি যখন ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠব তখন ব্যক্তিগতভাবে তাকে নিয়ে একটা পার্টি দেব। সে সময় পর্যন্ত নাহয় কষ্টটা চেপে রাখলাম।

বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১১

হাবিজাবি

হঠাৎ লিখতে বসলাম। অথচ আগামীকাল সরকারী চাকুরির পরীক্ষা। সেদিকে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। মায়ের চিন্তার শেষ নেই। আমার সে চিন্তা হচ্ছে না। কিছু একটা করছি তো, হোক সেটা বেসরকারী। তাই এমন গা-ছাড়া ভাব। টেবিলে বিসিএসের গাইডগুলোয় ধূলোর আস্তরন জমেছে। আজ সেগুলো হাতে নিলাম। তারিখ পড়ে গেছে পরীক্ষার। কিছু লেখার জন্য কিছু জানা থাকা চাই। সেজন্যই পড়ার চেষ্টা করা। মায়ের মুখের পানে চেয়ে পড়া। তাঁর যে বড্ড আশা ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে। ছেলে সেটা বুঝতে পারছে না। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পড়িয়েই মজা পাচ্ছে। কিন্তু সে কিছুটা হলেও বুঝতে পারে এভাবে চলা যায় না। সরকারী চাকরি না হলে জীবনে যে স্থিতি আসবে না। যানজট, লোড-শেডিং, অস্বাস্থ্যকর শহরে যে দম ফেলার জো নেই। তাই ছুটে যেতে ইচ্ছে করে পাখ-পাখালির আবাসে, যেখানে বিশুদ্ধ বাতাস, মুক্ত আকাশ। নেই কার্বন ডাই অক্সাইডের বাড়াবাড়ি। দেশটা ধীরে ধীরে শহর হয়ে যাচ্ছে, মফস্বলের সবুজও হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও আশা সবুজ থাকবে। থাকবে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা। বর্তমানে মনে হচ্ছে এটার বড্ড অভাব!

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১১

উবুন্টুতে টারবল আর্কাইভ হতে ইনস্টল করুন ভুজ (Vuze)

আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন টরেন্ট ক্লায়েন্ট ব্যবহার করে হতাশ। বিশেষ করে লিনাক্স ব্যবহারকারীরা তো মিউটরেন্টের (বা ইউটরেন্ট) বিকল্প খুঁজে খুঁজে হয়রান। হতাশ হবার কিছু নেই। আজুরেস বা ভুজ হতে পারে আপনার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের টরেন্ট ক্লায়েন্ট। প্রশ্ন হলো কি করে ইনস্টল করবেন ভুজ ? কঠিন কিছু নয়, একটু মন দিয়ে পড়তে থাকুন। সমাধান পেয়ে যাবেন।

মনে করি আপনি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করছেন উবুন্টু (ল্যুসিড লিঙ্কস বা ম্যাভেরিক মীরক্যাট)। শুরুতেই সফটওয়্যার সোর্স আপডেট করতে হবে।

System → Administration → Software Sources এ গিয়ে Other Software ট্যাবে ক্লিক করুন। অত:পর http://archive.canonical.com/ubuntu lucid partner সোর্সটিতে টিক চিহ্ণ দিন। রিপোজিটরি আপডেট করে নিন।

এবার টার্মিনাল খুলে নিচের কমান্ডটি চালান।

sudo apt-get update && sudo apt-get install sun-java6-jre sun-java6-plugin sun-java6-fonts

(কপি করে টার্মিনালে Ctrl + Shift + V প্রেস করুন)

জাভা ইনস্টল হবার পরে ভুজ ডাউনলোড করে নিন অফিসিয়াল সাইট হতে এবং হোম ফোল্ডারে এক্সট্রাক্ট করুন।

ফোল্ডারটির নামের পূর্বে ডট (.) দিন (যেমন .vuze) এবং হোম ফোল্ডারে থাকা অবস্থায় ctrl + h চেপে হিডেন ফাইল ভিজিবল করুন।

আপনার কাজ প্রায় শেষ। এখন System → Preference → Main Menu তে যান এবং Internet সিলেক্ট করে New Item ট্যাবে ক্লিক করুন। নিচের তথ্যগুলো পূরণ করুন। কমান্ড লাইনের জন্য ব্রাউজ করে .vuze ফোল্ডারের vuze ফাইলটি দেখিয়ে দিন। ফোল্ডারটি না দেখতে পেলে ctrl + h চেপে হিডেন ফাইল ভিজিবল করতে ভুলবেন না।

Name : Vuze
Command : home/ YOUR_NAME /.vuze/vuze

ব্যস, অ্যাপ্লিকেশন মেনুতে ভুজ চলে এসেছে। Application → Internet → Vuze ক্লিক করে চালান ভুজ আর শুরু করুন ডাউনলোড।

শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ জয়েই যতো আনন্দ

বাংলাদেশ গতকাল রাতে মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্নায়ুক্ষয়ী এক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারালো। ব্যবধান মাত্র ২৭ রান। মনে হতে পারে সমশক্তির দুই দলের লড়াই হয়েছে। আসলে কি তাই ? অসম শক্তির পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকাকে হারানোর সময় ব্যবধানটা এত বিশাল ছিল যে মনে হতেই পারে বাংলাদেশের সাথে তাদের পার্থক্য অনেক। আসলে ব্যপারটা উল্টো। হারার ব্যবধান দিয়ে দুই দলের শক্তিমত্তার বিচার করা যায় না। তাই গতকালের ম্যাচও তা প্রকাশ করছে না। এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচের মোকাবিলায় দুটিতেই কিন্তু আয়ারল্যান্ড জিতেছে। পাঁচটি বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে চমকে দেয়া বাংলাদেশ আর এবারের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য। গতবার দলে সুমন, রফিকদের মতো অভিজ্ঞদের মাঝেও উইকেটকিপার পাইলটের জন্য ছিল হাহাকার। তখনকার পিচ্চি মুশফিক আজো উইকেটের পেছনে পাইলটের সমকক্ষ হতে পারেনি। এবারের দলটা দেখুন, বিশ্বকাপ খেলা আশরাফুল, সাকিব, তামিম, নাফিস, রাজ্জাক ও মুশফিকের সাথে একদল তরুণ। হোক তারা তরুণ কিন্তু ম্যাচ খেলে খেলে অনেক কিছুই জানা হয়ে গেছে তাদের। তাই একদম অনভিজ্ঞ বলা চলে না দলটাকে। তার প্রমাণ আরো একবার দেখলাম গতকাল।

টস নিয়ে সমালোচনা প্রায় সময়ই ক্রিকেট দলপতিদের শুনতে হয়। বিশেষ করে দল যখন হারে তখন। ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে ব্যাট না করে ফিল্ডিং নেয়ায় যথেষ্ট সমালোচনা শুনতে হয় আমাদের দলনায়ক সাকিবকে। আরে ভাই সে যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে, আমরা দর্শকরা সমালোচনা করে নিজের মত দিতে পারি কখনোই সাকিবকে আহত করে এমন কথা বলতে পারি না। কিন্তু মিডিয়া দেখলাম তা করতেই উৎসাহ। কালকে টস জিতে ব্যাট করে ২০৫ রানে অল-আউট হয়ে যাবার পর সাকিবকে কলমের খোঁচায় বিদ্ধ করার জন্য অনেকেই হয়তো প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছিলেন। আল্লাহর রহমত, ম্যাচ হারতে হয়নি। তাহলে যে অনেক কিছুই ওলট-পালট হয়ে যেত! ২০৫ রান করে অস্ট্রেলিয়াও হয়তো জয়ের চিন্তা করতে কয়েকবার ভাববে। তাছাড়া বল দ্বিতীয় অর্ধে সহজেই ব্যাটে আসছিল। ঐ যে বিশ্বাস, যেটা ছিল আমাদের তরুণ ছেলেগুলোর বুকে। দর্শকরা দিয়ে গেছে অদম্য উৎসাহ। তাতে করে এ রান তাড়া করে জিতে কোন দলের সাধ্য। তা হয়ওনি। আয়ারল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৭৮ রানে। তাদেরকে হারানোর জন্য তৈরী করা স্পিন ফাঁদে পেসাররাই চমক দেখিয়েছে। শফিউলের তৃতীয় স্পেল (৬-১-১০-৪) যা চমক দেখাল তাতে ম্যাচ জিতেই নিল বাংলাদেশ। এনিয়ে শফিউল ইসলাম সুহাস দ্বিতীয়বার আইরিশদের সাথে ৪ উইকেট পেল। এ জয় আরো অনায়াস কেন হয়নি তা নিয়ে প্রথমে আমার মনে কিঞ্চিৎ আক্ষেপ ছিল। পরে ভেবে দেখলাম সহজ জয় হলে কি এমন আনন্দ পেতাম ? কঠিন ম্যাচ জিতলে অভিজ্ঞতার ভান্ডার যতোটা পূর্ণ হয় সহজ ম্যাচে যে তা হয় না, তাই এমন ম্যাচই দলকে দেবে আত্মবিশ্বাস। কঠিনকে জয় করার প্রেরণা। মনে পড়ে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে, নিউজিল্যান্ডকে ৩ রানে হারিয়ে ক্লোজ ম্যাচ জেতার অভ্যাস বাংলাদেশ আগেই করেছিল। কাল সেটাই আরেকবার করলো। সাবাস বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, নিকট ভবিষ্যতে এমন অনেক ম্যাচ তোমরা জিতবে এ দোয়া করি।

বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

উবুন্টুতে তিন কমান্ডে ইনস্টল করুন জেডাউনলোডার

জনপ্রিয় ফাইল-হোস্টিং সাইট রেপিডশেয়ার, হটফাইল, ফাইলসনিক ইত্যাদি থেকে ফাইল ডাউনলোডের জন্য জেডাউনলোডের জুড়ি মেলা ভার। প্রিমিয়াম একাউন্টই হোক বা সাধারণ একাউন্টই হোক। জাভা ভিত্তিক এ ডাউনলোড ম্যানেজার উবুন্টুতে ইনস্টল করার জন্য দরকার মাত্র তিনটি কমান্ড। ইনস্টল হয়ে নিজেকে আপডেট করে নেবে জেডাউনলোডার। আসুন দেখি ল্যুসিড লিঙ্কস বা ম্যাভেরিকে কি করে জেডাউনলোডার ইনস্টল করা যায়।

প্রথমে Applications → Accessories → Terminal এ গিয়ে টার্মিনাল খুলুন। তারপর নিচের কমান্ডগুলো পর্যায়ক্রমে দিন।

sudo add-apt-repository ppa:jd-team/jdownloader
sudo apt-get update
sudo apt-get install jdownloader

পাসওয়ার্ড চাইলে পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার চাপুন। জেডাউনলোডার ইনস্টল হয়ে যাবে। তারপর Applications → Internet → JDownloader এ ক্লিক করে চালু করতে পারবেন জেডাউনলোডার।

শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

বাংলাদেশের হার, আমার রিভিউ

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ শেষ হলো কিছুক্ষণ আগে। ঢাকা শহরে থেকেও মাঠে বসে খেলা দেখতে পারলাম না। টিভিতে দেখেছি, তাও তো দেখা হলো। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়তে হয়নি, ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে। খেলা পুরোটা না দেখলেও প্রায় আশি ভাগ দেখেছি। তা দেখে আমার ব্যক্তিগত মতামত লেখার দু:সাহস করছি। লিখতে বসেছি যখন তখন আর ছাড় দেব কেন, রাগ-হতাশা আশা-নিরাশা সব এখানে ঝেড়ে ফেলব।

প্রথমেই দেখলাম টস হলো, জিতলো আমাদের সাকিব-আল-হাসান। ভাবলাম হয়তো বলে উঠবে, “We are going to bat first.”। না, অবাক হয়ে শুনলাম সে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে। রাতে নাকি কুয়াশা পড়বে, তাতে সমস্যা হবে বোলারদের। তাই ফিল্ডিং। সে আরও জানালো ২৬০ এর মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে ভারতকে। পরে ধোনীকেও যখন বলতে শুনলাম সেও ফিল্ডিং নিতো তখন ভেবে নিলাম সাকিবই ঠিক। আধঘন্টা পর খেলা শুরু হলো। শফিউলের পয়লা বল শেওয়াগ মাঠের বাইরে পাঠালো সবুজ মাঠে চুমো খাইয়ে। এরপর পেসারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠলো শেওয়াগ-শচীন। বারবার মাশরাফির জন্য আফসোস হচ্ছিল তখন। কেন তার কপালে ইনজুরি জোটে ? সে থাকলে এমন বস্তাপঁচা বোলিং হয় না, ম্যাশের আড়ালে অন্য পেসাররাও ভরসা পায়। পুরো পঞ্চাশ ওভার জুড়েই বোলাররা বেদম পিটুনি খেলো ভারতের ব্যাটসম্যানদের হাতে। মার খেয়ে খেয়ে ৩৭০ রান দিয়ে বসলো। শেওয়াগ তুলে নিল এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম শতক, তাকে সঙ্গ দিয়ে বিরাত কোহলিও শতকের দেখা পেল। এমন ছন্নছাড়া বোলিং করলে সামনে বাংলাদেশ দলের কপালে খারাপী আছে এটা বেশ বুঝতে পারছি।



ব্যাটিং কিছুটা হলেও বোলিং'র দু:খ ঢেকেছে। তামিমের খোলস বন্দী হয়ে করা ৭০, সাকিবের অসময়ে তেড়েফুঁড়ে করা ৫৫, ইমরুলের অবাক করা ঝড়ো ব্যাটিং দুপুরের ক্ষতে মলমের কাজ করেছে। ভালো লেগেছে শ্রীশান্তের এক ওভারে দেয়া ২৪ রানে ইমরুলের ভূমিকা আছে দেখে। তবে রিয়াদ-নাইমের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে সেখানে অলক কাপালী থাকলে আরো কিছু রান যুক্ত হতে পারতো। রিয়াদ কোনকালেই সাত নম্বর ব্যাটসম্যান নয়, তবুও সে এই পজিশনে ব্যাট করে। আর নাইম সেই যে ছক্কা মেরে জিম্বাবুয়ের সাথে ম্যাচ জিতালো তারপর থেকে ছক্কা মারাই ভুলে গেলো। তাই লেজের দিকে যে দুর্বলতা তা ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রয়োজন কিভাবে মেটাবে বোধগম্য হলো না। তবে ২৮৩ রান খারাপ নয়। আশা করেছিলাম ৩১০-৩২০ করে আরো ভালো জবাব দেবে তারা। আফসোস ৩৫ ওভারে ২০২ হবার পরেও শেষ ১৫ ওভারে ৭ উইকেট নিয়ে ১০০ রান যোগ করতে পারলো না টেল-এন্ডাররা।



মেলা বকলাম, এবার থামি। শেষ কথা বলবো দলে আরো দুইজন হার্ডহিটার দরকার ছিল। রিয়াদ-নাইম বা রকিবুল-জুনায়েদ নামক ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ৩০০ রান চেজ করার চিন্তা অসম্ভব। তবুও ভালো খেলেছে বাংলাদেশ, সামনে আরো ভালো খেলবে এটাই প্রত্যাশা। পনের কোটি মানুষের আশা তো এমনি এমনি মিটিয়ে যাবার নয়।

ব্লগারে ফেসবুক লাইক বাটন

ইদানিং ব্লগিং খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আবার ফেসবুকও অন্যতম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। দুটোর মেলবন্ধনের জন্য ফেসবুক লাইক বাটনটি কাজের। কিভাবে এটি ব্লগারে যুক্ত করা যায় ? খুবই সহজ।

ফেসবুক লাইক বাটন ব্লগারে যুক্ত করার জন্য Dashboard → Design → Edit HTML এ যেতে হবে। Expand Widget Templates এ ক্লিক করে নিচের কোডটি খুঁজে বের করতে হবে।

<div class='post-header-line-1'/>

এটার পরে যুক্ত করতে হবে ফেসবুক কোডটি।
<script src="http://connect.facebook.net/en_US/all.js#xfbml=1"></script><fb:like show_faces="true" width="450" font="arial"></fb:like>

তারপর টেমপ্লেট সেভ করলেই পোস্টের শুরুতে যুক্ত হয়ে যাবে ফেসবুক লাইক বাটনটি।

আবার যদি পোস্টের শেষে লাইক বাটন দিতে চান তাহলে নিচের লাইনটি বের করে তার উপরে ফেসবুক কোডটি দিতে হবে।
<data:post.body/>

তারপর টেমপ্লেট সেভ করলেই হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

যেমন দেখলাম বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান








হয়ে গেল, শেষ পর্যন্ত শুরু হয়ে গেল দশম বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীদের চমৎকার পরিবেশনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি এককথায় ছিল অসাধারন। শুরু হয়েছিল বিসিবি সভাপতি কামাল সাহেবের বক্তৃতার মাধ্যমে। উনি ইংরেজীটা ভালো বললেও বাংলা অংশে এসে স্টেডিয়ামকে বানিয়ে দিলেন পল্টনের জনসভা। এরপর আমাদের খেলার প্রতি মন্ত্রী এলেন। তিনি দাঁত মুখ খিঁচে উচ্চস্বরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গেলেন। একবার শুনলাম তিনি বলছেন টু জিরো জিরো ওয়ান ওয়ার্ল্ড কাপ (!)। হায়রে মন্ত্রী তিনি টু থাউজ্যান্ড ইলেভেন সালের কথাও বেমালুম ভুলে গেলেন, অবশ্য কিছুদিন আগে নাকি তিনি বলেছিলেন সম্রাট শাহজাহান লাল কেল্লা বানিয়েছেন বাইশ বছরের সাধনায়। ওনার কাছে ভালো কিছু আশাও করিনি। ভালো লেগেছে অর্থমন্ত্রীর কথা। অত্যন্ত সাবলীলভাবে তিনি বলে গেলেন। ঐ সময়টায় শেয়ার বাজার নিয়ে তার বিভিন্ন কটূ মন্তব্য ভুলে গেলাম। গর্বে বুকটা ভরে উঠলো। একজন স্মার্ট মন্ত্রীর বক্তব্য শুনলাম। আইসিসি প্রেসিডেন্ট শারদ পাওয়ার ভালোই বলেছেন। বাংলা বলে আমাদের ভাষার প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন। তবে শেষে “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” বলে অনেকের চোখে হয়তো ভিলেন হয়ে গেছেন পাওয়ার সাহেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলায় ২০০১ সালের বিশ্বকাপ উদ্বোধনের কথাটা দৃষ্টিকটূ লেগেছে। ইংরেজীতে কি বললেন বুঝতে পারলামনা!











অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল দারুণ সব ফায়ারওয়ার্কস। প্রথমে এ প্রজন্মের কিছু শিল্পী একটা গান গাইলেন, তেমন একটা মন ছুঁতে পারেনি সেটা। তবে সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লাদের পরিবেশনা ছিল অত্যন্ত ভালো। এদের সাথে একই মঞ্চে মমতাজকে দেখে মনের কোথায় যেন খাপছাড়া ভাবটা জেগেছে। তবে শিল্প ব্যাংকের দেয়ালে খেলা ক্রিকেটে ছিল নতুনত্বের ছোঁয়া। এইডসের উপরে শেওয়াগ ও সাঙ্গাকারার করা প্রামাণ্যচিত্র ভালো ছিল। তবে এরচেয়েও দৃষ্টিনন্দন ছিল পর্যটন কর্পোরেশনের করা প্রামাণ্যচিত্র। ধন্যবাদ তারা পেতেই পারে। ভারতের শিল্পীদের পরিবেশনার চেয়ে ভালো লেগেছে শ্রীলঙ্কার পরিবেশনা। ভারতের নাচ-গান মনে হয়েছে সিনেমা নির্ভর। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, একাত্তর, উপজাতীয়দের জীবনচিত্র ইত্যাদি নিয়ে পরিবেশনা ছিল বেশ উপভোগ্য। তবে শেষদিকে কানাডিয়ান তারকা শিল্পী ব্রায়ান এডামসের পারফর্ম্যান্স পুরো অনুষ্ঠানকে দিয়েছে আন্তর্জাতিকতার চাদর। দারুণ গেয়েছেন এডামস তার দল নিয়ে। এরপর শঙ্কর-এহসান-লয়ের থিম সঙ পরিবেশনাও ছিল এককথায় অপূর্ব। শঙ্করের গলায় বাংলা শুনে মনে হয়নি তার মাতৃভাষা বাংলা নয়। তাদের গানের তালে তালে সন্ধ্যার আকাশ আগুনের রঙে রাঙিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

তবুও একটা কথা বলা হয়নি। বিশ্বকাপ মাস্কট স্টাম্পি ট্রলিতে চেপে মাঠে প্রবেশ করে। মূল মঞ্চে অংশগ্রহণকারী চৌদ্দ দলের অধিনায়কদের রিকশায় করে আসাটা ছিল ব্যতিক্রমি উদ্যোগ। সনু নিগাম তাদের দাঁড় করিয়ে গেয়েছিলেন যেটা ভালো লাগেনি আমার। এরচেয়ে ভালো ছিল ছায়ানটের শিল্পীদের গাওয়া সেই গান, যা জাগিয়ে তোলে দেশমায়ের প্রতি ভালোবাসা।

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।”

ব্লগারে NavBar ফেরত আনুন

ব্লগারে নতুন টেমপ্লেট ইনস্টল করলে অনেক সময় NavBar দেখা যায় না। নতুন পোস্ট করার জন্য এটা উটকো ঝামেলা। তবে সমাধানও আছে। এজন্য প্রথমেই ড্যাশবোর্ডে যান। তারপর ডিজাইন এ যান। এডিট এইচটিএমএলে নিচের কোডটি খুঁজে বের করুন।

#navbar-iframe {
display: none !important;
}

এটি মুছে দিন অথবা ডিজেবল করে দিন নিচের মত।

#navbar-iframe {
#display: none !important;
#}

এবার কোডটি সেভ করে ব্লগে ঢুকুন। দেখবেন NavBar চলে এসেছে।

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা

ঘনিয়ে আসছে সময়। বাংলাদেশে উদ্বোধন হতে চলেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দশম আসর। আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টার অপেক্ষা। তারপর সেই ক্ষণ, তিন দেশের সঙ্গীত শিল্পীদের সুরের মূর্ছনায় ভেসে যাবে ক্রিকেট বিশ্ব। বাড়তি পাওয়া কানাডিয়ান শিল্পী ব্রায়ান এডামসের পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপ উপলক্ষে দারুণ সাজে সেজেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ঢাকার রাস্তায় লেগেছে আলোকসজ্জা। মিডিয়ায় ক্রিকেট বিশ্লেষকদের আলোচনার ঝড়, বিজ্ঞাপনে ক্রিকেট, টি-শার্টে বিশ্বকাপ, পাড়ায়-মহল্লায় আলোচনায় বিশ্বকাপ। সবই ঠিক আছে, তবুও কোথায় যেন অনিশ্চয়তা। ফতুল্লায় সিঁড়ি ভেঙে কানাডার একজন ক্রিকেটারের আঘাত পাওয়া, চট্টগ্রামে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি ভালো সব কাজের ভিড়ে কলঙ্কের ছাপ ফেলেছে বৈকি। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি সফল আয়োজক হবার। যাতে সবাই মনে রাখে বাংলাদেশের আয়োজনের কথা। ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই তো এসব ত্রুটি সারাতে হবে, যাতে এবারের হাত ধরে আগামীবার আরো জাঁকজমক হতে পারে আয়োজন। বিসিবির নিজস্ব স্টেডিয়াম থাকলে হয়তো এখনও অব্যবস্থাপনা থাকতো না, দুর্ভাগ্য সবই ক্রীড়া পরিষদের হাতে। তারা ফাইল চালাচালি করে কালক্ষেপণ করে বিশ্বকাপ আয়োজনে কালিমা লেপনের কর্মটি প্রায় করে ফেলেছেন। তবুও চেষ্টা চলছে সবকিছু ঠিকঠাক করার, করতেই তো হবে। দেখাতে হবে না, ইচ্ছা করলে আমরা ৯ মাসেও স্টেডিয়াম প্রস্তুত করতে পারি।

বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

Zypper এর যতো কমান্ড

জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রো ওপেনস্যুযের রিপোজিটরি ও প্যাকেজ ম্যানেজম্যান্টের জন্য কার্যকরী কমান্ডলাইন টুল হচ্ছে যিপার (zypper)। আজকে যিপারের কিছু প্রয়োজনীয় কমান্ড শিখে রাখব।

রিপোজিটরি লিস্ট দেখার জন্য:
zypper repos
রিপোজিটরি যুক্ত করার জন্য:
zypper addrepo URL Alias
অটোরিফ্রেশ চালু করার জন্য:
zypper modifyrepo -r Alias
ম্যানুয়ালি রিপোজিটরি রিফ্রেশ করার জন্য:
zypper refresh -r Alias
রিপোজিটরি মুছে ফেলার জন্য:
zypper rr Alias (example: zypper rr Packman)
প্যাকেজ খোঁজার জন্য:
zypper search Package_Name
প্যাকেজের তথ্য জানার জন্য:
zypper info Package_Name
প্যাকেজ ইনস্টল করার জন্য:
zypper install Package_Name
প্যাকেজ মুছে ফেলার জন্য:
zypper remove Package_Name
অফিসিয়াল প্যাচগুলো সিস্টেমে সহজলভ্য করার জন্য নিচের কমান্ড দিতে হবে।
zypper update
যদি রিপোজিটরিতে প্যাচ না থেকে শুধু নতুন প্যাকেজ থাকে তাহলে যিপার আপডেট করে তেমন একটা লাভ নেই। তাই নিচের কমান্ড দিয়ে বলতে হবে প্যাকেজগুলো আপডেট করতে হবে।
zypper update -t package
নতুন প্যাকেজগুলোর লিস্ট পেতে নিচের কমান্ড দিতে হবে।
zypper list-update -t package
এগুলোই কমন কিছু কমান্ড। আরো কমান্ড যুক্ত করার ইচ্ছে আছে, মনে পড়লেই যুক্ত করে দেব।

শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

উবুন্টুতে ইনস্টল করুন Twhirl

কয়েকদিন আগে বলছিলাম ওপেনস্যুযেতে কি করে টুইটার ক্লায়েন্ট Hotot ইনস্টল করতে হয়। আজকে বলবো উবুন্টুতে কি করে আরেকটি টুইটার ক্লায়েন্ট Twhirl ইনস্টল করা যায়। এটি উইন্ডোজ ও ম্যাকের জন্য হলেও লিনাক্সের জন্য কোন ভার্সন দেয়া হয়নি। সমস্যা যখন আছে তখন সমাধানও আছে। ধাপে ধাপে দেখি কি সমাধান দেয়া যায়।

প্রথমেই Adobe AIR ডাউনলোড করতে হবে। এজন্য টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি চালান।

wget http://airdownload.adobe.com/air/lin/download/latest/AdobeAIRInstaller.bin

ইনস্টলেশন শেষ হলে পার্মিশানের জন্য নিচের কমান্ডটি দিন।
sudo chmod +x AdobeAIRInstaller.bin
Adobe AIR ইনস্টল করার জন্য নিচের কমান্ডটি চালাতে হবে।

./AdobeAIRInstaller.bin

স্বাভাবিক নিয়মে ইনস্টলেশন শেষ হবে। প্রয়োজনে Yes বাটনে প্রেস করবেন। এরপর যেকোন ব্রাউজার দিয়ে লিঙ্কটি খুলুন। ছবিতে চিহ্ণিত বক্সে ক্লিক করলে ক্লায়েন্ট ইনস্টলেশন শুরু হবে।

www.ImageBanana.com - Selection_117.png

অনুমতি দেয়ার জন্য Yes বাটনে প্রেস করুন এবং ইনস্টলেশন শেষ করুন। তারপর দেখবেন ডেস্কটপে চলে এসেছে Twhirl আইকন। আর ঠেকায় কে, শুরু করে দিন টুইপলদের সাথে জম্পেশ আড্ডা।

বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ওপেনস্যুযেতে ইনস্টল করুন ভার্চুয়াল বক্স

ওপেনস্যুযে বর্তমানে অনেকের কাছেই প্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রো। দরকারী সব সফটওয়্যার সহজে ইনস্টল করা সম্ভবপর হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য উপায় দরকার হয়। একটি প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ভার্চুয়াল বক্স। এটি কি করে ইনস্টল করা যায় সেটিই বলবো এখন। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

প্রথমে কনসোল বা টার্মিনাল খুলে কিছু ডিপেন্ডেন্সি ইনস্টল করে নিতে হবে। এজন্য নিচের কমান্ডটি চালান। তবে তার পূর্বে রুটে প্রবেশ করতে হবে।
zypper in kernel-source make gcc gcc-c++ pam-devel kernel-syms
ইনস্টলেশনের সময় y চাপতে হতে পারে অনুমতি প্রদানের জন্য।

এবার এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন ভার্চুয়াল বক্সের প্যাকেজটি (32 বা 64 বিট)। মনে রাখতে হবে যদি 64 বিট ওপেনস্যুযে চালিয়ে থাকেন তাহলে amd64 প্যাকেজটি ডাউনলোড করতে হবে।

এরপর যে ফোল্ডারে ভার্চুয়ালবক্স ডাউনলোড হয়েছে সেখানে গিয়ে প্যাকেজটি ইনস্টল করতে হবে। টার্মিনাল/কনসোল খুলে নিচের কমান্ড দিন (আমি যেভাবে সেভাবে হবে শুধু ফোল্ডার, প্যাকেজ পরিবর্তন হতে পারে)।

cd Downloads
zypper in VirtualBox-4.0-4.0.2_69518_openSUSE113-1.x86_64.rpm

এরপর Yast → Security & User → User & Group Management এ যান। ইউজার নেমে ক্লিক করা অবস্থায় এডিট এ ক্লিক করুন। ডিটেইলস ট্যাবে গিয়ে vboxusers, cdrom, disk এ টিক চিহ্ণ দিয়ে বেরিয়ে আসুন।
লগ-আউট করে আবার লগ-ইন করুন। এবার ভার্চুয়াল বক্স চালান সিস্টেম মেনু অথবা কনসোলে VirtualBox টাইপ করে।

সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ওপেনস্যুযেতে ইনস্টল করুন Hotot

ইদানিং টুইটার চমৎকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্ষুদ্র বার্তা পাঠানোর জন্য ওয়েবের পাশাপাশি কিছু ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে টুইটিং করার জন্য। Hotot এরকম একটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন। উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্টে সহজে ইনস্টল করা গেলেও ওপেনস্যুযেতে খুব একটা সহজ নয়। এখন দেখব কি করে চমৎকার এই টুইটার ক্লায়েন্টটি ওপেনস্যুযেতে ইনস্টল করা যায়।

প্রথমেই কনসোল খুলে নিচের কমান্ডটি লিখতে হবে ডিপেন্ডেন্সিগুলো ইনস্টল করার জন্য।
sudo zypper in python-webkitgtk mercurial python-notify python-distutils-extra gnome-common mercurial git
এরপর কীবাইন্ডার ইনস্টল করার জন্য নিচের কমান্ডগুলো লিখতে হবে।
sudo zypper ar http://download.opensuse.org/repositories/X11:/xfce/openSUSE_11.3/ XFCE
sudo zypper in python-keybinder
এবার আমরা ক্লায়েন্টটি ইনস্টল করব। এজন্য মারকিউরিয়াল রিপোজিটরির ক্লোন তৈরী করে ক্লায়েন্টটি রান করব। শুরুতেই রুটে যেতে হবে।
su
Password:
পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার চেপে রুটে প্রবেশ করুন। এবার নিচের কমান্ডগুলো একে একে দিয়ে এন্টার চাপুন।
hg clone https://hotot.googlecode.com/hg/ hotot
cd hotot
./install
এখানে (./install ) এর পরিবর্তে (./hotot.py) এই কমান্ডও চালাতে পারেন। ইনস্টল হয়ে গেলে Application → Internet → More Program এ Hotot দেখতে পাবেন।

উপরোক্ত পদ্ধতিতে সহজেই টুইটার ক্লায়েন্টটি ইনস্টল করে ফেলতে পারবেন ওপেনস্যুযেতে।

রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ওয়ানডে তালিকায় আট নম্বরে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ টেস্ট পরিবারের সদস্য হয়েছে প্রায় দশ বছর। এখনো আমরা তলানির টেস্ট দল। জিম্বাবুয়ে আভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিজেদের তুলে না নিলে এখনো হয়তো দশ নম্বরেই পড়ে থাকতো বাংলাদেশ। এখন নয় নম্বর, জিম্বাবুয়ে যে খেলছে না। কিন্তু ওয়ানডেতে ভালো দলের তকমা বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের গায়ে। ম্যাচ জিতছে, সিরিজ জিতছে, তবুও একটা অতৃপ্তি ছিল। সেটা হচ্ছে ওয়ানডে দলের তালিকায় নয় নম্বর অবস্থানে থাকা, কিছুতেই যেন বাংলাদেশ উপরে উঠতে পারছিলো না। একটা না একটা ঝামেলা হয়ে যাচ্ছিল। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ বা ৪-১ ব্যবধানে হারাতে পারলেই নাকি নয় থেকে আটে উত্তরণ ঘটতো বাংলাদেশের। না হয়নি। প্রথম ম্যাচে চারটি রানআউট কেলেঙ্কারীতে হার আর একটি ম্যাচ চট্টগ্রামের মাঠ ভেজা থাকায় অনুষ্ঠিত না হতে পারায় ফসকে গেল সুযোগ। আবার প্রায় কাছাকাছি সময়ে আট নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রীলঙ্কায় বৃষ্টিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারলো না। এবার আচমকাই সুসংবাদটা পেয়ে গেল বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া সিরিজ আবার খেলতে শ্রীলঙ্কায় আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ হেরে ওডিআই তালিকার পয়েন্ট হারায় তারা, এই সুযোগে বাংলাদেশ উঠে গেল তাদের উপরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেমে গেল আট থেকে নয়ে। আর বাংলাদেশ উঠে এল আটে। বিশ্বকাপের আগে আর কোন খেলা নেই। তাই একথা বলা যায় এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপরে থেকেই খেলা শুরু করবে। এমন সময়ে ক্রিকেটাররা যদি নিজেদের দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তাহলে আরো সুসংবাদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে।

আসুন, তেমনি একটি সুসংবাদের আসায় বিশ্বকাপের কাউন্ট-ডাউন শুরু করি।

রিলিজ হয়েছে ডেবিয়ান স্কুইজ

লিনাক্সপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটলো অবশেষে। মুক্তি পেল “ডেবিয়ান স্কুইজ”। ডেবিয়ান কি সেটা লিনাক্স সম্পর্কে ধারণা আছে এমন প্রায় সবাই জানেন। অত্যন্ত স্টেবল এই অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তৈরী হওয়া উবুন্টু তো এখন লিনাক্সের অন্যতম ব্রান্ড। প্রায় পাঁচ বছর পর “ডেবিয়ান লেনি” বিদায় নিল। এখন তার জায়গায় এল “ডেবিয়ান স্কুইজ”। নতুন ডেবিয়ানের মুক্তি উপলক্ষ্যে ওয়েবসাইটের ডিজাইন পর্যন্ত পাল্টে ফেলেছে ডেবিয়ান কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীদের নতুনত্বের স্বাদ দিতেই হয়তো তাদের এ প্রয়াস।

এক নজরে দেখে নেয়া যাক কি কি বিশেষত্ব নিয়ে এল “ডেবিয়ান স্কুইজ” :-

লিনাক্স কার্ণেলের পাশাপাশি বিএসডি কার্ণেল ব্যবহারের সুবিধা
দুটো নতুন পোর্ট যুক্ত করা হয়েছে ফ্রী বিএসডি কার্ণেলে kfreebsd-i386, kfreebsd-amd64
কেডিই প্লাজমা ওয়ার্কস্পেস ও অ্যাপ্লিকেশন 4.4.5
আপডেটেড গ্নোম 2.30
এক্সএফসিই 4.6 ডিই
এলএক্সডিই 0.5.0
এক্স ডট অর্গ 7.5
ওপেন অফিস 3.2.1
গিম্প 2.6.11
প্রায় 29000 সফটওয়্যার প্যাকেজ, যা প্রায় 15000 হাজার সোর্স প্যাকেজ থেকে বানানো
ওপেনজেডিকে 6b18
প্রায় 10000 নতুন প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে
ডিপেন্ডেন্সি বেসড বুট সিস্টেমের কারণে বুটিং টাইম কম

আরো বিস্তারিত জানার জন্য ঘুরে আসতে পারেন মূল ওয়েবসাইট হতে। আর দেরী কেন, ইনস্টল করে ফেলুন “ডেবিয়ান স্কুইজ”; উপভোগ করুন ডেবিয়ানের পৃথিবী।

ডাউনলোড লিঙ্ক: সিডি/ডিভিডি ইমেজ

শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ফাএনজার জন্য লিব্রে অফিস আইকন

লিব্রে অফিস রিলিজ হয়েছে কিছুদিন হলো। আমরা যারা ফাএনজা আইকন সেট ব্যবহার করছি তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছি লিব্রে অফিস খুললে ফাএনজাতে ওপেন অফিসের আইকন দেখা যায়। এটা কেমন যেন লাগে। এজন্যই Funnyguy ফাএনজা আইকনে লিব্রে অফিসের জন্য চমৎকার কিছু আইকন তৈরী করেছেন। প্রথমেই গ্নোম লুক থেকে ডাউনলোড করে নিন কম্প্রেসড ফাইলটি। তারপর ডেস্কটপে এক্সট্রাক্ট করুন। টার্মিনাল খুলে ফাইলটির লোকেশনে যান।এরপর নিচের কমান্ডগুলো দিন।

sudo ./lo-install

পাসওয়ার্ড দিয়ে ইনস্টল করে ফেলুন আইকনগুলো।

www.ImageBanana.com - Docky_116.png

বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

উবুন্টুতে ইনস্টল করুন Atolm থিম

উবুন্টুর অনেক থিমের মাঝে আরেকটি থিমের কথা বলবো আজ। নতুন কাস্টমাইজ থিম এটম(Atolm)। টার্মিনালে পিপিএ'র মাধ্যমে কিংবা ম্যানুয়ালি ইনস্টল করা যায় চমৎকার এ থিম। থিমটি ইনস্টল করার আগে কিছু জিটিকে ইঞ্জিন ইনস্টল করা থাকতে হবে। এগুলো হলো মারিন (murrine), পিক্সবাফ (pixbuf) ও ইকুইনক্স (equinox)। এয়োকেন (AwOken) আইকন থিমও ইনস্টল করা থাকতে হবে। দেখা যাক এগুলো কি করে ইনস্টল করা যায়।

টার্মিনাল খুলে নিচের কমান্ডগুলো ক্রমান্বয়ে দিন।

এয়োকেন আইকন ইনস্টলের জন্য:

sudo add-apt-repository ppa:alecive/antigone && sudo apt-get update
sudo apt-get install awoken-icon-theme

মারিন ইনস্টলের জন্য:

sudo apt-get install gtk2-engines-murrine

ইকুইনক্স ইনস্টলের জন্য:

sudo add-apt-repository ppa:tiheum/equinox
sudo apt-get update
sudo apt-get install gtk2-engines-equinox

এটম থিম ইনস্টলের জন্য:

sudo add-apt-repository ppa:nikount/orta-desktop
sudo apt-get update
sudo apt-get install atolm-theme

কিছু ডেকোরেটর ইনস্টলের জন্য:

sudo apt-get install atolm-xfwm4-decorators
sudo apt-get install atolm-emerald-decorators

ইনস্টল হয়ে গেলে System → Preference → Appearance এ গিয়ে থিম সিলেক্ট করে দিন এটম। দেখুন চমৎকার একটি থিম কি করে আপনার উবুন্টুর চেহারাই পাল্টে দেয়।

আমার ডেস্কটপের একটা ছবি দিয়ে দিলাম। এতে অতিরিক্ত হিসেবে কংকি ও ডকি সেটআপ করা আছে।

বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

মুভি রিভিউ: ডিপার্চারস (২০০৮)

আজকে একটি ছবির রিভিউ বলব। ছবির নাম ডিপার্চারস। ছবিটি দেখেছি প্রায় দুই বছর আগে, লেখাটাও পুরনো।



এটি জাপানি ছবি যেটি বেশ কটি পুরস্কার জিতে নিয়েছে । ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে এক চাকরি হারানো যুবককে ঘিরে যে নিজের কষ্টগুলো নিজের ভিতর চেপে রাখে। টোকিও শহরে মিউজিক টিমে কাজ করা দাইগো যখন চাকরি হারিয়ে শখের বাদ্যযন্ত্রটি বিক্রি করে দেয় তখন অন্যরকম একটা অনুভূতি হয় । পরবর্তীতে সে চলে আসে নিজের শহরে যেখানে কাজ নেয় মৃতদেহকে সাজ-সজ্জা করানোর । একাজ মেনে নিতে না পেরে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায় । সে সময়ে দাইগোর অবলম্বন হয় ছোটবেলার কমদামি পুরনো বাদ্যযন্ত্রটি আর হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ ।একসময় সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ফিরে আসে দাইগোর কাছে যখন দাইগোর ডাক পড়ে কাছের একজন মানুষকে শেষবারের মত সাজানোর কাজের ।

ছবির শেষাংশে দেখা যায় ৩০ বছর আগে চলে যাওয়া পিতার জন্য সন্তানের ভালবাসা, দাইগোর স্মৃতিতে পিতার কোন চেহারা ছিল না।ছিল একজন পুরুষের হাতে ছোট্ট এক শিশুর তুলে দেওয়া একটি শ্বেতপাথরের ছবি। পিতার মৃতদেহের হাতে থাকা সেই পাথরটি মনে করিয়ে দেয় সন্তানের প্রতি জন্মদাতার অকৃত্রিম ভালবাসা । যে দৃশ্য জমতে থাকা কান্নাকে থামতে দিতে চায় না।মনে করিয়ে দেয় আমাদের চারপাশে থাকা শত শত পিতার কথা ।

আশা করি ছবিটি আপনাদের ভাল লাগবে । সময় পেলে দেখে ফেলুন DEPARTURES (Academy Award 2009 Winner & 10 Japan Academy Prize Winner) ।

উবুন্টুতে এলিগ্যান্ট থিম প্যাক

উবুন্টুতে সুন্দর সুন্দর সব থিম ইনস্টল করা যায় এটা সবাই জানি। আজকে দেখব এলিগ্যান্ট থিম ইনস্টল কিভাবে করা যায়। কথা না বাড়িয়ে দেখি কিভাবে কি করতে হবে।

প্রথমেই নিচের কমান্ডগুলো টার্মিনালে দিন।

sudo add-apt-repository ppa:murrine-daily/ppa
sudo apt-get update && sudo apt-get install gtk2-engines-murrine


আপনার নটিলাস ইলামেন্টারি আপডেট করার জন্য দিন নিচের কমান্ড।

sudo add-apt-repository ppa:am-monkeyd/nautilus-elementary-ppa
sudo apt-get update && sudo apt-get upgrade
nautilus -q #restarts nautilus


উল্লেখ্য sudo apt-get upgrade কমান্ড দিলে আপনার নতুন আপডেটগুলো ইনস্টল হবে। তাই এটি দিলে সময় নিয়ে দেবেন। আপগ্রেড না করেও ইনস্টল করতে পারেন। সবশেযে এলিগ্যান্ট গ্নোম প্যাক ইনস্টল করার জন্য নিম্নোক্ত কমান্ড দিন।

sudo add-apt-repository ppa:elegant-gnome/ppa && sudo apt-get update
sudo apt-get install elegant-gnome ttf-droid


আপনি লিনাক্স মিন্ট ব্যবহারকারী হলে elegant-gnome-mint এই কমান্ড দিন elegant-gnome এর পরিবর্তে। এবার Applications > Accessories > Elegant GNOME তে যান এবং ইনস্টলের জন্য Ok দিন।



এভাবেই আপনি ইনস্টল করতে পারেন এলিগ্যান্ট থিম প্যাক। আরেকটি কথা, যদি আপনার AwOken আইকন প্যাক ইনস্টল করা থাকে সেটি আনইনস্টল করে নিন সবার আগে। তারপর অন্য কমান্ড চালান।

sudo apt-get remove awoken-icon-theme

দেখুন কেমন দেখাচ্ছে এলিগ্যান্ট থিম ইনস্টলের পর।

সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১১

উবুন্টুর কনটেক্সট মেন্যুতে টার্মিনাল

লিনাক্স মিন্টে রাইট ক্লিক মেন্যুতে টার্মিনাল অপশনটি থাকে। অনেক উবুন্টু ব্যবহারকারী উবুন্টুতে এর অভাব বোধ করেন। সহজেই মাত্র একটি কমান্ডের মাধ্যমে আমরা উবুন্টুর রাইট ক্লিক মেন্যুতে এটি যোগ করতে পারি।

এজন্য Applications → Accessories → Terminal এ ক্লিক করে টার্মিনাল ওপেন করুন।

এরপর নিচের কমান্ডটি দিন।

পাসওয়ার্ড দিয়ে একটু অপেক্ষা করুন। ইনস্টলেশন শেষ হলে টার্মিনাল ক্লোজ করে লগ-আউট করুন।

লগ-ইন করে ডেস্কটপে রাইট ক্লিক করলে দেখবেন Open in Terminal অপশনটি চলে এসেছে।

শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১১

একটি ব্যাঙের গল্প ও আমরা

ইদানিং আমরা নিজের স্বত্তা ভুলে যাচ্ছি। অন্যকে নিয়ে মাতামাতি বেশী করছি। এই তো গত বছর ডিসেম্বর মাসে আর্মি স্টেডিয়ামে টাকার বিনিময়ে নাচানাচি করে গেলেন শাহরুখ খান, রানী মুখার্জি, অর্জুন রামপাল প্রমুখ। বাংলাদেশী দর্শকরা তাদের দেখার জন্য মাটিতে পর্যন্ত বসে পড়েছিল। এতে চাচা-কাকা জাতীয় মানুষজন ছিলেন এবং তারা মাঠে বসে এসব ভিনদেশী নাচ দেখেছেন। আমার অবাক লাগে সংক্ষিপ্ত পোষাকের মেয়েগুলোকে লুল জাতীয় পুরুষের মতো সেসব চাচারা অপলক নয়নে দেখেছেন। পাশে ভাতিজা টাইপের ছেলেগুলোও তাদের দেখছিল। লজ্জা লজ্জা, আমার লাগলেও তাদের লাগেনি। এটাই বড় লজ্জার। এখন শুনছি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আবার এরকম অনুষ্ঠান হবে ঢাকায়। তাতে নাকি আরো বড় চমক থাকবে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কাইফ, ম্যালাইকা অরোরা খান আসবেন। তাদের পোষাক কেমন হয় তা নিশ্চয় সচেতন পাঠক জানেন। গরমকালে তাদের যেমন গরম বেশী লাগে তেমনি আবার শীতকালেও তাদের গরম লাগে। তাই পোষাক সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এখন মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে তারা যদি নাভী দেখিয়ে, বুকের খাঁজ দেখিয়ে মুরুব্বিদের সামনে নাচেন এবং সাথে দর্শক সারিতে জোয়ান পোলাপানও থাকে তাহলে তা আমাদের জন্য হবে অত্যন্ত অপ্রীতিকর। সব পুরুষই এসব অভিনেত্রীরূপী নর্তকীদের দেখবে পাড়ার ইভটিজারের দৃষ্টিতে। সে ভুলে যাবে প্রিয়াঙ্কার মতোই তার একটা বোন আছে, কিংবা আছে একটা মেয়ে।

আমরা একদিকে লোকজনকে মেয়েদের কটূ কথা বলায় গালাগাল করি। আবার আমরাই ম্যালাইকা অরোরার “মুন্নি বদনাম হুয়ি তেরে লিয়ে” দেখে নিজেকে মুন্নির বদনামকারী ভাবি। দ্বৈতরূপে আমাদের জুড়ি মেলা ভার। নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে ক্যাটরিনা কাইফের “শিলা কি জওয়ানি” নিয়ে মশগুল থাকি। এসব গান না বাজালে মনে হয় জাতে ওঠা যায় না। তাই তো এসব স্বস্তা হিন্দী গান বাজাতে বাজাতে, বেসুরো গলায় গাইতে গাইতে নিজেদের জাতে তুলি।

কয়দিন আগে একজন জনপ্রিয় লেখকের একটা কলামে একটা গল্প পড়লাম। সেটা দিয়েই শেষ করি।

একটি পানশালায় একজন লোক এসে বলল সে ম্যাজিক দেখাবে। যেহেতু তার কাছে অর্থ নেই তাই ম্যাজিকের বিনিময়ে মদ চাইছে। ম্যানেজার রাজি হয়ে গেল। লোকটি একটি ইঁদুর বের করলো, টেবিলের উপর রাখতেই সে নাচতে লাগলো। ম্যানেজার খুশি হয়ে তাকে মদ দিলো। পরেরদিন সে আবার এলো, আবার ম্যাজিক। এবার সে একটি ব্যাঙ বের করলো। ব্যাঙটি গান গাইতে লাগলো। এটা দেখে এক লোক ব্যাঙটি কেনার জন্য দরদাম শুরু করলো। ভালো দামে ব্যাঙটি কিনে নিল লোকটি। ম্যাজিশিয়ানকে এবার ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করলো কেন সে গান গাওয়া ব্যাঙটি বেচে দিল ? ম্যাজিশিয়ান বললো ব্যাঙটি গান গায়নি। গেয়েছে ইঁদুরটি, ব্যাঙটি লিপসিং করেছে শুধু। তাই ব্যাঙের দাম তার কাছে নেই। সেজন্য ব্যাঙটি বেচে দিয়েছে।

এখন আমরাও মনে হয় তেমন হয়ে যাচ্ছি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে ব্যাঙই আনছি, যার আসলেই কোন মূল্য নেই।

শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১১

১৫ জন ক্রিকেটার ও ৩ নির্বাচক সাথে ১ জন সমালোচক

আমরা সহজ কথা বুঝতে চাই না, বুঝলেও জল ঘোলা না করে বুঝি না। নিজের কথাই বলি, পড়ালেখা যখন করতাম তখন পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর না পেলে মনে হতো শিক্ষক মহাশয় হয়তো আমার প্রতি রুষ্ট। তাই নম্বর কম দিয়েছেন। নিজে যে পড়ায় ফাঁকি দিয়েছি সেটা বুঝতেই চাইতাম না। তরকারীতে লবণ না হলে লঙ্কাকাণ্ড না বাধিয়ে অনেকেই শান্তি পান না। রন্ধনও যে একটা শিল্প আর তা যে ত্রুটিযুক্ত হতে পারে তা বুঝতে চাই না। রাঁধুনীকে গালাগাল না করলে ভাত হজম হয় না। এসবের অবতারণা করলাম কিছু মনের কথা বলবো বলে। আমি বরাবরই বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজ-খবর রাখি। বিশ্বকাপের দল নিয়েও ছিল বিস্তর আগ্রহ। স্থানীয় মিডিয়া, সাবেক ক্রিকেটার, সাধারণ পাঠক সবাই ছিল নানান রকম বিশ্লেষণে ব্যস্ত। যার যার যুক্তিতে সবাই দল সাজিয়েছেন। আমিও বাদ যাই কেন ?

দল নাকি নির্বাচকেরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন। ঘোষণার বাকি ছিল। যাতে নাম ছিল না মাশরাফি বিন মুর্তজার। বর্তমান নির্বাচকদের চক্ষুশূল অলক কাপালী, সৈয়দ রাসেল তো বরাবরের মতোই উপেক্ষিত। তো এই দল বিসিবি অনুমোদন দিতে গিয়েই ঝামেলাটা বাধল। মাশরাফি দলে নাই, তাহলে অভিজ্ঞ অলককে নেয়া হোক। আশরাফুলের ওপরও বিসিবির ভরসা নেই, তাই সেও বাদ পড়ুক। না, নির্বাচক মন্ডলী তা হতে দিবেন না। তাহলে নাকি তারা পদত্যাগ করবেন। দুইদিন ধরে চলল ম্যারাথন মিটিং। দল ঘোষণার শেষ দিনে সকালে আশরাফুল বাদ পড়ে অলক ঢুকছেন আর নির্বাচকেরাও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ভাসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত এমনটি হয়নি। আশরাফুল বহাল তবিয়তে দলে আছেন, বেচারা অলক এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন। মাশরাফি বাদ পড়লেন ইনসজুরির অজুহাতে।

নির্বাচকেরা কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। দেখা যাক সেগুলো কি:

আশরাফুল : অভিজ্ঞতা, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স তাই সে দলে। বড় আসরের খেলোয়াড় সে।
অলক কাপালী : সে দুই বছর ধরে দলে নেই, ঘরোয়া ক্রিকেট তেমন কিছু করতে পারেনি। তাই এবার রাখলাম না।
মাশরাফি : ইনজুরি আক্রান্ত বলে ফিট নয়। তাই সে উপেক্ষিত।

যুক্তির পসরা ভালোই সাজাতে পারেন নির্বাচকেরা। আশরাফুল বড় আসরের খেলোয়াড়, এটা ঠিক অস্বীকার করছিনা। তবে বর্তমানে যারা ক্রিকেটের খোঁজ রাখেন তারা জানেন আশরাফুল আমাদের জন্য নারীদের চেয়েও যেন ছলনাময়ী। কখন তার ব্যাট কথা বলবে, কখন তিনি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবেন কে জানে! তার স্বমহিমা কি সেটাও গবেষণার বিষয় হতে পারে। এক ম্যাচ ভালো করে পরের অনেকগুলো ম্যাচ নিশ্চিত জেনে শীতনিদ্রা দেয়া নাকি ঐ যে কদাচিৎ এক ম্যাচ ভালো খেলা সেটা? ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময় ভালোই খেলে আশরাফুল, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স কখনোই ভিনদেশী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনূদিত হয়নি। তবুও তিনি বারবার একই যুক্তিতে দলে আসেন এবং আমরা হতাশ হই। নির্বাচকদের সাথে আছে মিডিয়া, তারা দোষ-গুণের মানুষ আশরাফুলকে শুধু গুণবাচক বিশেষণে বিশেষায়িত করেন। তাই জনগণের প্রবল আপত্তি ধোপে টিকে না, আশরাফুল দলে ঢোকেন আর আমরা মার্কা মারা জনগণ পাড়ায়, কলেজের ক্যান্টিনে আড্ডায় বসে সেসব নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকি। একেকজন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ কিনা!

অলক কাপালীর প্রসঙ্গে আসি। এই ছেলের ফ্যান আমি তখন থেকে যখন রেডিওতে ঢাকা লীগের খেলা প্রচার হতো। তখন অলক মনে হয় সদ্য খেলা শুরু করেছে, নিয়মিত রান করছে, উইকেট নিচ্ছে। ভাবতাম ভারতীয় নাকি। পরে তাকে ব্যাট করতে দেখি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে, টিভির পর্দায় অবশ্যই। তার ব্যাটিং সৌন্দর্যে দারুণ মুগ্ধ হয়ে যাই, তার লফটেড শট, অফ ড্রাইভ, পুল-হুক দারুণ শিহরণ জাগায় তখন। কারণ দলে এমন ছবির মতো সুন্দর ব্যাটিং কেউ করতে পারতো না। তো সেই অলক সময়ের বাঁকে পড়ে দল থেকে হারিয়ে গেল। আশরাফুল যদি বারবার সুযোগ পেতে পারে তাহলে অলক কেন নয় ? আশরাফুল ২০০৫ সালে অসিদের বিপক্ষে করা শতক দিয়ে দলে বারবার আসতে পারলে অলকের আছে ২০০৮ সালে ভারতের সাথে করা শতরান কেন বিবেচনায় আসবে না ? সেই শতরানও যে যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক ছিল তা মিডিয়াও স্বীকার করে। ম্যাচ যেতা হয়নি চারটি ক্যাচ মিস করায়, নাহয় ২৮০ এর ঘরে রান থেকেও দল হারে কি করে ? অলক নেই হয়তো তার লবিং নেই বলে, মিডিয়াও অন্ধের মতো‌ তাকে ভালোবাসে না। একটা তথ্য দিয়ে অলককে নিয়ে কথা শেষ করছি। এবারের লীগে মোহামেডান ৩৩৯ রান করেছিল। সে রান তাড়া করে অলকের গাজী ট্যাংক। ফল কি হয়েছিল জানেন ? গাজী ম্যাচ জিতে নেয় যেখানে অলক করেন ৩৫ বলে ৬৩ রান (অপরাজিত), এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড কেউ বের করতে পারলেন না স্মৃতি হাতড়েও।

মাশরাফির ইনজুরি যেমনই হোক তাকে দলে না নেয়ায় খুব আপসেট হইনি। এমনিতেই দুই জন পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ, খেলার মাঝে যদি মাশরাফি আবার বল করতে গিয়ে পড়ে যায় ? কে হবে থার্ড সিমার ? এ উত্তর জানা নেই, তাই এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচকদের ধন্যবাদ। মাশরাফির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা।

এত কিছু বললাম, যে দল ঘোষিত হলো সেটা নিয়ে কিছু বললাম না। এটা ঠিক হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দলে ওপেনার আছেন চারজন (তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস ও জুনায়েদ সিদ্দীক)। এদের মধ্যে তামিম ও ইমরুল ওপেন করবে নিশ্চিত। তবে তিন নাম্বারে জুনায়েদ না নাফিস এই প্রশ্ন আমাকে করলে আমি নাফিসকে বেছে নিলেও সিডন্স সম্ভবত জুনায়েদকেই বেছে নিবেন। তাই নাফিসকে একাদশে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। চারে রকিবুল হাসানকে নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও সিডন্সের ভালোবাসায় সিক্ত রকিবুল অটোমেটিক চয়েস। তাই আশরাফুলকেও একাদশের বাইরে থাকতে হবে। এরপর যথারীতি সাকিব, মুশফিক, নাইম, শুভ, শফিউল, রাজ্জাক, রুবেল। এই মোটামুটি দল হতে পারে। তবে এসব প্লেয়ারদের মধ্য হতে আমি দল সাজালে নিম্নরূপ হবে:

তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মো: আশরাফুল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাইম ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন। দলের বাইরে থাকবে জুনায়েদ সিদ্দীক, রকিবুল হাসান, রুবেল হোসেন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলে বৈচিত্র্য কম, অলক কাপালীর জন্য আবারো আফসোস হচ্ছে। শুভর জায়গায় সে থাকলে দলটা আরো ব্যলান্সড মনে হতো। বর্তমান দল খুব খারাপ করবেনা, আবার একদম ফাটাফাটি ফল করবে বলে মনে হয় না। তবে একাদশ নির্বাচন ও ব্যাটিং অর্ডার সাজানোয় দক্ষতার পরিচয় যদি ম্যানেজম্যান্ট দিতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়। অন্যথায় বাজে রেজাল্টের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।

সবশেষে শুভকামনা দলের জন্য। সকল সমালোচনা শেষ হয়ে যাবে দল ভালো করলে। আর যদি নির্বাচকদের একগুঁয়েমিতে দল খারাপ করে বসে তাহলে মানুষের কাছে ভিলেন হয়ে থাকবে নির্বাচক কমিটি ও বিসিবি।

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১১

লিব্রে অফিস ফাইনাল ভার্সন ইনস্টলেশন পদ্ধতি

অবশেষে লিব্রে অফিস ফাইনাল ভার্সন মুক্তি পেল। আমরা ব্যবহারকারীরাও আরেকটি অফিস স্যুট ব্যবহারের সুযোগ পেলাম। কথা না বাড়িয়ে দেখি কি করে ইনস্টল করা যায় পিপিএ'র মাধ্যমে ও ডাউনলোড করে।

টার্মিনালে পিপিএ যুক্ত করে ইনস্টলেশন
প্রথমেই ওপেন অফিস আনইনস্টল করে নিন। তারপর লিব্রে অফিসের পিপিএ রিপোতে যুক্ত করে আপডেট করে নিন।

sudo apt-get remove openoffice*.*
sudo add-apt-repository ppa:libreoffice/ppa
sudo apt-get update
sudo apt-get install libreoffice

আরো ভালো ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশনের জন্য নিচের দুটো লাইনের যে কোনটি টার্মিনালে চালাতে পারি:

গ্নোমের জন্য-
sudo apt-get install libreoffice-gnome
কেডিইর জন্য-
sudo apt-get install libreoffice-kde

ওপেন অফিস রিমুভের সময় স্পেলচেকার ও ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট প্যাকেজ মুছে গিয়ে থাকতে পারে। তাই নিচের কমান্ড চালিয়ে সেগুলো ফিরিয়ে আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
sudo apt-get install language-support-en

ডাউনলোড করে ইনস্টলেশন

এতো গেল টার্মিনালে কি করে কমান্ড চালিয়ে লিব্রে অফিস ইনস্টল করা যায় সেটা। যদি এত কষ্ট না করতে চান তাহলেও আপনার জন্য সমাধান আছে। চলে যান লিব্রে অফিসের সাইটে এবং ডাউনলোড করে নিন প্রয়োজনীয় প্যাকেজ (ডেবিয়ান .deb বা আরপিএম .rpm)। ইচ্ছে করলে টরেন্টও নামাতে পারেন। ডাউনলোড করে এক্সট্রাক্ট করুন সুবিধামতো স্থানে। তারপর DEBS ফোল্ডারটি (আমি উবুন্টুতে ইনস্টল করেছি বলে এমন ফোল্ডার) খুঁজে বার করে রাইট ক্লিক করে টার্মিনালে খুলুন। তারপর নিচের কমান্ড চালিয়ে সব ডেবিয়ান ফাইল ইনস্টল করে ফেলুন।
sudo dpkg -i *.deb

এরপরে সে ফোল্ডারে ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশান নামের ফোল্ডারে ঢুকতে হবে এবং উপরের কমান্ড আবার চালাতে হবে।

cd desktop-integration
sudo dpkg -i *.deb

আর যদি অন্য অপারেটিং সিস্টেম (ফেডোরা বা ওপেনসুয্যে) হয় তাহলে RPMS ফোল্ডারটি খুলতে হবে রাইট ক্লিকে টার্মিনাল দিয়ে। তারপর নিচের কমান্ড চালাতে হবে।

ফেডোরার জন্য:
su -c 'yum install *.rpm'
ওপেনসুয্যের জন্য:
rpm -Uvh *.rpm

ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশানের জন্য:
cd desktop-integration

ফেডোরার জন্য-
su -c 'yum install *redhat*.rpm'

ওপেনসুয্যের জন্য-
rpm -Uvh *suse*.rpm

এভাবে ডাউনলোডকৃত ফাইল ইনস্টল করা সম্ভব। তো আর দেরী কেন, ইনস্টল করে ফেলুন লিব্রে অফিস।

মুভি রিভিউ : লিভ হার টু হিভেন (১৯৪৫)

কয়দিন আগে দেখলাম একটি চমৎকার ছবি “লিভ হার টু হিভেন” (১৯৪৫)। এটি একটি রোমান্টিক ছবি। শীতের এক রাতে দেখতে বসে গেলাম। রিভিউ ভালো লিখতে পারিনা। তবুও একটা চেষ্টা চালালাম।

ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন লেখক। যাকে ভালোবেসে বিয়ে করে এক তরুণী। বিয়েটা হয় হঠাৎ করে। অনেকটা এক তরফা ভালোবাসা মনে হয় কিছু মুহুর্তে। তরুণ লেখক তার শারিরীক প্রতিবন্ধী ভাইকে প্রচন্ড ভালোবাসে। যা সহ্য করতে পারেনা তার নতুন বউ। তবুও স্বামীর সুখের কথা ভেবে বউটি অসুস্থ দেবরের সেবা করে যায়। সে তার প্রিয় লেখক স্বামীকে একান্তে পেতে চায়, কিন্তু পায়না তার লেখার ব্যস্ততায়। অবসর সময়টুকু কেটে যায় ভাইয়ের সাথে গল্প করে। দিন চলে যায়, একসময় রিচার্ড (লেখক) তার ভাইয়ের অনুরোধে তাদের পুরনো বাড়িতে ফিরে যায়। সেখানে এক সকালে গোসল করতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে মারা যায় রিচার্ডের ভাই। সাঁতারে দক্ষ এলেন (লেখকের বউ) পাশে থাকার পরেও ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না রিচার্ড। এমন সময় তার ঘরে নতুন অতিথির আগমন বার্তা ঘোষিত হয়। শোক ভুলতে শুরু করে রিচার্ড। এলেন আবার তার স্বামীকে দূরে সরে যেতে দেখে। এবার তার সময় দখল করে নিচ্ছে এলেনের সৎবোন। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এলেনের। এবার আর সহ্য করতে পারেনা রিচার্ড। সে সন্দেহ করে এলেনই তার ভাইয়ের মৃত্যু ও বাচ্চার মৃত্যুর জন্য দায়ী, এলেন তা স্বীকারও করে নেয়। রিচার্ড তাকে ছেড়ে চলে যায়। এদিকে তখন নতুন চক্রান্ত করে এলেন। সে আত্নহত্যা করে, তবে এমনভাবে ঘটনা সাজায় যাতে ফেঁসে যায় তার ছোট বোন ও স্বামী রিচার্ড। তবে শেষ পর্যন্ত ছোট বোনটি বেঁচে গেলেও দুই বছরের সাজা হয় রিচার্ডের। একসময় রিচার্ড ফিরে আসে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকা রুথ (এলেনের ছোট বোন) ফিরে পায় তার ভালোবাসা।

ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চল্লিশের দশকের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী Gene Tierney (Ellen), রিচার্ডের চরিত্রে Cornel Wilde এবং রুথের চরিত্রে Jeanne Crain; আপনারা ছবিটি দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। আইএমডিবি রেটিং ৭.৭, এটি অস্কার পেয়েছিল (বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি)। অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল তিনটি ক্যাটাগরিতে (বেস্ট অ্যাকট্রেস, বেস্ট আর্ট ডিরেকশান-ইন্টেরিয়র ও বেস্ট সাউন্ড রেকর্ডিং)। একটি মাস্টারপিস ছবি, কালেকশনে রাখার মতো।

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১১

ওপেনসুয্যের ড্রাইভগুলো রাইট এনাবল করার উপায়

ওপেনসুয্যে ইনস্টল করার পরে এনটিএসএস ড্রাইভগুলো অটোমাউন্ট হলেও রাইট প্রটেক্টেড থাকে, যা বিরক্তিকর। এ থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায় হলো এফস্ট্যাব ফাইলটি এডিট করা। এজন্য প্রথমেই কনসোল বা টার্মিনাল খুলতে হবে। তারপর নিচের কমান্ড দিতে হবে:

kdesu kwrite /etc/fstab

পাসওয়ার্ড চাইলে দিয়ে এন্টার চাপতে হবে।

নতুন যে ফাইল খুলবে তাতে এনটিএফএস ড্রাইভগুলোর এন্ট্রির পাশে নিচের লাইনটি থাকবে,

users,gid=users,fmask=133,dmask=022,locale=en_US.UTF-8

এটি মুছে নিচের লাইনটি লিখতে হবে,

defaults,locale=en_US.UTF-8

তারপর ফাইলটি সেভ করে বেরিয়ে আসতে হবে। এরপর পিসি রিস্টার্ট করলে এনটিএফএস ড্রাইভগুলো রাইট এনাবল হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১১

আমি এখন ওপেনসুয্যে চালাই

লিনাক্সের সাথে তো অল্পদিনের পরিচয় না, পিসি কেনার পর থেকেই লিনাক্স বিষয়ক লেখা পড়ি। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার করা শুরু করি উবুন্টু 9.04 থেকে যা 10.04 এ পূর্ণতা লাভ করে। লিনাক্স মিন্টও চালাতাম এর পাশাপাশি। মাঝে শখের বশে ফেডোরা কেমন বুঝতে চেয়েছিলাম, মন কাড়তে পারেনি ফেডোরা। এখন ওপেনসুয্যে ট্রাই করছি, এখন পর্যন্ত বেশ লাগছে। কিছু সমস্যা ফেস করেছিলাম। সেগুলো কাটিয়ে উঠেছি। সমস্যাগুলো হল:

এনভিডিয়া ড্রাইভার ইনস্টলেশন, জেডাউনলোডার ইনস্টলশেন, ডেলুগ্যে ইনস্টলেশন, ফায়ারফক্সে ইউটিউবে সাউন্ড না আসা (পালস অডিও ইনস্টল করে এটা দূর করেছি) ইত্যাদি। পালস অডিও ইনস্টল করে ভিএলসি প্লেয়ারের সাউন্ড সংক্রান্ত সমস্যা চলে গেছে। ক্যাফেইনের সাউন্ডের ঝামেলা যায়নি, অসুবিধা নেই। আমি ভিএলসিতেই ভিডিও চালাই। ডেলুগ্যের সমস্যা ছিল ফায়ারওয়ালে, ফায়ারওয়াল বন্ধ করে দিতেই ঠিক। আমার এইচপি প্রিন্টারটাও বেশ চলছে। গিম্প, ওপেনঅফিস, ফায়ারফক্স দেয়াই ছিল। আমি গুগল ক্রোম, পিকাসা, পিজিন এগুলো ইনস্টল করে নিয়েছি। এখন ভালোই চলছে আমার ওপেনসুয্যে। ভার্সনটা 11.3 কেডিই। গ্নোম ট্রাই করার ইচ্ছে আপাতত নেই, কেডিই দারুণ লাগছে। বুঝতে পারছিনা ওপেনসুয্যেই আমার প্রধান অপারেটিং সিস্টেম হয়ে যায় কিনা!

এবার কয়েকটা ছবি দেই আমার ওপেনসুয্যে পাওয়ার্ড ডেস্কটপের।








(ছবি বড় করে দেখার জন্য ছবিতে ক্লিক করুন)

বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১১

ওপেনসুয্যেতে ইনস্টল করুন সাম্প্রতিক এনভিডিয়া ড্রাইভার

ওপেনসুয্যে অপারেটিং সিস্টেমে এনভিডিয়া গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার ইনস্টল কিভাবে করতে হয় তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন, ব্যাপারটা সহজ। একটু খেয়াল করলেই খুব সহজে এনভিডিয়ার সাম্প্রতিক ড্রাইভার (প্রপ্রাইটরি) ইনস্টল করা যায়। এখন ওপেনসুয্যের 11.3 ভার্সন সাম্প্রতিক বলে সেটিতে কিভাবে এনভিডিয়া ড্রাইভার ইনস্টল করা যায় দেখব।

প্রথমেই কার্ণেল আপডেট করে নিতে হবে।

YaST → Software → Software Repositories → Add

Protocol: HTTP
Server Name: download.nvidia.com
Directory on Server: /opensuse/11.3

এভাবে তথ্যগুলো যুক্ত করে বেরিয়ে আসুন। এবার এনভিডিয়া সার্ভারকে ইনস্টলেশন সোর্স হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যার ম্যানেজম্যান্টে যেতে হবে।

YaST → Software → Software Management

আপনার কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিলেক্ট হয়ে যাবে। নিচের যেকোন একটি প্যাকেজ হতে পারে,

a) x11-video-nvidia + nvidia-gfx-kmp-(kernel_flavor)

b) x11-video-nvidiaG01 + nvidia-gfxG01-kmp-(kernel_flavor)

c) x11-video-nvidiaG02 + nvidia-gfxG02-kmp-(kernel_flavor)
অতিরিক্ত কোন প্যাকেজ সিলেক্ট না হলে বুঝতে হবে আপনার কার্ড ড্রাইভার সাপোর্ট করছেনা। এজন্য কার্ণেল কম্পাইল করতে হবে। আমি সেদিকে যেতে চাচ্ছি না, অনেকের জন্য তা সমস্যার কারণ হতে পারে।

এবার বরাবরের মতো প্যাকেজগুলো ইনস্টলের জন্য অনুমতি দিয়ে অপেক্ষা করুন, ইয়াস্ট (YaST) সাম্প্রতিক ড্রাইভার ইনস্টল করে নেবে। তারপর পিসি রিস্টার্ট করে গ্রাফিক্সের মজা উপভোগ করুন।

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১১

ওপেনসুয্যেতে জেডাউনলোডার ইনস্টলেশন পদ্ধতি

ওপেনসুয্যে লিনাক্স ঘরানার জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও উবুন্টু, ফেডোরা, লিনাক্স মিন্ট ইত্যাদির মতো অনেকেই এর সাথে পরিচিত নন। তবুও যারা কিছুদিন এটি ব্যবহার করেছে তারা জানে ওপেন সুয্যে কেমন অপারেটিং সিস্টেম। ওপেনসুয্যে প্রথমবার ইনস্টল করলে (হতে পারে এটা আপনার প্রথম লিনাক্স ওএস কিংবা উবুন্টু থেকে ওপেনসুয্যেতে এসেছেন)। কিছু কমন সফটওয়্যার ইনস্টলেশনে সমস্যা হতে পারে। যেমন ভিএলসি প্লেয়ার, ডেলুগ্যে, জেডাউনলোডার ইত্যাদি।

আজকে আমি বলবো কি করে ওপেন সুয্যেতে জেডাউনলোডার ইনস্টল করতে হবে। এটি খুব ভালো ডাউনলোড ম্যানেজার। যা র‍্যাপিডশেয়ার, হটফাইল, মেগাআপলোড ইত্যাদি হোস্টে আপলোড করা ফাইল সহজে প্রিমিয়াম একাউন্ট ছাড়া ডাউনলোড করতে পারে। উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স সকল সিস্টেমেই এটি ব্যবহার করা যায়। প্রথমেই ডাউনলোড করে নিন এই (jd.sh) ফাইলটি। তারপর সেটি সুবিধামত জায়গায় রেখে টার্মিনাল চালু করুন। রুটে যান

# su

Password: (পাসওয়ার্ড দিন এবং এন্টার চাপুন; ঠিক হলে রুটে প্রবেশ করবেন)

টার্মিনালে যে ফোল্ডারে ডাউনলোডকৃত ফাইলটি রেখেছেন সেই ফোল্ডারে যান। তারপর নিচের কমান্ডগুলো পর্যায়ক্রমে দিন।

# chmod +x jd.sh

# start jd.sh

অথবা

#sh jd.sh

আপডেট প্রক্রিয়া শুরু হবে, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ইন্টারনেটের গতি ভালো না হলে সময় লাগতে পারে। আপডেটের পরে শুরু হবে ইনস্টলেশন, প্রয়োজনীয় বাটনে (OK, yes) ক্লিক করে ইনস্টল শেষ করুন। এরপর jd.sh ফাইলটি যে ফোল্ডারে জেডাউনলোডার ইনস্টল হয়েছে সেখানে কপি করে পেস্ট করে দিন। এরপর ফাইলটি চালালেই জেডাউনলোডার চালু হয়ে যাবে।

নিচের লিঙ্ক থেকে ফাইলটি ডাউনলোড করুন ,

jd.sh

আশা করি জেডাউনলোডার কিভাবে ওপেন সুয্যেতে ইনস্টল করতে হবে বুঝতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে অন্য কোন টিউটোরিয়াল নিয়ে হাজির হবার আশা রাখি, সে পর্যন্ত হ্যাপি ডাউনলোডিং।

শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১১

আমার বিশ্বকাপের দল

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য ২৩ সদস্যের দল দিয়েছে নির্বাচক কমিটি। দল দেখে খুব খারাপ মনে হয়নি। এখন আমার ইচ্ছে করছে এদের মধ্য হতে ১৫ জনকে বাছাই করতে। দেখা যাক আমি পারি কিনা।

প্রথমেই ওপেনিং স্লট। এখানে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে বাদ দেয়ার কারণই নেই। দুই জনই আমার অটোমেটিক চয়েস। তিন নম্বরে আমি চাই শাহরিয়ার নাফিসকে, তার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা, স্পিনে দক্ষতা ও বড় ইনিংস খেলার মানসিকতায় সেও আমার অটোমেটিক নাম্বার থ্রী ব্যাটসম্যান। জুনায়েদ তাই বাদ পড়ছে। চার নম্বরে আমি চাইব মুশফিকুর রহিমকে। তার ব্যাটিং টেকনিক ভালো, শুরুটা ধীরে করে ইনিংস বড় করতে পারে, প্রয়োজনে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারে। এরপরে পাঁচ নম্বরে সাকিব আল হাসান আসছে নির্দ্বিধায়। ছয় নম্বরে অলক কাপালী, আমার প্রিয় একজন ক্রিকেটার। তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, হচ্ছে। ধরে খেলার পাশাপাশি ব্যাটিং পাওয়ার প্লের সমস্যার সমাধান হতে পারে কাপালী। তাই আমার পছন্দ কাপালীকে ছয় নম্বরে। সাত নম্বরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অথবা নাইম ইসলাম। বর্তমান ফর্মে নাইম বাদ পড়ছে, টিকে যাচ্ছে রিয়াদ। প্রয়োজনে তাকে ছয়ে ও কাপালীকে সাতে নামানো যায়। আট নম্বরে আমি রাখব সোহরাওয়ার্দী শুভকে। যদি তিন পেসার নামানোর দরকার হয় তাহলে শুভ বাদ পড়বে। নয় নম্বরে মাশরাফি মুর্তজা, যার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। দশে রাজ্জাক ও এগারোয় শফিউল ইসলাম।

এরপর বাকী চারজন। একজন ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে থাকছে জুনায়েদ সিদ্দীক, মিডল অর্ডারের জন্য আশরাফুল ও রকিবুল এবং অতিরিক্ত পেসার হিসেবে থাকছে রুবেল হোসেন। আশরাফুলকে রাখব তার অভিজ্ঞতার জন্য, দলে তার জায়গা বের করা কঠিন। তবে আমি শুভর স্থলে রাখতে পারি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাওয়া এই ব্যাটসম্যানকে।

তাহলে দলটা দাঁড়াল এরকম:

তামিম ইকবাল

ইমরুল কায়েস

শাহরিয়ার নাফিস

মুশফিকুর রহিম

সাকিব আল হাসান

অলক কাপালী

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

সোহরাওয়ার্দী শুভ

মাশরাফি মুর্তজা

আব্দুর রাজ্জাক

শফিউল ইসলাম

অতিরিক্ত:

জুনায়েদ সিদ্দীক

মো: আশরাফুল

রকিবুল হাসান

রুবেল হোসেন

এর বাইরে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে থাকছে :

নাজমুল হোসেন

জহুরুল ইসলাম অমি

নাইম ইসলাম

তাহলে সংক্ষেপে দলটা কেমন হলো ? ওপেনার চার জন (তামিম, ইমরুল, নাফিস, জুনায়েদ), পেসার তিন জন (মাশরাফি, রুবেল, শফিউল), মিডল- অর্ডার ব্যাটসম্যান পাঁচ জন (সাকিব, কাপালী, রিয়াদ, আশরাফুল, রকিবুল), কিপার এক জন (মুশফিক), স্পিনার দুই জন (রাজ্জাক, শুভ)। দু:খিত ছক্কা নাইমের জন্য, তার ফর্ম ইদানিং ভালো যাচ্ছে না। আশরাফুল টিকে গেছে দুটো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতার জন্য। আমি জোর দিয়েছি ব্যাটিং এ, কারণ বিশ্বকাপে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেটাই দরকার। তবে বোলারদের উপর আস্থা রাখছি। জানি এমন দল হয়তো হবে না, তবুও ব্লগে লিখে রাখলাম। একসময় বলতে পারব বিশ্বকাপের জন্য আমারও পছন্দের একটা স্কোয়াড ছিল।

সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১১

বাঙালীর শখ

শখের মূল্য বাঙালীর কাছে অনেক বেশী, হয়তো অন্য জাতীর কাছেও। বাঙালী ছাড়া আর কোন জাতের মানুষ কাছ থেকে দেখিনি বলে ঠিক কথা বলতে পারছিনা, আমার চোখে তাই বাঙালের শখটাই চোখে পড়লো। নিজেকে দিয়েই শুরু করি। ডেস্কটপ কম্পিউটার থাকা সত্ত্বেও ল্যাপটপ কিনেছিলাম শখ ছিলো বলে। স্বস্তা মোবাইল ফোন থাকার পরেও দামী সেট ব্যবহারের শখ ছাড়তে পারিনি বলে নোকিয়া শো-রুমে কিছু টাকা অপচয় করে এসেছি। শখে পড়ে বাংলায় লিখছি, আপাত দৃষ্টিতে এটির খরচ চোখে না পড়লেও আসলে সময়, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইড্থ অপচয় হচ্ছে। শখ আছে বলেই না বিলাস দ্রব্যের বিক্রি হচ্ছে দেশজুড়ে। আবার শখে পড়ে বাংলার তরুণ-তরুণীরা মিডিয়ায় এসে অন্য লোকের শখের কারণ হয়ে যাচ্ছে। ছেলেবেলায় জীববিজ্ঞানে পড়া বাস্তু-সংস্থানের সাথে এটির মিল আছে কিনা কে জানে, থাকলেও থাকতে পারে। আমরা বই পড়ার শখ থাকলেও বই মেলা ছাড়া সেটা স্বীকার করি না। সারা বছর হিন্দী সিনেমা, সিরিয়াল দেখে অবসর পার করি আর বই মেলা এলে খাঁটি বাঙালী সাজি। এসবই নিজেকে অন্যরকমভাবে জাহির করার শখ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় মা-বাবার শখ যতোটা কাজ করে শিক্ষার্থীর শখ যেন ততোটাই অদৃশ্য। বাপ-মা কি পড়ালেখা করবে না সন্তান ? মেডিক্যালে পড়ার আগ্রহই যদি না থাকে তবে সেখানে পড়িয়ে কি হবে ? এরচেয়ে তাকে তার ইচ্ছামতো ফ্যাশন ডিজাইনার হতে দিলে তার মনের বিকাশ ঠিকমতো ঘটতো ! এরকম অংকে পারদর্শী ছেলেকে বিবিএ পড়িয়ে তথাকথিত শিক্ষিত বানিয়ে কি লাভ হয় তা আমি বুঝি না। ঐ যে, ছেলে পাশ করলে বাপ-মা বলতে পারবে, “আমার ছেলে ডাক্তার, কতো রুগী আসে তার কাছে !” আসল কথাই হয়তো এড়িয়ে যান তারা, শখ ছিল ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন। তাই হয়েছে। সবার শখ হয়তো পূরণ হয় না, যাদের হয় তাদের কথাই বলছি। চিড়িয়াখানায় জীব-জন্তু দেখাটাও শখ, ইট-সিমেন্টের শহরে একটা পাখির ডাক শুনতে পাওয়াই যেখানে ভাগ্য সেখানে চিড়িয়াখানা আছে বলে রক্ষা। আবার ভিনদেশ থেকে নর্তক-নর্তকী এলে তাদের দেখাটাও শখ। টিকিটের দাম যাই হোক, তাদের দেখতে হবেই। তারাও জন্তু নাকি ? শখ বলে কথা।

 

এমনই এক শখ খেলা দেখা, দেশের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বেঁচে থাকতে দেশের মাটিতে আর কোন বিশ্বকাপ দেখা হবে কিনা সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তাই বাঙালীর এমন চেষ্টা। পুলিশের লাঠির বাড়ি, বিশেষ মহলের হুমকি-ধামকি কিছুই থামাতে পারছেনা খেলা পাগল মানুষগুলোকে। তারা টিকেট কিনেই ছাড়বে। আমার নিজেরও যে ইচ্ছে ছিল তা নয়, কিন্তু এই গোলমালে যেয়ে টিকেট না কিনে ঘরে বসে আরামসে খেলা দেখাই আমার কাছে সহজ মনে হচ্ছে। টিকেট আমাদের মতো লোকের জন্য নয়, যাদের ক্ষমতা আছে তাদের জন্য। আমরা এখানে বহিরাগত। তা বেশ, এরচেয়ে বাংলাদেশের সাফল্যই বেশী কাম্য। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ দেখতে না পারার দু:খ ভুলতে পারব দলের সাফল্যে। একসময় শখের বসে খেলা খেলাটাই এখন আমাদের মান-সম্মানের উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেও সেই শখ। ম্যালা কথা বলে ফেলেছি, কেউ যদি ভুল করে এই লেখা পড়তে যান তাহলে নষ্ট হওয়া সময়ের জন্য মাফ চাই। নাম করা কলামিস্টের লেখা পড়লেও শিক্ষনীয় না হোক বিনোদিত হওয়া যেত, আর আমি কে ? আপন মনে বকবক করা এক শখের লেখক !

 

Like us on Facebook