Ads 468x60px

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১১

একরাশ হতাশা



আজকে আমি থাকতে পারতাম আমার ভার্সিটি লাইফের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে। আমাদের বন্ধু মহলের অনেকেই (হয়তো শুধুমাত্র আমি ছাড়া) তার নতুন জীবনের সূচনালগ্নে শুভ কামনা জানাতে উপস্থিত থাকবে। আমি পারছিনা পেশাগত জীবনের দায়িত্ববোধের কারণে। আমার একদিনের আনন্দে অনেকের জন্য বয়ে আনতে পারে বিষাদময় মুহুর্ত, এসব ভেবে জলাঞ্জলি দিয়েছি নিজের ভালো লাগা। বন্ধুটির কাছে আমি দু:খিত। তবে আশা করি যখন ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠব তখন ব্যক্তিগতভাবে তাকে নিয়ে একটা পার্টি দেব। সে সময় পর্যন্ত নাহয় কষ্টটা চেপে রাখলাম।

বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১১

হাবিজাবি

হঠাৎ লিখতে বসলাম। অথচ আগামীকাল সরকারী চাকুরির পরীক্ষা। সেদিকে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। মায়ের চিন্তার শেষ নেই। আমার সে চিন্তা হচ্ছে না। কিছু একটা করছি তো, হোক সেটা বেসরকারী। তাই এমন গা-ছাড়া ভাব। টেবিলে বিসিএসের গাইডগুলোয় ধূলোর আস্তরন জমেছে। আজ সেগুলো হাতে নিলাম। তারিখ পড়ে গেছে পরীক্ষার। কিছু লেখার জন্য কিছু জানা থাকা চাই। সেজন্যই পড়ার চেষ্টা করা। মায়ের মুখের পানে চেয়ে পড়া। তাঁর যে বড্ড আশা ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে। ছেলে সেটা বুঝতে পারছে না। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পড়িয়েই মজা পাচ্ছে। কিন্তু সে কিছুটা হলেও বুঝতে পারে এভাবে চলা যায় না। সরকারী চাকরি না হলে জীবনে যে স্থিতি আসবে না। যানজট, লোড-শেডিং, অস্বাস্থ্যকর শহরে যে দম ফেলার জো নেই। তাই ছুটে যেতে ইচ্ছে করে পাখ-পাখালির আবাসে, যেখানে বিশুদ্ধ বাতাস, মুক্ত আকাশ। নেই কার্বন ডাই অক্সাইডের বাড়াবাড়ি। দেশটা ধীরে ধীরে শহর হয়ে যাচ্ছে, মফস্বলের সবুজও হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও আশা সবুজ থাকবে। থাকবে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা। বর্তমানে মনে হচ্ছে এটার বড্ড অভাব!

Like us on Facebook