শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২
বাংলাদেশের আরেকটি ভারতবধ
জয়। একটি শব্দ। যার তাৎপর্য অনেক। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না কখনো কখনো। এমন ক্ষণ সবসময় আসে না। গতকাল যেমন এল। স্থান মিরপুর শের-এ-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের অহমিকায় চপেটাঘাত করে ছিনিয়ে নেয় বিজয়। এই সেই ভারত যারা ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাবার পরেও বাংলাদেশকে ওদের দেশে আমন্ত্রণ জানায়নি। অজুহাত হলো দর্শক হবে না। বাংলাদেশ সহজে হার মেনে যাবে কিনা। তাই বার বার ভারতের সাথে জিততে মন চায়। ইচ্ছা করে তাদের অহংবোধটাকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে নামাতে। সীমিত সামর্থ্য, বিসিবির বিমাতাসুলভ আচরণ, আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক বিচারে সহজে জয় পাওয়া হয়ে ওঠে না। তাই যখন জয়টা আসে তখন উচ্ছ্বাসের জোয়ার নামে।
কে ভেবেছিল এশিয়া কাপেই রচিত হবে আরেকটি ভারতবধ কাব্য? যে দলে শচীন, ধনী, বিরাট কোহলি, রায়নার মত ব্যাটসম্যান তাদের সাথে জয় পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যতোই আমরা পাকিস্তানের সাথে জয়ের সম্ভাবনা জাগাই না কেন। ভারত স্কোরবোর্ডে ২৮৯ রান তোলার পর ভেবেছিলাম ২৫০-২৬০ করে খেলাটাকে ক্লোজ করবে হয়তো বাংলাদেশ। আক্ষেপে পুড়তে হবে আবারো। শচীনের শতরান, কোহলি ও রায়নার জোড়া অর্ধশতক আর রাজিবের উদার হস্তে দেওয়া রানে ভারত প্রায় ৩০০ রান জড়ো করে। শচীন এক বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা শতকের শতক পুরো করতে যেন একটু হিসেবি ছিল। বাংলাদেশের বোলিং বা ফিল্ডিংকেও অগ্রাহ্য করা যায় না। ব্যাটিং করতে নেমে ধীরে চলো নীতি মেনে চলতে লাগলো দুই ওপেনার নাজিম ও তামিম। নাজিম মেরে খেলে অভ্যস্ত। তাই তর সইলো না। মাঝ ব্যাটে বল নিতে না পেরে সে আউট। জহুরুল ইসলাম অমির ব্যাটিং বিপিএলে খুব একটা যুৎসই লাগেনি। তবে জানতাম সে পারে, বিপিএলে চেষ্টাও করেছে। জাতীয় দলে দুই বছর পর এসে তিন নম্বর জায়গাটা পাকা করার পথে এক ধাপ এগিয়ে দিল গতকালের ফিফটি। শাহরিয়ার নাফিসকে দলে আসতে হলে খুব ভাল করতে হবে। তামিম যেন পণ করেছে সিরিয়াস ব্যাটিং করবে। গতকালও তাই করলো পয়লা ম্যাচের মতো। মারমার কাটকাট তামিম নিজেকে খোলস বন্দী করে সাবধানী ব্যাটিং দিয়ে দলকে অনেকটা এগিয়ে নিয়েছিল। এরপর নাসিরের উপরে উঠে আসা, সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিং দলকে বিশ্বাস এনে দেয় আমরা পারবো। সাকিবের ভাগ্য খারাপ। স্টাম্পিং করেছিল কিপার, পা ছিল লাইনের উপরে। বেনিফিট অব ডাউট যায় সাধারনত ব্যাটসম্যানের পক্ষে। আর এবার গেল ভারতের পক্ষে। হয়তো দূর্বল বলে ছুরি চালানো সহজ ভেবেছে শ্রীলঙ্কান তৃতীয় আম্পায়ার। অশোকা ডি সিলভা কম ভুগায়নি বাংলাদেশকে, এখন নতুন একজনের আবির্ভাব ঘটলো। সাকিব ছিল বিনোদনের কেন্দ্র। তার প্রতিটা মার দর্শকের হৃদয়ে কাঁপুনি ধরিয়েছে। একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ বেলায় দায়িত্ব পড়ে মুশফিকের ছোট কাঁধে। সাথে নাসির হোসেন। বল আর রানের ব্যবধান ক্রমশ বেড়ে চলছিল। সাহসী অথচ সাবধানী ব্যাটিং করছিল মুশি-নাসির জুটি। ইরফান পাঠানের করা আটচল্লিশ তম ওভারে দুটো ছয় মেরে হিসাব সহজ করে ফেলে মুশি। ১২ বলে ১৬ রান কঠিন কিছু নয়। প্রভিন কুমারের ৪৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ছয় চারে করা ১১ রান ম্যাচ এনে দেয় বাংলাদেশের হাতের মুঠোয়। আরেকটি জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যায় সবাই। উল্লাসে মেতে ওঠে গ্যালারি, ড্রেসিংরুম আর পুরো দেশ। উত্তেজনায় নাসির নাজিমের মতো শট খেলে উইকেট দিয়ে আসে। তখনো ২ রান করা বাকি। রিয়াদ এসে ৪ বল বাকি রেখে উইনিং শট যখন খেলল তখন বাঁধ-ভাঙা আনন্দে ভেসে গেল পুরো দেশ। পেরেছি, আমরা পেরেছি। ভারতকে আরো একবার হারিয়েছি।
এ জয়ের পেছনে দৃশ্যমান অনেকের অবদান থাকলেও একজনের অবদান অনস্বীকার্য। তার নাম মানজারুল ইসলাম রানা। একসময় জাতীয় দলে খেলতো এই তরুণ। বাঁহাতি স্পিন আর ক্রমশ ভালো হতে থাকা ব্যাটিং। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাদ পড়ে স্থানীয় লীগে খেলছিল। ওটাই কাল হয় তার জন্য। ১৬ই মার্চ ২০০৭ মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারায় সে। পরেরদিন ভারতকে হারিয়ে জয়টা তাকে উৎসর্গ করেছিল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে পাঁচ বছর পর তার মৃত্যুদিনে আরেকবার ভারতকে হারালো বাংলাদেশ। ব্যবধান সেই পাঁচ উইকেট। প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে রানা। কে বলতে পারে এই দিন থেকে নতুন বাংলাদেশের পথচলা শুরু হলো কিনা।
এখন পালা শ্রীলঙ্কার, যে লঙ্কান আম্পায়ার সাকিবকে আউট দিল তাকে দেখিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশকে অগ্রাহ্য করার দিন শেষ। আমরাও ফাইনালে খেলতে চাই। পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে ১৩ বছর পর আরেকবার জয়ের স্বাদ পেতে চাই। পারবে কি বাংলাদেশ? প্রিয় ক্রিকেটার ভাইয়েরা, তোমাদের সাথে আছে আমাদের দোয়া। আর আকাশের তারা হয়ে যাওয়া রানার শুভ কামনা। পারবেনা তোমরা?
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৮:২০ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২
সময়ের দাবী ম্যাগনেট লিঙ্ক
সাম্প্রতিক সময়ে পাইরেসির বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষণায় বিপাকে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ফাইল শেয়ারিং সাইট। কিছু টরেন্ট সাইটের ওপরও কোপ পড়েছে। এতে করে সাময়িক অসুবিধা হলেও অনেকে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছে, বেরুচ্ছে নানান পন্থা। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় টরেন্ট শেয়ারিং সাইট পাইরেট বে তাদের কার্যক্রমে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন। তারা বন্ধ করে দিয়েছে টরেন্ট ফাইল হোস্টিং। টরেন্ট ফাইল বন্ধ করে তারা প্রায় সব ফাইলের ম্যাগনেট লিঙ্ক দিচ্ছে। প্রশ্ন আসতে পারে কি এই ম্যাগনেট লিঙ্ক ?
ম্যাগনেট ফাইল কি বলার পূর্বে টরেন্ট ফাইলের ধারনা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। যখন আপনি একটি টরেন্ট ফাইল (.torrent) নামাচ্ছেন তখন আপনার টরেন্ট ক্লায়েন্ট ছোট সেই ফাইলের কাছে পেয়ে যায় বড় ফাইলের যাবতীয় তথ্য। এর মধ্যে রয়েছে ফাইলের নাম, ট্র্যাকার লিস্ট ইত্যাদি। টরেন্ট ক্লায়েন্ট তখন ইউনিক হ্যাশ কোড ক্যালকুলেট করে দেখে আর কে কে সেই বড় ফাইলটি শেয়ার করছে। হিসাব নিকাশ শেষ করে সে ফাইল নামাতে বসে যায়।
আর ম্যাগনেট লিঙ্ক বিষয়টা আরেকটু সহজ করে দেয় (কোন কোন ক্লায়েন্টের কাছে কঠিন)। এটা যে ফাইল নামাতে চাচ্ছেন তার হাইপারলিঙ্ক, যাতে রয়েছে হ্যাশ কোড। ক্লায়েন্ট শুরুতেই হ্যাশ কোড হিসাব করে নেয়। তারপর নামাতে শুরু করে। মজার ব্যাপার হলো ম্যাগনেট লিঙ্কের কোন ট্র্যাকার প্রয়োজন হয় না। কিংবা ডাউনলোড করার জন্য কোন অতিরিক্ত ফাইল নামাতে হয় না। অর্থাৎ টরেন্ট ফাইলের জন্য আমাদেরকে ট্র্যাকার ফাইলটি (.torrent) নামাতে হয় এবং সেটি খুলতে হয় টরেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে।
ম্যাগনেট লিঙ্ক নামাতে চাইলে একটি ক্লিকেই কাজ হচ্ছে। যেমন পাইরেট বে সাইটে গিয়ে গেট দিস টরেন্ট (একটা ম্যাগনেট আইকন) লিঙ্কে ক্লিক করলে ব্রাউজারই লিঙ্কটিকে ডিফল্ট টরেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে খুলবে। তারপর টরেন্ট ক্লায়েন্ট হ্যাশ কোড হিসাব করে নিয়ে ডাউনলোড শুরু করবে। অনেকক্ষেত্রে ক্লায়েন্টভেদে ডাউনলোডের জন্য একটা ফোল্ডার নির্দিষ্ট করে দিতে হতে পারে। আমি এক্ষেত্রে ভুয্য টরেন্ট ক্লায়েন্ট বেশ স্মার্ট বলবো। এক ক্লিকেই সে ফাইলের হ্যাশ কোড হিসাব করে নেয়। ইদানিং তাই ভুয্য ব্যবহার করছি। অন্য জনপ্রিয় টরেন্ট ক্লায়েন্ট যেমন মিউটরেন্ট, ডেলুগে, ট্রান্সমিশন ইত্যাদি দিয়েও ম্যাগনেট লিঙ্ক ব্যবহার করা যায়।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১০:১৭ AM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

লেবেলসমূহ:
ইন্টারনেট,
টরেন্ট,
পাইরেট-বে,
ভুয্য,
ম্যাগনেট লিঙ্ক
সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১২
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ: যেমন দেখলাম
এশিয়া কাপের শুরুটা ভালই করলো বাংলাদেশ। যেভাবে চেয়েছিলাম, মানে জয় দিয়ে তা না হোক অন্তত কিছু সমালোচনার জবাব দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারাটা সামর্থ্যের পরিচায়ক। বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছিল। যারা বর্তমানে খেলছেন তাদের তো কথা বললেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কটূ কথা শুনতে হয়। আর যারা সাবেক তাদের বিরুদ্ধে কৌশলে লেগে আছেন বিসিবির কতিপয় সুযোগ সন্ধানী কর্মকর্তা। যাদের অতীত বলে তারা কেউ ছিলেন ফুটবলার, কেউবা স্রেফ সংগঠক। তারাই অপকৌশল খাটিয়ে বিসিবির কাউন্সিলরদের তালিকা হতে সাবেক ক্রিকেটারদের বাদ দেয়ার আইন প্রায় পাশ করে ফেলেছেন। প্রায় কারন ক্রীড়া পরিষদ এখনো হ্যাঁ বা না কিছু বলেনি। তাই ক্ষীণ একটা আশা এখনো বিদ্যমান। কে বলতে পারে এ যাত্রায় বেঁচে গেলে পরে নতুন কৌশল খাটাবেনা অক্রিকেটার কর্তারা। এত গেল একটা সমস্যা। কিন্তু আরেকটি সমস্যা যে একেবারে জাতীয় দলের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বর্তমান বিসিবির (লোটাস কামালের বিসিবি) জন্য নতুন নয়। সভাপতির নাতির অপছন্দে আশরাফুল দলে স্থান পায় না এটা অনেকে জেনে গেছেন। আবার তামিমকেও তার অপছন্দ। তাই তো ১৫ জনের তালিকায় তার নাম দেখে কেটে দিতে দ্বিধা হয়নি। ফল স্বরূপ চাচা প্রধান নির্বাচক আকরামের বিদ্রোহ এবং পদত্যাগ। বিষয়টা মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়াল। তিনি আকরামকে বুঝালেন ভবিষ্যতে লোটাস সাহেব এমন করবেন না। আকরাম যেন ফিরে আসে। কাকতালীয়ভাবে কামালকে বুঝিয়ে তামিমকে ঢোকানোর ব্যবস্থা করলেন বিসিবিতে কর্মরত সাবেক এক ক্রিকেটার। ফুটবলের মাঠ থেকে উঠে আসা কেউ কামালকে বিষয়টা বুঝালেন না! তামিমও ঢুকলো আকরামও এলেন। অনেকে এতে পক্ষপাতের গন্ধ খুঁজতে পারেন। হয়তো কেউ পেয়েও গেছেন। তাতে যদি বিসিবির বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হয় তবে এমন পক্ষপাতকে সমর্থন করা যায়। আমারও বিষয়টা কেমন যেন লেগেছে। আশরাফুল, নাফিস বা কাপালী বাদ পড়লে আকরাম চুপ ছিলেন আর ভাতিজা বাদ পড়ায় তার ইগোতে লাগল ব্যাপারটা কেমন গোলমেলে ঠেকছে। তবে ধরে নিচ্ছি মনের ভেতর জমতে থাকা চাপা ক্ষোভের বহি:প্রকাশ এই পদত্যাগ।
এত নাটক এত ক্লাইমেক্সের পর মাঠের পারফরম্যান্স কেমন হয় তা নিয়ে একটা সন্দেহ ছিল। মাশরাফি-রাজিব-সাকিবদের বল আর তামিম-নাজিম-নাসির-সাকিবদের ব্যাট তা হতে দেয়নি। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংটা ছিল চমৎকার। শেষদিকে নাজিমের হাতে সৈয়দ আজমলের জীবন পাওয়াটা যেন চাঁদের কলঙ্ক হিসেবে এল। দুই চাঁটগাইয়া তরুণের ওপেনিং জুটি ছিল চমৎকার। সাবধানী কিন্তু আক্রমনাত্নক জুটি বাংলাদেশের দরকার ছিল। নাজিমুদ্দীন-তামিম জুটি সামনে ভাল করুক এই প্রার্থনা করছি। তিনে নাফিসকে সরিয়ে আনা জহুরুল হতাশ করেনি। তবে অসময়ে আফ্রীদিকে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসার মধ্যে সেই চিরায়ত বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের চরিত্র পাওয়া যায়। রহিম, রিয়াদ এলো আর গেলো। তাদের মনে হয় কোন তাড়া ছিল!
পরের গল্প তিনজনের। তামিম, নাসির আর সাকিব। তিন তরুণ। একজনের ঘাড়ে নানা অপবাদ। সে বেয়াদপ, সে অভদ্র, সে কথা শোনে না, তার চাচার জন্য সে দলে, বিপিএলে বিদেশী কোচের সাথে ঝামেলা করেছে আরো কত কি। সেই তামিম খেলল স্বভাববিরুদ্ধ ইনিং। আউট হবার আগে কোন খুঁত ছিল না তার ইনিংসে। ফিফটি করার পর সে যেভাবে ব্যাট তুলে ধরেছিল তাতে অনেকের মুখে যে চড় পড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। দুর্ভাগ্য তামিমের। ফিফটির পর বেশি সময় থাকতে পারেনি, হয়তো ক্লান্তি তার কারণ। তামিমের পর সাকিব-নাসির খেলাকে যেভাবে বাংলাদেশের নাগালে এনে ফেলেছিল তা দেখার মতো। বিপিএল এই মানসিকতা সৃষ্টিতে একটু হলেও অবদান রেখেছে। শেষ দিকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গীর অভাবে সাকিবের পক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া সম্ভব হয়নি। মাশরাফি, রাজ্জাক, শফিউল এদের অসময়ে উইকেট ছুঁড়ে আসা তাই বুকে শেলের মত বিধেছে। তবুও, বাংলাদেশ হারার আগে হারেনি। লড়াকু বাংলাদেশ দেখা গেল পাকিস্তানের সাথে। বাকি দুটো ম্যাচের অন্তত একটিতে জয় চাই। তা যদি হয় ভারতের বিরুদ্ধে তবে তা হবে সীমান্ত হত্যার দারুণ জবাব। তামিম যেমন জবাব দিয়েছে, বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা ভারতকে হারিয়ে সীমান্তে অপমানের জবাব কি দিতে পারবে ?
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৯:৪৩ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১২
লিনাক্স মিন্ট ডেবিয়ানে লিব্রে অফিসের নতুন সংস্করণ
লিনাক্স মিন্ট ডেবিয়ান ইনস্টল করলাম কয়েক ঘন্টা পূর্বে। দেখলাম লিব্রে অফিসের সাম্প্রতিক ভার্সন নেই, দেয়া আছে তিন দশমিক তিন ভার্সনটি। আমার তো নতুন ভার্সন চাই, কি করা যায়। ডাউনলোড করে নিলাম নতুন ভার্সনের (3.5.0) সংকুচিত ইনস্টলেশন ফাইল। এরপর টার্মিনালে নিচের কমান্ডগুলো একে একে দিয়ে ইনস্টল করে নিলাম লিব্রের সাম্প্রতিক ভার্সন।
১। প্রথমে পুরনো সংস্কারটি ঝেড়ে ফেলতে হবে। এজন্য দরকার এই কমান্ড:
এভাবেই লিনাক্স মিন্ট ডেবিয়ানে ইনস্টল করে নিলাম নতুন লিব্রে অফিস। আপনারাও করে নিন, দেরী কেন ?
১। প্রথমে পুরনো সংস্কারটি ঝেড়ে ফেলতে হবে। এজন্য দরকার এই কমান্ড:
sudo apt-get purge libreoffice*২। এরপর ডাউনলোডকৃত ফোল্ডার যেখানে আনজিপ করা হয়েছে সেখানে যেতে হবে। একটা ফোল্ডার থাকবে DEBS নামে, সেটায় গিয়ে এই কমান্ড:
sudo dpkg -i *.deb৩। ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশন নামে একটি ফোল্ডার আছে, সেখানে গিয়েও একই কমান্ড চালাতে হবে।:
sudo dpkg -i *.deb৪। কাজ শেষ, এবার মেনুতে দেখুন। লিব্রে অফিসের নতুন সংস্করণ (3.5.0) শোভা পাচ্ছে।
এভাবেই লিনাক্স মিন্ট ডেবিয়ানে ইনস্টল করে নিলাম নতুন লিব্রে অফিস। আপনারাও করে নিন, দেরী কেন ?
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১:৪৬ AM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

লেবেলসমূহ:
ডেবিয়ান,
লিনাক্স,
লিনাক্স মিন্ট,
লিব্রে অফিস
বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
প্রসঙ্গ বিপিএল
আমরা অনুকরণ করতে ভালবাসি। তা সে মন্দ কাজ হোক বা ভাল কাজ। তবে দেখা যায় মন্দ কাজের অনুকরণ বেশি করা হচ্ছে। ব্যক্তিকেন্দ্রীক বা গোষ্ঠীকেন্দ্রীক, সব নকলই আমরা করে থাকি। বেশ, নকল যখন করছিই তো ভাল করে করি। নকল নিয়ে লেখাবাজি করার কারণ আছে। কারণ একটা ক্রিকেট লীগ। নাম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ। সংক্ষেপে বিপিএল। ফুটবলেও নাকি এমন একটা টুর্নামেন্ট রয়েছে, বাফুফে মিডিয়ার আলো পায়না বলে সেটা আমাদের মত আমজনতার নজরে খুব একটা আসে না। সে যাই হোক, দুটো কেন; দশটা বিপিএল হয়ে খেলাধূলায় আমরা এগিয়ে যেতে পারলে মন্দ কি। তা যে কথা বলছিলাম। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, সেখানে কয়েক বছর আগে আইপিএল নামক একটা পাঁচমিশালী ক্রিকেট লীগ চালু হয়েছে। যাতে চিয়ার্স গার্ল, সিনেমার নায়িকাদের হাফ নেকড শরীরে বিভিন্ন দলকে সাপোর্ট দেয়া এসব যুক্ত করা হয়েছে। পুরোটাই ব্যবসায়িক চিন্তা। মানুষ ক্রিকেট মাঠে ক্রিকেটারদের মাঝে আর বিনোদন পায় না, তার এইসব নর্তকীদের কোমর দুলানো দেখতে হয়। বাহ কি মজা, খেলা দেখতে এসে বিনা পয়সায় কিছু নাচা-নাচি দেখা হলো।
আমাদের বোর্ডের কর্তারাও এটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকবেন, ভারতে দেখাদেখি অনেকেই এমন লীগ আয়োজন করা শুরু করেছে। আমরা না করলে কি হয়? বিভিন্ন চেষ্টার ফসল হলো এই বিপিএল। যার শুরতেই ক্রিকেট মিডিয়ার নিয়ন্ত্রক ভারত তাদের ক্রিকেটারদের দেয়া যাবে না জানিয়ে দিল। কত দেন দরবার, তবুও দাদাদের মন পাওয়া গেল না। তাতে কি, ক্রিকেটারদের পাওয়া যায়নি নায়িকাদের তো পাওয়া যাবে। ওদেরকে তো আর বিসিসিআই নিয়ন্ত্রণ করে না। টাকা ছড়ালে তারা এসে নেচে দিবে। তাই হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচতে এল ভারতের কিছু অভিনেত্রী, আইটেম গার্ল। তাদের টাকার বিনিময়ে নৃত্য কর্মসূচী দেখে আমাদের চোখ হৃদয় জুড়িয়ে গেল। বাংলাদেশী টুর্নামেন্টে হিন্দী গান শুনে আমরা অতিশয় আনন্দ লাভ করলাম, আর বিশ্বকে বার্তা দিলাম আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি বলতে হিন্দী নাচ-গান ছাড়া তেমন কিছু নেই।
বড় আশা ছিল বিপিএলে দেখব বাংলাদেশের কিছু তরুণের ব্যাট বলের নৈপুণ্য। সে আশায় গুড়ে বালি। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের হুঙ্কারে দেশের ছেলেগুলো চুপষে থাকলো। সাথে ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের একদল উইলোবাজ শাসন করে চললো দেশীয় বোলারদের। কি লাভ হলো শেষ পর্যন্ত ? বিদেশীদের ভারে দেশীয় ক্রিকোটাররা হা পিত্যেশ করে মরছে কখন সে ব্যাট করতে নামবে। সুযোগ আর হয় না, যখন হয় তখন নিজেকে প্রমাণের কিছু থাকে না। রান বাড়ানোর চাপে উইকেট বিসর্জন দিয়ে আসতে হয়। ডেথ ওভারে বোলিং এর সুযোগটাও হয়ে ওঠে না। তাহলে অভিজ্ঞতা বাড়ছে কিভাবে? দাদাদের আইপিএলে দেশের ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ হয় না, দেশীয় লীগেও যদি এমন হয় তবে শুধু ব্যবসায়িক ভাবনায় এমন লীগ আয়োজন করা কেন? খেলাটা টি২০, এটায় ভাল করলে খুব একটা নাম নেই যতটা হয় টেস্ট ক্রিকেটে ভাল করলে। সেজন্য চেষ্টা করছি কি আমরা ? দেশের প্রথম শ্রেণীর লীগটাকে পিকনিক টুর্নামেন্ট না বানিয়ে ব্যবসায়িদের সম্পৃক্ত করে বিপিএলের মত করলে কি খুব ক্ষতি হয়?
আফসোস, আমরা খেলাধূলাতেও লাভ-ক্ষতির হিসাব কষি। দেশের সম্মানের কথা ভাবনায় আসে না। নকল যখন করতেই হবে, দাদাদের প্রথম শ্রেণীর লীগটাকে করি। আমাদের সাথে তাদের পরিবেশ মিলে যায়, অস্ট্রেলিয়ার নয়। অস্ট্রেলিয়ার মডেল নিয়ে পড়ে থাকা মানে কিছু না করা, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কাঠামোটাও যদি নকল করতাম তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে এত পিছিয়ে থাকতে হতো না। এমন ভুরি ভুরি লেখা পত্রিকার পাতায়, ব্লগে এসেছে। কর্তাদের চোখে কখনোই এসব পড়ে না। তারা ভাবে ব্যবসা, আইপিএলের আদলে নাম দিতে হবে বিগ ব্যাশের মত নয়। আর আমজনতার (দর্শকের) আনন্দ, বেদনা হাওয়ায় মিলিয়ে যায় অর্থের টানে। তাদের জন্য ভাবার সময় কারো হয় না।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৯:৫৭ AM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
