Ads 468x60px

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

ওপেনসুয্যে ১৩.১ ইনস্টলের পর প্রয়োজনীয় ৩টি কাজ

একটা সময়ে নতুন লিনাক্স ডিস্ট্রো এলে আইএসও নামিয়ে ইনস্টল দিয়ে ফেলতাম। বাগ ভাল্লুক আছে কি নেই ওসব ভাবতাম না। এখন দিন বদলেছে। সহজে আইএসও নামানো হয় না। এক মাস, দুই মাস পর নামিয়ে দেখি কেমন হলো। দীর্ঘদিন ডেস্কটপ-ল্যাপটপের জায়গা দখলে রাখা ওপেনসুয্যের জন্যও তাই হলো। নতুন ভার্সন বোতলকে নামালাম সময় নিয়ে। ইনস্টল করলাম উবুন্টু মুছে। ডেস্কটপে ইনস্টল করেছি। ইনস্টল করলেই তো আর হয় না। লিস্ট ধরে কিছু যোজন-বিয়োজন করা লাগে। কি কি করেছি তার তালিকা দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। আমার দেখাদেখি আরেকজন ওপেনসুয্যো ইউসার বাড়লে মন্দ কি। 

ক) আপডেট ও রিপোজিটরি যুক্ত করা
ইনস্টল করার পর পয়লা কাজ হলো আপডেট করা। সেজন্য টার্মিনালে ছোট্ট কটা লাইন লিখলেই চলে।
# zypper addrepo -f http://ftp.gwdg.de/pub/linux/packman/suse/13.1/ packman && zypper addrepo -f http://opensuse-guide.org/repo/13.1/ dvd && zypper ref && zypper update

উপরের কমান্ডে আপডেটের পাশাপাশি কিছু রিপোজিটরি যুক্ত করা হয়েছে। ভালো কথা এসব করার আগে su লিখে পাসওয়ার্ড দিয়ে রুটে যেতে হবে। তারপর কমান্ডগুলো দিলে সিস্টেম আপডেট হবে এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টলেশানের জন্য প্রস্তুত হবে। নেট স্পিড আশানুরূপ না হলে সময় লাগবে। আবার আপডেট না করেও উপায় নেই, তাই মেনে নিন।

খ) মাল্টিমিডিয়ার জন্য প্রস্তুত করা
এবার মাল্টিমিডিয়ার জন্য তৈরী হোন। যথারীতি কনসোল বা টার্মিনাল খুলে নিচের কমান্ডগুলো কপি-পেস্ট করে দিন।
# zypper install libxine2-codecs k3b-codecs ffmpeg lame gstreamer-0_10-plugins-bad gstreamer-0_10-plugins-ugly gstreamer-0_10-plugins-ugly-orig-addon gstreamer-0_10-plugins-ffmpeg libdvdcss2 && zypper install flash-player && zypper install icedtea-web && zypper install xine-browser-plugin

গ) অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টলেশন
আশা করা যায় যেসব সফটওয়্যার দেয়া আছে তা দিয়েই আপনার চলে যাবে যদি ডিভিডি হতে ইনস্টল করে থাকেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু সফটওয়্যার ইনস্টল করেছি। সেগুলো আপনারা করতে পারেন।
১। ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার: ভিডিও দেখার জন্য এই সফটওয়্যারের জুড়ি মেলা ভার। আমি এটা দিয়েই সব ভিডিও দেখি।
২। ডেডবিফ অডিও প্লেয়ার: সিম্পল অডিও প্লেয়ার। গান শুনতে হলে এটাই আমার পছন্দ।
৩। শাটার: স্ক্রীনশট নেয়ার জন্য শাটারের বিকল্প দেখি না। তবে কেস্ন্যাপশট দিয়েও কাজ চলবে।
৪। ক্রোমিয়াম ব্রাউজার: গুগল ক্রোম নয়, ক্রোমিয়াম ইনস্টল করতে পছন্দ করি। ফায়ারফক্সের পাশাপাশি ওটাও মাঝে মাঝে চালানো হয়।
৫। ডেলুগ্য: টরেন্ট ফাইল নামানোর জন্য কেটরেন্ট দারুন, তবে আমি ডেলুগ্যে প্রেফার করি, মিউটরেন্টের ভাব দেখা যায়।
৬। স্কাইপ: ভিডিও কলের জন্য স্কাইপ দূর্দান্ত এপ্লিকেশান। এটাও ইনস্টল করে নেয়া যায়।
৭। ড্রপবক্স: ড্রপবক্স ছাড়া আমি অচল। ইনস্টল করে নিতে হয় চোখ বুঁজে।
৮। গিম্প ও ইঙ্কস্পেস: ছবি এডিটের জন্য বা ভেক্টর ইমেজ ড্র করার জন্য এই দুটো সফটওয়্যার লাগবেই।

উপরোল্লেখিত কাজগুলো অনুসরন করলে ওপেনসুয্যে নতুন ভ্রমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমি ধরে নিচ্ছি প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করার দক্ষতা আপনার আছে। তাই পুরো প্রণালী বর্ণনা করলাম না। ইয়াস্টে গিয়ে সফটওয়্যার নাম দিয়ে খুঁজলে পেয়ে যাবেন। তবে টার্মিনালেও ইনস্টল করা যায়। ওটা নাহয় অন্য একদিন বলবো।

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

ওপেনসুয্যেতে ফন্ট ঝকঝকে করার উপায়


ওপেনসুয্যে একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, ফেডোরার পাশাপাশি এটাও অনেকের প্রিয় ওএসের তালিকায় রয়েছে। ওপেনসুয্যে ইনস্টল করার পর ফন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। যদিও নতুন এডিশানে বাই ডিফল্ট বাংলা সাপোর্ট রয়েছে তবুও কেমন যেন সাদামাটা দেখায় ফন্টগুলোকে। ফন্ট সুন্দর দেখানোর জন্য কিছু টুইক করতে হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে ফন্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়।

কিকঅফ এপ্লিকেশন লঞ্চারের সার্চ বারে Fonts লিখে সার্চ দিন। প্রথমেই যে রেজাল্ট আসবে (Fonts) তাতে ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো খুলবে।

এন্টি এলিয়াসিং এনাবল করুন এবং কনফিগারে ক্লিক করুন।

ইউএসবি সাবপিক্সেল রেন্ডারিং এ টিক চিহ্ন দিন এবং হিন্টিং স্টাইল ফুল বা মিডিয়াম দিন। তারপর ওকে চেপে এপ্লাই বাটনে ক্লিক করুন। কিছু এপ্লিকেশানে রিস্টার্ট ছাড়া কাজ করবেনা সেটা জানানো হবে। ওকে চেপে উইন্ডোগুলো বন্ধ করুন। অত:পর লগ-আউট করে লগ-ইন করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

প্রলয়: বাংলা মুভি রিভিউ


বাংলা ছবি তেমন দেখা হয় না। ফাঁকতালে যা দেখি তা হলো কলকাতার ছবি। নাহয় ভারতবর্ষের ছবি দেখিনা। হিন্দী ছবি দেখা বাদ দিয়েছি মেলা আগে। ফেসবুক, ফোরামে প্রলয় ছবিটা নিয়ে নাম শুনছিলাম খুব। তাই নামিয়ে নিলাম দেখব‌ো বলে।
 ছবির শুরুতেই দেখা যায় এক অসহায় পিতা তার ধর্ষিতা মেয়ের প্রতি অন্যায়ের বিচারের জন্য থানায় থানায় ঘুরছেন। কেউই তার কেস নিচ্ছে না, সমাজপতিরা দায়ী বলে। এতে অন্যায়কারীদের সাহস বেড়ে যায়। তারা কুকর্ম করে চলে, এমনকি মায়েরাও বাদ যায় না তাদের পাশবিকতার ছোবল হতে। এমনি সময়ে আবির্ভাব সৎ স্কুল শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের। আর দশজন তরুণের মতো সেও স্বপ্ন দেখে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার, সমাজের নষ্ট ঘুনে ধরা রাজনীতির ভয়াল থাবামুক্ত থাকার। বরুণ মার দিতে চায় অন্যভাবে। কলম দিয়ে, শিক্ষা দিয়ে, নীতিবাক্য দিয়ে মারতে চায় বরুণ সেই নষ্টদের। জাগরন মঞ্চের আবির্ভাব ঘটে ধর্ষনের প্রতিবাদে। বরুণরা প্রায়ই যা চায় তা পায় না। সমাজে এমনই দেখা যায়। সিনেমায়ও তাই দেখলাম। বরুণের ভালো বন্ধু, অন্যায়ের প্রতিবাদে সহযাত্রী মেয়েটাও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারে না পশুর লালসার কাছে। সেই বরুণ ক্ষেপে ওঠে, এবার সে জেলে ঢুকিয়ে ছাড়ে ধর্ষককে। আইনের মারপ্যাচ, ক্ষমতার জোরে বেশিদিন জেলে থাকতে হয়নি ধর্ষকদের। জেলে থেকেই ওরা সরিয়ে দেয় বরুণকে, দূর করে দেয় তাদের নীতিবান প্রতিপক্ষকে।

সিনেমা শেষ? উঁহু, এত সহজ নয়। মাত্র তো ইন্টারমিশন, গল্পের শেষাংশ যে এখনো বলা হয়নি। বরুণের পথ ধরে আবির্ভাব ঘটে কলকাতার এক স্কুলের হেডমাস্টার বিনোদ বাবুর। তিনি বুঝতে পারেন না কেন বরুণের মতো ছেলেকে অকালে মরতে হলো, তারই ছাত্রের হাতে। তিনি কি পারবেন সমাজপতিদের টুঁটি চেপে ধরতে? জানতে হলে দেখুন প্রলয়। খারাপ লাগবেনা, আমি ওপার বাংলার সিনেমা দেখে আক্ষেপে পুড়ি মাঝে মাঝে। আমাদের দেশে কেন গল্পের প্রতি নজর দেয়া হয় না? আমরাও তাহলে দূর্দান্ত কিছু মুভি দেখতাম।

ছবিতে বরুণের চরিত্রে পরমব্রত দারুণ করেছে। পরান বন্দোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, শ্বাশ্বত চ্যাটার্জি কিংবা ধর্ষক চরিত্রে রুদ্রনীল সবাই যার যার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে পরম দক্ষতায়। রাজ চক্রবর্তী একাধারে পরিচালক, স্ক্রীপ্ট রাইটার। বোঝেনা সে বোঝেনা, কানামাছির মতো মুভিও এই রাজের কাজ।

সিনেমায় শুধু নাচ-গান দিলে হয় না, গল্পটাও যুৎসই হতে হয়। দাদারা তা বারবার করছে, আমরা ডিজিটালের নামে প্রহসন না করে ভালো গল্প নিয়ে কাজ করলে মানুষ হলে যাবে। একবার নয়, একাধিকবার যাবে। গল্প ভালো হলে প্রযুক্তি কোন ব্যাপারই না।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

লিনাক্স মিন্ট সিনামনে থিম-ওয়ালপেপার-আইকন পাল্টানোর উপায়


লিনাক্স মিন্ট একটি জনপ্রিয় ডিস্ট্রো। যারা লিনাক্স নাম শুনে আঁতকে ওঠেন কমান্ডে সব কাজ করতে হবে বলে তাদের জন্য তো বটেই, এমনকি যারা অভিজ্ঞ লিনাক্স ব্যবহারকারী তারাও লিনাক্স মিন্ট পছন্দের তালিকায় রাখবেন। কিছুদিন পূর্বে লিনাক্স মিন্ট ১৬ বা পেত্রা ভার্সনটি রিলিজ করেছে। এই ভার্সনটিতে ডিই বা ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট হিসাবে মেট ও সিনামন দেয়া হয়েছে। কেডিই ও এক্সএফসিই রিলিজ হবে শীঘ্রই। আমি নিজে চালাচ্ছি সিনামন ৬৪ বিট এডিশন। আজ ছোট্ট একটি টিপস নিয়ে আলোচনা করবো। সেটি হলো লিনাক্স মিন্টে কি করে থিম, ওয়ালপেপার ও আইকন পাল্টানো যায়। কথা না বাড়িয়ে কাজে নেমে পড়া যাক।

ডেস্কটপে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে একটা মেনু খুলবে। সেখানে ওয়ালপেপার পাল্টানোর অপশান পাবেন। ওখানে ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো খুলে যাবে। 

সেখান থেকে বেছে নিতে পারবেন পছন্দের ওয়ালপেপার। কিংবা যুক্ত করতে পারেন অন্য কোন ফোল্ডার বা ছবি।


থিম পাল্টানোর জন্য প্যানেলে সেটিংস অপশানে যান। সেটিংসে ক্লিক করলে হিডেন মেনু খুলবে। এবার থিমে ক্লিক করলে আরেকটি উইন্ডো পাবেন। 

সেই উইন্ডো থেকে বেছে নিতে পারেন পছন্দের থিম। যুতসই থিম না পেলে অনলাইনে খোঁজ করতে পারেন। সেই সুযোগও করে দিয়েছে মিন্টের ডেভুরা।
 

আইকন পাল্টানোর জন্য আদার সেটিংসে যেতে হবে। আইকনস লেখা ফিল্ডের ড্রপ ডাউন মেনু থেকে ঠিক করে নিন কি আইকন সেট করতে চাচ্ছেন।

সব ঠিকঠাক করে দেখুন কেমন হলো আপনার কাস্টোমাইজড ডেস্কটপ।

লিনাক্স মিন্ট পেত্রা এখন আমার ল্যাপটপে


লিনাক্স নিয়ে হুজুগ হঠাৎ করে শুরু হয়। যখন আগ্রহ কমে যায় তখন উইন্ডোজে পড়ে থাকি। তবে ল্যাপটপ-ডেস্কটপে একটা পার্টিশানে লিনাক্স থাকবেই। কিছুদিন ওপেনসুয্যে চালিয়েছিলাম। ইনস্টল করা ছিল ল্যাপটপে। এখন লিনাক্স মিন্ট পেত্রা / পেট্রা ইনস্টল করা আছে উইন্ডোজ এইটের পাশাপাশি। মিন্ট নিয়ে একটা নাক সিঁটকানো ভাব কাজ করতো, হয়তো বেশি সহজ বলে। সেজন্য এলিট সেজে থাকার জন্য ওপেনসুয্যে চালাতাম। তবে সিনামন আসার পর মিন্টের প্রতি আগ্রহ জেগেছে। অন্তর্জালের ভাই-বেরাদাররাও বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। সেই প্রভাবের জের ধরে ল্যাপটপের একটা পার্টিশানে লিনাক্স মিন্ট জায়গা করে নিল। সিনামন ডিই, ৬৪ বিট। ডেস্কটপে চলছে উবুন্টু, ওপেনসুয্যে আপাতত কোন ড্রাইভে নেই।
লিনাক্স মিন্ট ইনস্টল করার পর ক্রাশ করেনি। স্লো হয়নি, একবার খানিক হয়েছিল জেডাউনলোডার চালানোর সময়। এছাড়া কোন সমস্যায় পড়িনি। কোডেক সহ নামানোয় ভিডিও, অডিও চালাতে বাধা পাইনি। ডাউনলোডের জন্য ইউগেট-আরিয়া২ কম্বিনেশানের সাথে জেডাউনলোডার ইনস্টল করে নিয়েছি। পিজিন ভালো কাজ করছে হালকা চ্যাটের জন্য। ইন্টারনেট ব্রাউজের জন্য ফায়ারফক্সই সেরা, আমি ক্রোমিয়াম ইনস্টল করে নিয়েছি। ভিএলসি ইনস্টল হয়েছে ফ্রেশ ইনস্টলেশনের সময়। শাটার ইনস্টল করেছি স্ক্রীনশট নেয়ার জন্য। টরেন্ট নামানোর জন্য ট্রান্সমিশন আছে, তবে খুব সন্তুষ্ট নই তার পারফরম্যান্সে। ডেলুগ্যে ইনস্টল করবো হয়তোবা।

সাজুগুজুর জন্য থিম ইনস্টল করে নিয়েছি কিছু, আইকনও ইনস্টল করেছি। তবুও মিন্ট এক্স আইকন প্যাকটাকেই ভাল লাগে। ফাএনযা মিন্টের সাথে মানায় না, সবুজ ফাএনযা পেলে ইনস্টল দিতাম। পাচ্ছিনা। ভাল লেগেছে ওয়ালপেপারের নতুন কালেকশন।

ব্যাটারি ব্যাকাপ কেমন পাই সেটা একটা প্রশ্ন। উইন্ডোজে যেমন পাই তেমন কখনোই লিনাক্সে পাইনি। এখনো সেভাবে টেস্ট করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তখন আপডেটেড পোস্ট দিব। তার আগে এটাই বলতে পারি লিনাক্স মিন্ট পেত্রা নিয়ে সন্তুষ্ট। এখন আর এত ঝামেলা করতে ইচ্ছা করে না। কেডিই রিসোর্স হাংরি ডিস্ট্রো, ব্যাকাপ তেমন পেতাম না। সেদিক থেকে সিনামন বেটার হবে বলে বিশ্বাস। ওপেনসুয্যে বাদ দেয়ার এটাও একটা কারন। কেউ যদি দ্বিধায় ভোগেন কোন ডিস্ট্রো ইনস্টল দিবেন, আমি বলবো লিনাক্স মিন্ট ইনস্টল করতে পারেন নির্দ্বিধায়, ঠকবেন না।

আরেকটা কথা, ডুয়াল বুটে উইন্ডোজ ৮ আছে। ওটাকে খুঁজে পেতে পেত্রার কষ্ট হয়নি, ওপেনসুয্যে অন্য ড্রাইভে ইনস্টল করা উইন্ডোজ ৮ পেতই না। নতুন ওপেনসুয্যে কেমন করেছে বলতে পারছিনা, তাই আপাতত ভোট দিলাম লিনাক্স মিন্টে।

শাটারে (Shutter) স্ক্রীণশট আপলোড করার উপায়


ইদানিং স্ক্রীণশট নিয়ে কয়েকটা লেখা ফোরামে এসেছে। আমি আরেকটা যুক্ত করছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে স্ক্রীণশট নিতে হয়। আপলোড করার জন্য অনেক অনেক সাইট রয়েছে। তবে যে টুল দিয়ে ছবি তুললেন সেটাই যদি আপলোডের কাজ করে দেয় তাহলে মন্দ কি? সেরকম কাজই করে দেবে শাটার। লিনাক্স জগতের পরিচিত স্ক্রীণশট টুল।

ছবি তুলুন, এক্সপোর্টে যান। ঠিক করে দিন কোথায় ছবি আপলোড করবেন।


গেস্ট একাউন্ট কিংবা ব্যক্তিগত একাউন্টে ছবি আপলোড করতে পারবেন।

ব্রাউজারে বাংলা ফন্ট সেটাপ


আমাদের ছোটখাট অনেক বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। সেরকম একটি প্রয়োজনীয় কিন্তু ছোট একটি বিষয়ের টিউটোরিয়াল দিচ্ছি।

ফায়ারফক্সে বাংলা ফন্ট ঠিকমতো সেট না করলে বাংলা পড়তে ও লিখতে সমস্যা হয়। সেজন্য বাংলা ফন্ট সেট করে নেয়া প্রয়োজন।

শুরুতেই Preferences উইন্ডো খুলুন। Preferences → Content → Advance এ গিয়ে ফন্ট সেটাপ করার উইন্ডো খুলতে হবে। তারপর পছন্দের ফন্ট বসিয়ে নিন। মনে রাখতে হবে Fonts for এখানে Bengali সিলেক্ট করা থাকতে হবে।
আমার বর্তমান সেটাপ দেখালাম। আপনি সোলায়মানলিপি, সিয়াম রূপালী, কালপুরুষ প্রভৃতি ফন্টের মধ্যে যেকোনটি বা তিনটিই বেছে নিতে পারেন। আমার সেটিংসের ছবি দিয়ে দিলাম। মিলিয়ে নিন। ক্যারেক্টার এনকোডিং অপশানে ইউনিকোড সিলেক্ট করে দিতে পারেন। তবে তা অপশনাল, সেটাপ না করলেও বাংলা লেখা আয়তাকার ক্ষেত্র দেখাবে না।
 

পাশাপাশি গুগল ক্রমে বা ক্রোমিয়ামেও বাংলা এভাবে ঠিক করে দেয়া যায়।

গুগল ক্রোম বা ক্রোমিয়াম চালু করার পর ডান দিকে এড্রেসবারের পাশে থাকা বাটনটিতে ক্লিক করলে একটা মেনু চালু হবে সেখান থেকে সেটিংসে যেতে হবে।

এডভান্স সেটিং চালু করে ফন্ট কাস্টোমাইজ করার উইন্ডো চালু করুন। 



পছন্দের ফন্ট বসিয়ে বাংলা লেখায় মজে যান। আর এভাবেই ব্রাউজারে বাংলা লেখা সেটাপ করে ফেলুন।






সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

উইন্ডোজ এইটে ফাস্ট বুট বন্ধ করার উপায়

উইন্ডোজ ৮ এর সাথে ডুয়াল বুটে লিনাক্স চালাতে গিয়ে দুটো সমস্যায় পড়েছিলাম। প্রথমত উইন্ডোজের ড্রাইভগুলো এক্সেস করতে পারছিলাম না আর দ্বিতীয়ত লিনাক্স থেকে উইন্ডোজে এলে টাইম পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছিল। গুগলে গুঁতাতেই কিছু সমাধান পেয়ে গেলাম। সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

প্রথমেই উইন্ডোজ ৮ এ লগ-ইন করতে হবে। কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে পাওয়ার অপশানটি খুলতে হবে। চিত্র-১ অনুসারে Change what the power buttons do তে ক্লিক করুন।

চিত্র-: পাওয়ার কন্ট্রোল প্যানেল

আরেকটি উইন্ডো খুলবে। স্ক্রল করে নিচে নামুন এবং ফাস্ট বুট অপশানের টিক চিহ্ণ তুলে দিন (চিত্র-)। তারপর সেভ করুন এবং পিসি রিবুট করুন। লিনাক্সে গিয়ে এনটিএফএস পার্টিশান এক্সেস করতে পারবেন এবং সময়ের সমস্যা মিটে যাবে।

চিত্র-: ফাস্ট বুট বন্ধ করার অপশান

হ্যাপি কম্পিউটিং।

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

লিব্রে রাইটারে রেফারেন্স যুক্ত করা : ১ম পর্ব

থিসিস লেখার সময় রেফারেন্স দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তায় ভোগে। এত এত নাম, বই চ্যাপ্টারের ফাঁকে ফাঁকে দেওয়া ঝক্কির কাজ বটে। লিব্রে অফিস রাইটারে কাজটা সহজেই করা যায়। দরকার একটু ধৈর্য নিয়ে প্রথমবারের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলা।

প্রথমেই লিব্রে রাইটার ওপেন করতে হবে। টুলস মেনুতে ক্লিক করে বিবলিওগ্রাফী ডাটাবেজ খুলতে হবে। নতুন উইন্ডো আসবে।

ডাটাবেজে পূর্বের কিছু লেখা দেখা যাবে। সর্ববামের স্ক্রলবারে ক্লিক করে সবচেয়ে নিচের এন্ট্রি শিফট চেপে রাখা অবস্থায় ক্লিক করলে সবকটি রো সিলেক্ট হবে। এবার রাইট ক্লিক করে দেখুন এন্ট্রিগুলো ডিউলিটের অপশান এসে গেছে। ডিলিট করে ফেলুন। এবার নতুন ডাটাবেজ পাওয়া গেল। এখানে আমরা রেফারেন্সগুলো এন্ট্রি করে নেব।


প্রথমে লক্ষ্য করি রেফারেন্স দেয়ার জন্য কি কি ফিল্ড দেয়া আছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। ধরা যাক আমি নিচের দুটো রেফারেন্স দিতে চাই ।

1. Khan, Jamal, Book of History, 2012.

2. Chowdhury, Raj, Journal of Example, 2013

এক নম্বর রেফারেন্স একটি বইয়ের, দুই নম্বর রেফারেন্স একটি জার্নালের। শুরুতে প্রথম রেফারেন্সের জন্য ফিল্ডগুলো পূরণ করি। শর্ট নেম হিসাবে পছন্দসই নাম দিতে পারেন। আমি দিলাম A1, পরেরটা A2 ; এভাবে বাকিগুলো দেয়া সম্ভব।




অথরের নাম লিখতে হলে লাস্ট নেম আগে লিখতে হয়। যেমন স্টিফেন কিং কে লিখতে হবে কিং, স্টিফেন। টাইপ ফিল্ড থেকে রেফারেন্স টাইপ বেছে নেয়া যায় (বই, আর্টিকেল, জার্নাল ইত্যাদি)।

রেফারেন্স ডাটাবেজ যা বিবলিওগ্রাফী ডাটাবেজ হিসাবে পরিচিত, তৈরী হয়ে গেলে মূল প্রবন্ধে রেফারেন্স বসানোর পালা।

প্রবন্ধের যেখানে রেফারেন্স দিতে হবে সে স্থানে কার্সর নিয়ে Insert → Indexes and Tables → Bibliography Entry তে ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো আসবে। সেখানে ড্রপডাউন মেনু থেকে রেফারেন্স নাম্বার সিলেক্ট করে Insert এ ক্লিক করতে হবে। এরপর উইন্ডোটি Close করে দিতে হবে।


এভাবে সবগুলো রেফারেন্স নাম্বার দেয়া হয়ে গেলে প্রবন্ধের শেষ লাইনে গিয়ে Ctrl + Enter চেপে নতুন পেজ খুলতে হবে। নতুন পেজে কার্সর থাকা অবস্থায় Insert → Indexes and Tables →  Indexes and Tables চেপে নতুন ইন্ডেক্স খুলতে হবে। নাম পাল্টে রেফারেন্স আর টাইপে দিতে হবে বিবলিওগ্রাফী।


নাম্বার এন্ট্রিতে টিক না দিলে নাম্বার আসবে না। রেফারেন্স বাড়াতে চাইলে ডাটাবেজে নতুন রেফারেন্স যুক্ত করে ইনডেক্স আপডেট করলেই হবে।



পরবর্তী পর্বে দেখব কি করে রেফারেন্সের সাজসজ্জা করা যায়। সে পর্যন্ত ভাল থাকুন।

বি: দ্র: আরো সহজ উপায়ে রেফারেন্স দিতে পারার তরিকা কেউ বাতলে দিলে ভাল হয়। আপনাদের গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য।

লিব্রে অফিসে রেফারেন্স যুক্ত করা : ২য় পর্ব


লিব্রে অফিসে কিভাবে বেসিক রেফারেন্স যুক্ত করা যায় তা নিয়ে আলাপ করেছিলাম গত পর্বে। আজ দেখব বিভিন্ন ফর্মেটের রেফারেন্স বা সাইটেশান যুক্ত করার পদ্ধতি। শুরু করার আগে দেখে নিতে পারেন গত পর্বের উল্লেখযোগ্য অংশ।
রেফারেন্স দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে কার্সর নিতে হবে। কার্সর নেয়ার পর Insert → Indexes and Tables → Bibliography Entry তে ক্লিক করতে হবে। নতুন যে উইন্ডো খুলবে তা থেকে দ্বিতীয় রেডিও বাটনে ক্লিক করে নতুন উইন্ডো খুলতে হবে।
চিত্র ১: বিবলিওগ্রাফী এন্ট্রি
চিত্র ২ এ একটি উদাহরণ দেখানো হল। এক্ষেত্রে একটি বইয়ের রেফারেন্স এন্ট্রি দেয়া হয়েছে। শর্ট নেম হিসাবে রেফারেন্সটিকে চিহ্ণিত করার জন্য একটি নাম দেয়া হয়েছে (উদাহরণে A1)। প্রয়োজনমতো তথ্য দেয়ার পর ওকে চেপে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুন যে উইন্ডো আসবে তাতে Insert বাটনে ক্লিক করে রেফারেন্সটি বসাতে হবে।
চিত্র ২: বিবলিওগ্রাফী ডকুমেন্ট এন্ট্রি
এবার আমরা আরেকটি রেফারেন্স বসাবো। এটি বিবলিওগ্রাফী ডাটাবেজে দেয়া আছে। চিত্র ৩ লক্ষ্য করুন, বিবলিওগ্রাফী ডাটাবেজে এন্ট্রি কিভাবে দিতে হবে তা জানতে গত পর্ব দেখে আসুন।
চিত্র ৩: বিবলিওগ্রাফী এন্ট্রি
রেফারেন্স বসানো হয়ে গেলে নতুন পেজ তৈরী করতে হবে (যে পাতায় আর্টিকেল শেষ হয়েছে সেই পাতার শেষে কার্সর রেখে কন্ট্রোল + এন্টার একসাথে চাপতে হবে)
মেনুবারের ইনসার্টে গিয়ে Indexes and Tables → Indexes and Tables এ ক্লিক করতে হবে। নতুন উইন্ডো থেকে বিবলিওগ্রাফীর জন্য সূচী তৈরী করতে হবে (চিত্র ৪ লক্ষ্য করুন)। রেফারেন্সের যে তালিকা আসবে তা পূর্ণাঙ্গ নয়। অসুবিধা নেই, আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যাবে। রেফারেন্স সূচীতে কার্সর রেখে রাইট ক্লিক করলে যে মেনু আসবে তার Edit Index/Table এ ক্লিক করতে হবে। এবার এন্ট্রির ধরন ঠিক করে নিন, পাশাপাশি যে ফিল্ড দরকার সেটিও (চিত্র ৫)
চিত্র ৪: বিবলিওগ্রাফী এডিট অপশান
বইয়ের টাইটেল সামান্য বাঁকা বা ইটালিক করতে চাইলে ক্যারেক্টার স্টাইল ড্রপডাউন মেনু হতে এমফেসিস করে দিন। বোল্ডও করা যায়। তবে তার আগে স্ট্রাকচার থেকে টাইটেলের জন্য Ti ফিল্ড সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর ওকে চাপলেই প্রয়োজনীয় পরিবর্তন হবে।
চিত্র ৫: বিবলিওগ্রাফী এডিট অপশান
যদি আমরা নতুন ফিল্ড যুক্ত করতে চাই, যেমন ধরি পাবলিশারের নাম। সেটি বসাতে হবে টাইটেলের পরে। এজন্য স্ট্রাকচারের টাইটেলের পরে যে ফাঁকা স্থান আছে সেখানে কার্সর রাখতে হবে। তারপর স্ট্রাকচারের নিচের ড্রপডাউন মেনু হতে প্রয়োজনীয় ফিল্ড সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ইনসার্ট দিলেই ফিল্ডটি তৈরী হয়ে যাবে।
ডিফল্ট যে নাম্বারিং দেয়া আছে ওটা অনেক সময় পরিবর্তন করতে হয়। আইইইই ফর্ম্যাট ফলো করতে গেলে পরিবর্তন করতে হবে নাম্বারিং টাইপ। এজন্য স্ট্রাকচারের ফিল্ডের প্রথম এন্ট্রি Sh (শর্ট নেম) এর দুই পাশের ফাঁকা স্থানে [ বন্ধনী ] দেয়া যায়। বন্ধনীর পর স্পেস দিতে চাইলে একবার স্পেসবার চাপতে হবে।
চিত্র ৬: বন্ধনী ঠিক করা
এভাবে পূর্ণাঙ্গ রেফারেন্স নিয়ম মেনে আপডেট করা সম্ভব। বারবার নতুন এন্ট্রি দিতে হবে না। শুধু রেফারেন্সে রাইট ক্লিক করে আপডেটে ক্লিক করবেন। আপডেট হয়ে যাবে।
চিত্র ৭: পরিবর্তিত রেফারেন্স
এভাবে রেফারেন্স দিলে নাম্বারিং-এ স্টার্টিং স্পেস দ্বিতীয় লাইনে গিয়েই নষ্ট হয়ে যাবে। সেজন্য আরেকটি পদ্ধতিতে নাম্বার দেয়া যায়।
রেফারেন্সে রাইট ক্লিক করে এডিট প্যারাগ্রাফে গিয়ে আউটলাইন এন্ড নাম্বারিং ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। আউটলাইন লেভেল ১ এবং নাম্বারিং স্টাইল হিসাবে নাম্বারিং ১ সিলেক্ট করতে হবে।
চিত্র ৮: বিবলিওগ্রাফীতে নাম্বারিং করা
অ্যাপ্লাই-ওকে চেপে বেরিয়ে আসতে হবে। তারপর মেনুবারের Tools → Outline Numbering এ ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো আসবে। সেখানে প্যারাগ্রাফ টাইপে বিবলিওগ্রাফী ১, নাম্বার ১,,৩ এবং সেপারেটরের পূর্বে [ এবং পরে ] ঠিক করে দিতে হবে। ওকে চেপে বেরিয়ে এলে নাম্বারিং ঠিকমতো দেখা যাবে।
চিত্র ৯: আউটলাইন নাম্বারিং
তবে রেফারেন্সে শর্ট নেম না দিতে চাইলে এন্ট্রি এডিট করতে হবে। স্ট্রাকচারে গিয়ে Sh সিলেক্ট করে রিমুভে ক্লিক করে ওকে চেপে বেরিয়ে এলেই শর্ট নেম মুছে যাবে। তার পরিবর্তে নাম্বার দেখা যাবে।
চিত্র ১০: শর্ট নেম মুছে ফেলা
আর এভাবেই রেফারেন্স সফলভাবে দেয়া সম্ভব।
চিত্র ১১: রেফারেন্স
আশা করি রেফারেন্স দেয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। অন্য কোন পদ্ধতি কারো জানা থাকলে শেয়ার করুন, হয়তো সেটি আরো সহজ হবে।





Like us on Facebook