লিনাক্স মিন্টে রাইট ক্লিক মেন্যুতে টার্মিনাল অপশনটি থাকে। অনেক উবুন্টু ব্যবহারকারী উবুন্টুতে এর অভাব বোধ করেন। সহজেই মাত্র একটি কমান্ডের মাধ্যমে আমরা উবুন্টুর রাইট ক্লিক মেন্যুতে এটি যোগ করতে পারি।
এজন্য Applications → Accessories → Terminal এ ক্লিক করে টার্মিনাল ওপেন করুন।
এরপর নিচের কমান্ডটি দিন।
পাসওয়ার্ড দিয়ে একটু অপেক্ষা করুন। ইনস্টলেশন শেষ হলে টার্মিনাল ক্লোজ করে লগ-আউট করুন।
লগ-ইন করে ডেস্কটপে রাইট ক্লিক করলে দেখবেন Open in Terminal অপশনটি চলে এসেছে।
সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১১
উবুন্টুর কনটেক্সট মেন্যুতে টার্মিনাল
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৬:৪৮ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১১
একটি ব্যাঙের গল্প ও আমরা
ইদানিং আমরা নিজের স্বত্তা ভুলে যাচ্ছি। অন্যকে নিয়ে মাতামাতি বেশী করছি। এই তো গত বছর ডিসেম্বর মাসে আর্মি স্টেডিয়ামে টাকার বিনিময়ে নাচানাচি করে গেলেন শাহরুখ খান, রানী মুখার্জি, অর্জুন রামপাল প্রমুখ। বাংলাদেশী দর্শকরা তাদের দেখার জন্য মাটিতে পর্যন্ত বসে পড়েছিল। এতে চাচা-কাকা জাতীয় মানুষজন ছিলেন এবং তারা মাঠে বসে এসব ভিনদেশী নাচ দেখেছেন। আমার অবাক লাগে সংক্ষিপ্ত পোষাকের মেয়েগুলোকে লুল জাতীয় পুরুষের মতো সেসব চাচারা অপলক নয়নে দেখেছেন। পাশে ভাতিজা টাইপের ছেলেগুলোও তাদের দেখছিল। লজ্জা লজ্জা, আমার লাগলেও তাদের লাগেনি। এটাই বড় লজ্জার। এখন শুনছি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আবার এরকম অনুষ্ঠান হবে ঢাকায়। তাতে নাকি আরো বড় চমক থাকবে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কাইফ, ম্যালাইকা অরোরা খান আসবেন। তাদের পোষাক কেমন হয় তা নিশ্চয় সচেতন পাঠক জানেন। গরমকালে তাদের যেমন গরম বেশী লাগে তেমনি আবার শীতকালেও তাদের গরম লাগে। তাই পোষাক সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এখন মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে তারা যদি নাভী দেখিয়ে, বুকের খাঁজ দেখিয়ে মুরুব্বিদের সামনে নাচেন এবং সাথে দর্শক সারিতে জোয়ান পোলাপানও থাকে তাহলে তা আমাদের জন্য হবে অত্যন্ত অপ্রীতিকর। সব পুরুষই এসব অভিনেত্রীরূপী নর্তকীদের দেখবে পাড়ার ইভটিজারের দৃষ্টিতে। সে ভুলে যাবে প্রিয়াঙ্কার মতোই তার একটা বোন আছে, কিংবা আছে একটা মেয়ে।
আমরা একদিকে লোকজনকে মেয়েদের কটূ কথা বলায় গালাগাল করি। আবার আমরাই ম্যালাইকা অরোরার “মুন্নি বদনাম হুয়ি তেরে লিয়ে” দেখে নিজেকে মুন্নির বদনামকারী ভাবি। দ্বৈতরূপে আমাদের জুড়ি মেলা ভার। নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে ক্যাটরিনা কাইফের “শিলা কি জওয়ানি” নিয়ে মশগুল থাকি। এসব গান না বাজালে মনে হয় জাতে ওঠা যায় না। তাই তো এসব স্বস্তা হিন্দী গান বাজাতে বাজাতে, বেসুরো গলায় গাইতে গাইতে নিজেদের জাতে তুলি।
কয়দিন আগে একজন জনপ্রিয় লেখকের একটা কলামে একটা গল্প পড়লাম। সেটা দিয়েই শেষ করি।
একটি পানশালায় একজন লোক এসে বলল সে ম্যাজিক দেখাবে। যেহেতু তার কাছে অর্থ নেই তাই ম্যাজিকের বিনিময়ে মদ চাইছে। ম্যানেজার রাজি হয়ে গেল। লোকটি একটি ইঁদুর বের করলো, টেবিলের উপর রাখতেই সে নাচতে লাগলো। ম্যানেজার খুশি হয়ে তাকে মদ দিলো। পরেরদিন সে আবার এলো, আবার ম্যাজিক। এবার সে একটি ব্যাঙ বের করলো। ব্যাঙটি গান গাইতে লাগলো। এটা দেখে এক লোক ব্যাঙটি কেনার জন্য দরদাম শুরু করলো। ভালো দামে ব্যাঙটি কিনে নিল লোকটি। ম্যাজিশিয়ানকে এবার ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করলো কেন সে গান গাওয়া ব্যাঙটি বেচে দিল ? ম্যাজিশিয়ান বললো ব্যাঙটি গান গায়নি। গেয়েছে ইঁদুরটি, ব্যাঙটি লিপসিং করেছে শুধু। তাই ব্যাঙের দাম তার কাছে নেই। সেজন্য ব্যাঙটি বেচে দিয়েছে।
এখন আমরাও মনে হয় তেমন হয়ে যাচ্ছি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে ব্যাঙই আনছি, যার আসলেই কোন মূল্য নেই।
আমরা একদিকে লোকজনকে মেয়েদের কটূ কথা বলায় গালাগাল করি। আবার আমরাই ম্যালাইকা অরোরার “মুন্নি বদনাম হুয়ি তেরে লিয়ে” দেখে নিজেকে মুন্নির বদনামকারী ভাবি। দ্বৈতরূপে আমাদের জুড়ি মেলা ভার। নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে ক্যাটরিনা কাইফের “শিলা কি জওয়ানি” নিয়ে মশগুল থাকি। এসব গান না বাজালে মনে হয় জাতে ওঠা যায় না। তাই তো এসব স্বস্তা হিন্দী গান বাজাতে বাজাতে, বেসুরো গলায় গাইতে গাইতে নিজেদের জাতে তুলি।
কয়দিন আগে একজন জনপ্রিয় লেখকের একটা কলামে একটা গল্প পড়লাম। সেটা দিয়েই শেষ করি।
একটি পানশালায় একজন লোক এসে বলল সে ম্যাজিক দেখাবে। যেহেতু তার কাছে অর্থ নেই তাই ম্যাজিকের বিনিময়ে মদ চাইছে। ম্যানেজার রাজি হয়ে গেল। লোকটি একটি ইঁদুর বের করলো, টেবিলের উপর রাখতেই সে নাচতে লাগলো। ম্যানেজার খুশি হয়ে তাকে মদ দিলো। পরেরদিন সে আবার এলো, আবার ম্যাজিক। এবার সে একটি ব্যাঙ বের করলো। ব্যাঙটি গান গাইতে লাগলো। এটা দেখে এক লোক ব্যাঙটি কেনার জন্য দরদাম শুরু করলো। ভালো দামে ব্যাঙটি কিনে নিল লোকটি। ম্যাজিশিয়ানকে এবার ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করলো কেন সে গান গাওয়া ব্যাঙটি বেচে দিল ? ম্যাজিশিয়ান বললো ব্যাঙটি গান গায়নি। গেয়েছে ইঁদুরটি, ব্যাঙটি লিপসিং করেছে শুধু। তাই ব্যাঙের দাম তার কাছে নেই। সেজন্য ব্যাঙটি বেচে দিয়েছে।
এখন আমরাও মনে হয় তেমন হয়ে যাচ্ছি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে ব্যাঙই আনছি, যার আসলেই কোন মূল্য নেই।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১১:৩৬ PM
3
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

লেবেলসমূহ:
অনুষ্ঠান,
এলোমেলো ভাবনাগুলো,
বিশ্বকাপ,
সংস্কৃতি
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১১
১৫ জন ক্রিকেটার ও ৩ নির্বাচক সাথে ১ জন সমালোচক
আমরা সহজ কথা বুঝতে চাই না, বুঝলেও জল ঘোলা না করে বুঝি না। নিজের কথাই বলি, পড়ালেখা যখন করতাম তখন পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর না পেলে মনে হতো শিক্ষক মহাশয় হয়তো আমার প্রতি রুষ্ট। তাই নম্বর কম দিয়েছেন। নিজে যে পড়ায় ফাঁকি দিয়েছি সেটা বুঝতেই চাইতাম না। তরকারীতে লবণ না হলে লঙ্কাকাণ্ড না বাধিয়ে অনেকেই শান্তি পান না। রন্ধনও যে একটা শিল্প আর তা যে ত্রুটিযুক্ত হতে পারে তা বুঝতে চাই না। রাঁধুনীকে গালাগাল না করলে ভাত হজম হয় না। এসবের অবতারণা করলাম কিছু মনের কথা বলবো বলে। আমি বরাবরই বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজ-খবর রাখি। বিশ্বকাপের দল নিয়েও ছিল বিস্তর আগ্রহ। স্থানীয় মিডিয়া, সাবেক ক্রিকেটার, সাধারণ পাঠক সবাই ছিল নানান রকম বিশ্লেষণে ব্যস্ত। যার যার যুক্তিতে সবাই দল সাজিয়েছেন। আমিও বাদ যাই কেন ?
দল নাকি নির্বাচকেরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন। ঘোষণার বাকি ছিল। যাতে নাম ছিল না মাশরাফি বিন মুর্তজার। বর্তমান নির্বাচকদের চক্ষুশূল অলক কাপালী, সৈয়দ রাসেল তো বরাবরের মতোই উপেক্ষিত। তো এই দল বিসিবি অনুমোদন দিতে গিয়েই ঝামেলাটা বাধল। মাশরাফি দলে নাই, তাহলে অভিজ্ঞ অলককে নেয়া হোক। আশরাফুলের ওপরও বিসিবির ভরসা নেই, তাই সেও বাদ পড়ুক। না, নির্বাচক মন্ডলী তা হতে দিবেন না। তাহলে নাকি তারা পদত্যাগ করবেন। দুইদিন ধরে চলল ম্যারাথন মিটিং। দল ঘোষণার শেষ দিনে সকালে আশরাফুল বাদ পড়ে অলক ঢুকছেন আর নির্বাচকেরাও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ভাসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত এমনটি হয়নি। আশরাফুল বহাল তবিয়তে দলে আছেন, বেচারা অলক এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন। মাশরাফি বাদ পড়লেন ইনসজুরির অজুহাতে।
নির্বাচকেরা কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। দেখা যাক সেগুলো কি:
আশরাফুল : অভিজ্ঞতা, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স তাই সে দলে। বড় আসরের খেলোয়াড় সে।
অলক কাপালী : সে দুই বছর ধরে দলে নেই, ঘরোয়া ক্রিকেট তেমন কিছু করতে পারেনি। তাই এবার রাখলাম না।
মাশরাফি : ইনজুরি আক্রান্ত বলে ফিট নয়। তাই সে উপেক্ষিত।
যুক্তির পসরা ভালোই সাজাতে পারেন নির্বাচকেরা। আশরাফুল বড় আসরের খেলোয়াড়, এটা ঠিক অস্বীকার করছিনা। তবে বর্তমানে যারা ক্রিকেটের খোঁজ রাখেন তারা জানেন আশরাফুল আমাদের জন্য নারীদের চেয়েও যেন ছলনাময়ী। কখন তার ব্যাট কথা বলবে, কখন তিনি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবেন কে জানে! তার স্বমহিমা কি সেটাও গবেষণার বিষয় হতে পারে। এক ম্যাচ ভালো করে পরের অনেকগুলো ম্যাচ নিশ্চিত জেনে শীতনিদ্রা দেয়া নাকি ঐ যে কদাচিৎ এক ম্যাচ ভালো খেলা সেটা? ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময় ভালোই খেলে আশরাফুল, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স কখনোই ভিনদেশী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনূদিত হয়নি। তবুও তিনি বারবার একই যুক্তিতে দলে আসেন এবং আমরা হতাশ হই। নির্বাচকদের সাথে আছে মিডিয়া, তারা দোষ-গুণের মানুষ আশরাফুলকে শুধু গুণবাচক বিশেষণে বিশেষায়িত করেন। তাই জনগণের প্রবল আপত্তি ধোপে টিকে না, আশরাফুল দলে ঢোকেন আর আমরা মার্কা মারা জনগণ পাড়ায়, কলেজের ক্যান্টিনে আড্ডায় বসে সেসব নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকি। একেকজন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ কিনা!
অলক কাপালীর প্রসঙ্গে আসি। এই ছেলের ফ্যান আমি তখন থেকে যখন রেডিওতে ঢাকা লীগের খেলা প্রচার হতো। তখন অলক মনে হয় সদ্য খেলা শুরু করেছে, নিয়মিত রান করছে, উইকেট নিচ্ছে। ভাবতাম ভারতীয় নাকি। পরে তাকে ব্যাট করতে দেখি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে, টিভির পর্দায় অবশ্যই। তার ব্যাটিং সৌন্দর্যে দারুণ মুগ্ধ হয়ে যাই, তার লফটেড শট, অফ ড্রাইভ, পুল-হুক দারুণ শিহরণ জাগায় তখন। কারণ দলে এমন ছবির মতো সুন্দর ব্যাটিং কেউ করতে পারতো না। তো সেই অলক সময়ের বাঁকে পড়ে দল থেকে হারিয়ে গেল। আশরাফুল যদি বারবার সুযোগ পেতে পারে তাহলে অলক কেন নয় ? আশরাফুল ২০০৫ সালে অসিদের বিপক্ষে করা শতক দিয়ে দলে বারবার আসতে পারলে অলকের আছে ২০০৮ সালে ভারতের সাথে করা শতরান কেন বিবেচনায় আসবে না ? সেই শতরানও যে যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক ছিল তা মিডিয়াও স্বীকার করে। ম্যাচ যেতা হয়নি চারটি ক্যাচ মিস করায়, নাহয় ২৮০ এর ঘরে রান থেকেও দল হারে কি করে ? অলক নেই হয়তো তার লবিং নেই বলে, মিডিয়াও অন্ধের মতো তাকে ভালোবাসে না। একটা তথ্য দিয়ে অলককে নিয়ে কথা শেষ করছি। এবারের লীগে মোহামেডান ৩৩৯ রান করেছিল। সে রান তাড়া করে অলকের গাজী ট্যাংক। ফল কি হয়েছিল জানেন ? গাজী ম্যাচ জিতে নেয় যেখানে অলক করেন ৩৫ বলে ৬৩ রান (অপরাজিত), এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড কেউ বের করতে পারলেন না স্মৃতি হাতড়েও।
মাশরাফির ইনজুরি যেমনই হোক তাকে দলে না নেয়ায় খুব আপসেট হইনি। এমনিতেই দুই জন পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ, খেলার মাঝে যদি মাশরাফি আবার বল করতে গিয়ে পড়ে যায় ? কে হবে থার্ড সিমার ? এ উত্তর জানা নেই, তাই এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচকদের ধন্যবাদ। মাশরাফির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা।
এত কিছু বললাম, যে দল ঘোষিত হলো সেটা নিয়ে কিছু বললাম না। এটা ঠিক হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দলে ওপেনার আছেন চারজন (তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস ও জুনায়েদ সিদ্দীক)। এদের মধ্যে তামিম ও ইমরুল ওপেন করবে নিশ্চিত। তবে তিন নাম্বারে জুনায়েদ না নাফিস এই প্রশ্ন আমাকে করলে আমি নাফিসকে বেছে নিলেও সিডন্স সম্ভবত জুনায়েদকেই বেছে নিবেন। তাই নাফিসকে একাদশে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। চারে রকিবুল হাসানকে নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও সিডন্সের ভালোবাসায় সিক্ত রকিবুল অটোমেটিক চয়েস। তাই আশরাফুলকেও একাদশের বাইরে থাকতে হবে। এরপর যথারীতি সাকিব, মুশফিক, নাইম, শুভ, শফিউল, রাজ্জাক, রুবেল। এই মোটামুটি দল হতে পারে। তবে এসব প্লেয়ারদের মধ্য হতে আমি দল সাজালে নিম্নরূপ হবে:
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মো: আশরাফুল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাইম ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন। দলের বাইরে থাকবে জুনায়েদ সিদ্দীক, রকিবুল হাসান, রুবেল হোসেন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলে বৈচিত্র্য কম, অলক কাপালীর জন্য আবারো আফসোস হচ্ছে। শুভর জায়গায় সে থাকলে দলটা আরো ব্যলান্সড মনে হতো। বর্তমান দল খুব খারাপ করবেনা, আবার একদম ফাটাফাটি ফল করবে বলে মনে হয় না। তবে একাদশ নির্বাচন ও ব্যাটিং অর্ডার সাজানোয় দক্ষতার পরিচয় যদি ম্যানেজম্যান্ট দিতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়। অন্যথায় বাজে রেজাল্টের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সবশেষে শুভকামনা দলের জন্য। সকল সমালোচনা শেষ হয়ে যাবে দল ভালো করলে। আর যদি নির্বাচকদের একগুঁয়েমিতে দল খারাপ করে বসে তাহলে মানুষের কাছে ভিলেন হয়ে থাকবে নির্বাচক কমিটি ও বিসিবি।
দল নাকি নির্বাচকেরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন। ঘোষণার বাকি ছিল। যাতে নাম ছিল না মাশরাফি বিন মুর্তজার। বর্তমান নির্বাচকদের চক্ষুশূল অলক কাপালী, সৈয়দ রাসেল তো বরাবরের মতোই উপেক্ষিত। তো এই দল বিসিবি অনুমোদন দিতে গিয়েই ঝামেলাটা বাধল। মাশরাফি দলে নাই, তাহলে অভিজ্ঞ অলককে নেয়া হোক। আশরাফুলের ওপরও বিসিবির ভরসা নেই, তাই সেও বাদ পড়ুক। না, নির্বাচক মন্ডলী তা হতে দিবেন না। তাহলে নাকি তারা পদত্যাগ করবেন। দুইদিন ধরে চলল ম্যারাথন মিটিং। দল ঘোষণার শেষ দিনে সকালে আশরাফুল বাদ পড়ে অলক ঢুকছেন আর নির্বাচকেরাও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ভাসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত এমনটি হয়নি। আশরাফুল বহাল তবিয়তে দলে আছেন, বেচারা অলক এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন। মাশরাফি বাদ পড়লেন ইনসজুরির অজুহাতে।
নির্বাচকেরা কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। দেখা যাক সেগুলো কি:
আশরাফুল : অভিজ্ঞতা, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স তাই সে দলে। বড় আসরের খেলোয়াড় সে।
অলক কাপালী : সে দুই বছর ধরে দলে নেই, ঘরোয়া ক্রিকেট তেমন কিছু করতে পারেনি। তাই এবার রাখলাম না।
মাশরাফি : ইনজুরি আক্রান্ত বলে ফিট নয়। তাই সে উপেক্ষিত।
যুক্তির পসরা ভালোই সাজাতে পারেন নির্বাচকেরা। আশরাফুল বড় আসরের খেলোয়াড়, এটা ঠিক অস্বীকার করছিনা। তবে বর্তমানে যারা ক্রিকেটের খোঁজ রাখেন তারা জানেন আশরাফুল আমাদের জন্য নারীদের চেয়েও যেন ছলনাময়ী। কখন তার ব্যাট কথা বলবে, কখন তিনি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবেন কে জানে! তার স্বমহিমা কি সেটাও গবেষণার বিষয় হতে পারে। এক ম্যাচ ভালো করে পরের অনেকগুলো ম্যাচ নিশ্চিত জেনে শীতনিদ্রা দেয়া নাকি ঐ যে কদাচিৎ এক ম্যাচ ভালো খেলা সেটা? ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময় ভালোই খেলে আশরাফুল, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স কখনোই ভিনদেশী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনূদিত হয়নি। তবুও তিনি বারবার একই যুক্তিতে দলে আসেন এবং আমরা হতাশ হই। নির্বাচকদের সাথে আছে মিডিয়া, তারা দোষ-গুণের মানুষ আশরাফুলকে শুধু গুণবাচক বিশেষণে বিশেষায়িত করেন। তাই জনগণের প্রবল আপত্তি ধোপে টিকে না, আশরাফুল দলে ঢোকেন আর আমরা মার্কা মারা জনগণ পাড়ায়, কলেজের ক্যান্টিনে আড্ডায় বসে সেসব নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকি। একেকজন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ কিনা!
অলক কাপালীর প্রসঙ্গে আসি। এই ছেলের ফ্যান আমি তখন থেকে যখন রেডিওতে ঢাকা লীগের খেলা প্রচার হতো। তখন অলক মনে হয় সদ্য খেলা শুরু করেছে, নিয়মিত রান করছে, উইকেট নিচ্ছে। ভাবতাম ভারতীয় নাকি। পরে তাকে ব্যাট করতে দেখি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে, টিভির পর্দায় অবশ্যই। তার ব্যাটিং সৌন্দর্যে দারুণ মুগ্ধ হয়ে যাই, তার লফটেড শট, অফ ড্রাইভ, পুল-হুক দারুণ শিহরণ জাগায় তখন। কারণ দলে এমন ছবির মতো সুন্দর ব্যাটিং কেউ করতে পারতো না। তো সেই অলক সময়ের বাঁকে পড়ে দল থেকে হারিয়ে গেল। আশরাফুল যদি বারবার সুযোগ পেতে পারে তাহলে অলক কেন নয় ? আশরাফুল ২০০৫ সালে অসিদের বিপক্ষে করা শতক দিয়ে দলে বারবার আসতে পারলে অলকের আছে ২০০৮ সালে ভারতের সাথে করা শতরান কেন বিবেচনায় আসবে না ? সেই শতরানও যে যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক ছিল তা মিডিয়াও স্বীকার করে। ম্যাচ যেতা হয়নি চারটি ক্যাচ মিস করায়, নাহয় ২৮০ এর ঘরে রান থেকেও দল হারে কি করে ? অলক নেই হয়তো তার লবিং নেই বলে, মিডিয়াও অন্ধের মতো তাকে ভালোবাসে না। একটা তথ্য দিয়ে অলককে নিয়ে কথা শেষ করছি। এবারের লীগে মোহামেডান ৩৩৯ রান করেছিল। সে রান তাড়া করে অলকের গাজী ট্যাংক। ফল কি হয়েছিল জানেন ? গাজী ম্যাচ জিতে নেয় যেখানে অলক করেন ৩৫ বলে ৬৩ রান (অপরাজিত), এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড কেউ বের করতে পারলেন না স্মৃতি হাতড়েও।
মাশরাফির ইনজুরি যেমনই হোক তাকে দলে না নেয়ায় খুব আপসেট হইনি। এমনিতেই দুই জন পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ, খেলার মাঝে যদি মাশরাফি আবার বল করতে গিয়ে পড়ে যায় ? কে হবে থার্ড সিমার ? এ উত্তর জানা নেই, তাই এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচকদের ধন্যবাদ। মাশরাফির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা।
এত কিছু বললাম, যে দল ঘোষিত হলো সেটা নিয়ে কিছু বললাম না। এটা ঠিক হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দলে ওপেনার আছেন চারজন (তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস ও জুনায়েদ সিদ্দীক)। এদের মধ্যে তামিম ও ইমরুল ওপেন করবে নিশ্চিত। তবে তিন নাম্বারে জুনায়েদ না নাফিস এই প্রশ্ন আমাকে করলে আমি নাফিসকে বেছে নিলেও সিডন্স সম্ভবত জুনায়েদকেই বেছে নিবেন। তাই নাফিসকে একাদশে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। চারে রকিবুল হাসানকে নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও সিডন্সের ভালোবাসায় সিক্ত রকিবুল অটোমেটিক চয়েস। তাই আশরাফুলকেও একাদশের বাইরে থাকতে হবে। এরপর যথারীতি সাকিব, মুশফিক, নাইম, শুভ, শফিউল, রাজ্জাক, রুবেল। এই মোটামুটি দল হতে পারে। তবে এসব প্লেয়ারদের মধ্য হতে আমি দল সাজালে নিম্নরূপ হবে:
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মো: আশরাফুল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাইম ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন। দলের বাইরে থাকবে জুনায়েদ সিদ্দীক, রকিবুল হাসান, রুবেল হোসেন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলে বৈচিত্র্য কম, অলক কাপালীর জন্য আবারো আফসোস হচ্ছে। শুভর জায়গায় সে থাকলে দলটা আরো ব্যলান্সড মনে হতো। বর্তমান দল খুব খারাপ করবেনা, আবার একদম ফাটাফাটি ফল করবে বলে মনে হয় না। তবে একাদশ নির্বাচন ও ব্যাটিং অর্ডার সাজানোয় দক্ষতার পরিচয় যদি ম্যানেজম্যান্ট দিতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়। অন্যথায় বাজে রেজাল্টের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সবশেষে শুভকামনা দলের জন্য। সকল সমালোচনা শেষ হয়ে যাবে দল ভালো করলে। আর যদি নির্বাচকদের একগুঁয়েমিতে দল খারাপ করে বসে তাহলে মানুষের কাছে ভিলেন হয়ে থাকবে নির্বাচক কমিটি ও বিসিবি।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১০:৩৬ AM
4
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

লেবেলসমূহ:
অলক কাপালী,
আশরাফুল,
এলোমেলো ভাবনাগুলো,
ক্রিকেট,
নির্বাচক,
বিশ্বকাপ,
মাশরাফই
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১১
লিব্রে অফিস ফাইনাল ভার্সন ইনস্টলেশন পদ্ধতি
অবশেষে লিব্রে অফিস ফাইনাল ভার্সন মুক্তি পেল। আমরা ব্যবহারকারীরাও আরেকটি অফিস স্যুট ব্যবহারের সুযোগ পেলাম। কথা না বাড়িয়ে দেখি কি করে ইনস্টল করা যায় পিপিএ'র মাধ্যমে ও ডাউনলোড করে।
টার্মিনালে পিপিএ যুক্ত করে ইনস্টলেশন
প্রথমেই ওপেন অফিস আনইনস্টল করে নিন। তারপর লিব্রে অফিসের পিপিএ রিপোতে যুক্ত করে আপডেট করে নিন।
আরো ভালো ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশনের জন্য নিচের দুটো লাইনের যে কোনটি টার্মিনালে চালাতে পারি:
গ্নোমের জন্য-
কেডিইর জন্য-
ওপেন অফিস রিমুভের সময় স্পেলচেকার ও ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট প্যাকেজ মুছে গিয়ে থাকতে পারে। তাই নিচের কমান্ড চালিয়ে সেগুলো ফিরিয়ে আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
ডাউনলোড করে ইনস্টলেশন
এতো গেল টার্মিনালে কি করে কমান্ড চালিয়ে লিব্রে অফিস ইনস্টল করা যায় সেটা। যদি এত কষ্ট না করতে চান তাহলেও আপনার জন্য সমাধান আছে। চলে যান লিব্রে অফিসের সাইটে এবং ডাউনলোড করে নিন প্রয়োজনীয় প্যাকেজ (ডেবিয়ান .deb বা আরপিএম .rpm)। ইচ্ছে করলে টরেন্টও নামাতে পারেন। ডাউনলোড করে এক্সট্রাক্ট করুন সুবিধামতো স্থানে। তারপর DEBS ফোল্ডারটি (আমি উবুন্টুতে ইনস্টল করেছি বলে এমন ফোল্ডার) খুঁজে বার করে রাইট ক্লিক করে টার্মিনালে খুলুন। তারপর নিচের কমান্ড চালিয়ে সব ডেবিয়ান ফাইল ইনস্টল করে ফেলুন।
এরপরে সে ফোল্ডারে ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশান নামের ফোল্ডারে ঢুকতে হবে এবং উপরের কমান্ড আবার চালাতে হবে।
আর যদি অন্য অপারেটিং সিস্টেম (ফেডোরা বা ওপেনসুয্যে) হয় তাহলে RPMS ফোল্ডারটি খুলতে হবে রাইট ক্লিকে টার্মিনাল দিয়ে। তারপর নিচের কমান্ড চালাতে হবে।
ফেডোরার জন্য:
ওপেনসুয্যের জন্য:
ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশানের জন্য:
ফেডোরার জন্য-
ওপেনসুয্যের জন্য-
এভাবে ডাউনলোডকৃত ফাইল ইনস্টল করা সম্ভব। তো আর দেরী কেন, ইনস্টল করে ফেলুন লিব্রে অফিস।
টার্মিনালে পিপিএ যুক্ত করে ইনস্টলেশন
প্রথমেই ওপেন অফিস আনইনস্টল করে নিন। তারপর লিব্রে অফিসের পিপিএ রিপোতে যুক্ত করে আপডেট করে নিন।
sudo apt-get remove openoffice*.*
sudo add-apt-repository ppa:libreoffice/ppa
sudo apt-get update
sudo apt-get install libreoffice
আরো ভালো ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশনের জন্য নিচের দুটো লাইনের যে কোনটি টার্মিনালে চালাতে পারি:
গ্নোমের জন্য-
sudo apt-get install libreoffice-gnome
কেডিইর জন্য-
sudo apt-get install libreoffice-kde
ওপেন অফিস রিমুভের সময় স্পেলচেকার ও ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট প্যাকেজ মুছে গিয়ে থাকতে পারে। তাই নিচের কমান্ড চালিয়ে সেগুলো ফিরিয়ে আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
sudo apt-get install language-support-en
ডাউনলোড করে ইনস্টলেশন
এতো গেল টার্মিনালে কি করে কমান্ড চালিয়ে লিব্রে অফিস ইনস্টল করা যায় সেটা। যদি এত কষ্ট না করতে চান তাহলেও আপনার জন্য সমাধান আছে। চলে যান লিব্রে অফিসের সাইটে এবং ডাউনলোড করে নিন প্রয়োজনীয় প্যাকেজ (ডেবিয়ান .deb বা আরপিএম .rpm)। ইচ্ছে করলে টরেন্টও নামাতে পারেন। ডাউনলোড করে এক্সট্রাক্ট করুন সুবিধামতো স্থানে। তারপর DEBS ফোল্ডারটি (আমি উবুন্টুতে ইনস্টল করেছি বলে এমন ফোল্ডার) খুঁজে বার করে রাইট ক্লিক করে টার্মিনালে খুলুন। তারপর নিচের কমান্ড চালিয়ে সব ডেবিয়ান ফাইল ইনস্টল করে ফেলুন।
sudo dpkg -i *.deb
এরপরে সে ফোল্ডারে ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশান নামের ফোল্ডারে ঢুকতে হবে এবং উপরের কমান্ড আবার চালাতে হবে।
cd desktop-integration
sudo dpkg -i *.deb
আর যদি অন্য অপারেটিং সিস্টেম (ফেডোরা বা ওপেনসুয্যে) হয় তাহলে RPMS ফোল্ডারটি খুলতে হবে রাইট ক্লিকে টার্মিনাল দিয়ে। তারপর নিচের কমান্ড চালাতে হবে।
ফেডোরার জন্য:
su -c 'yum install *.rpm'
ওপেনসুয্যের জন্য:
rpm -Uvh *.rpm
ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশানের জন্য:
cd desktop-integration
ফেডোরার জন্য-
su -c 'yum install *redhat*.rpm'
ওপেনসুয্যের জন্য-
rpm -Uvh *suse*.rpm
এভাবে ডাউনলোডকৃত ফাইল ইনস্টল করা সম্ভব। তো আর দেরী কেন, ইনস্টল করে ফেলুন লিব্রে অফিস।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৬:৩৬ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

লেবেলসমূহ:
অফিস,
উবুন্টু,
ওপেনসুয্যে,
ফেডোরা,
লিনাক্স,
লিব্রে অফিস
মুভি রিভিউ : লিভ হার টু হিভেন (১৯৪৫)
কয়দিন আগে দেখলাম একটি চমৎকার ছবি “লিভ হার টু হিভেন” (১৯৪৫)। এটি একটি রোমান্টিক ছবি। শীতের এক রাতে দেখতে বসে গেলাম। রিভিউ ভালো লিখতে পারিনা। তবুও একটা চেষ্টা চালালাম।

ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন লেখক। যাকে ভালোবেসে বিয়ে করে এক তরুণী। বিয়েটা হয় হঠাৎ করে। অনেকটা এক তরফা ভালোবাসা মনে হয় কিছু মুহুর্তে। তরুণ লেখক তার শারিরীক প্রতিবন্ধী ভাইকে প্রচন্ড ভালোবাসে। যা সহ্য করতে পারেনা তার নতুন বউ। তবুও স্বামীর সুখের কথা ভেবে বউটি অসুস্থ দেবরের সেবা করে যায়। সে তার প্রিয় লেখক স্বামীকে একান্তে পেতে চায়, কিন্তু পায়না তার লেখার ব্যস্ততায়। অবসর সময়টুকু কেটে যায় ভাইয়ের সাথে গল্প করে। দিন চলে যায়, একসময় রিচার্ড (লেখক) তার ভাইয়ের অনুরোধে তাদের পুরনো বাড়িতে ফিরে যায়। সেখানে এক সকালে গোসল করতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে মারা যায় রিচার্ডের ভাই। সাঁতারে দক্ষ এলেন (লেখকের বউ) পাশে থাকার পরেও ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না রিচার্ড। এমন সময় তার ঘরে নতুন অতিথির আগমন বার্তা ঘোষিত হয়। শোক ভুলতে শুরু করে রিচার্ড। এলেন আবার তার স্বামীকে দূরে সরে যেতে দেখে। এবার তার সময় দখল করে নিচ্ছে এলেনের সৎবোন। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এলেনের। এবার আর সহ্য করতে পারেনা রিচার্ড। সে সন্দেহ করে এলেনই তার ভাইয়ের মৃত্যু ও বাচ্চার মৃত্যুর জন্য দায়ী, এলেন তা স্বীকারও করে নেয়। রিচার্ড তাকে ছেড়ে চলে যায়। এদিকে তখন নতুন চক্রান্ত করে এলেন। সে আত্নহত্যা করে, তবে এমনভাবে ঘটনা সাজায় যাতে ফেঁসে যায় তার ছোট বোন ও স্বামী রিচার্ড। তবে শেষ পর্যন্ত ছোট বোনটি বেঁচে গেলেও দুই বছরের সাজা হয় রিচার্ডের। একসময় রিচার্ড ফিরে আসে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকা রুথ (এলেনের ছোট বোন) ফিরে পায় তার ভালোবাসা।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চল্লিশের দশকের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী Gene Tierney (Ellen), রিচার্ডের চরিত্রে Cornel Wilde এবং রুথের চরিত্রে Jeanne Crain; আপনারা ছবিটি দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। আইএমডিবি রেটিং ৭.৭, এটি অস্কার পেয়েছিল (বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি)। অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল তিনটি ক্যাটাগরিতে (বেস্ট অ্যাকট্রেস, বেস্ট আর্ট ডিরেকশান-ইন্টেরিয়র ও বেস্ট সাউন্ড রেকর্ডিং)। একটি মাস্টারপিস ছবি, কালেকশনে রাখার মতো।

ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন লেখক। যাকে ভালোবেসে বিয়ে করে এক তরুণী। বিয়েটা হয় হঠাৎ করে। অনেকটা এক তরফা ভালোবাসা মনে হয় কিছু মুহুর্তে। তরুণ লেখক তার শারিরীক প্রতিবন্ধী ভাইকে প্রচন্ড ভালোবাসে। যা সহ্য করতে পারেনা তার নতুন বউ। তবুও স্বামীর সুখের কথা ভেবে বউটি অসুস্থ দেবরের সেবা করে যায়। সে তার প্রিয় লেখক স্বামীকে একান্তে পেতে চায়, কিন্তু পায়না তার লেখার ব্যস্ততায়। অবসর সময়টুকু কেটে যায় ভাইয়ের সাথে গল্প করে। দিন চলে যায়, একসময় রিচার্ড (লেখক) তার ভাইয়ের অনুরোধে তাদের পুরনো বাড়িতে ফিরে যায়। সেখানে এক সকালে গোসল করতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে মারা যায় রিচার্ডের ভাই। সাঁতারে দক্ষ এলেন (লেখকের বউ) পাশে থাকার পরেও ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না রিচার্ড। এমন সময় তার ঘরে নতুন অতিথির আগমন বার্তা ঘোষিত হয়। শোক ভুলতে শুরু করে রিচার্ড। এলেন আবার তার স্বামীকে দূরে সরে যেতে দেখে। এবার তার সময় দখল করে নিচ্ছে এলেনের সৎবোন। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এলেনের। এবার আর সহ্য করতে পারেনা রিচার্ড। সে সন্দেহ করে এলেনই তার ভাইয়ের মৃত্যু ও বাচ্চার মৃত্যুর জন্য দায়ী, এলেন তা স্বীকারও করে নেয়। রিচার্ড তাকে ছেড়ে চলে যায়। এদিকে তখন নতুন চক্রান্ত করে এলেন। সে আত্নহত্যা করে, তবে এমনভাবে ঘটনা সাজায় যাতে ফেঁসে যায় তার ছোট বোন ও স্বামী রিচার্ড। তবে শেষ পর্যন্ত ছোট বোনটি বেঁচে গেলেও দুই বছরের সাজা হয় রিচার্ডের। একসময় রিচার্ড ফিরে আসে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকা রুথ (এলেনের ছোট বোন) ফিরে পায় তার ভালোবাসা।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চল্লিশের দশকের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী Gene Tierney (Ellen), রিচার্ডের চরিত্রে Cornel Wilde এবং রুথের চরিত্রে Jeanne Crain; আপনারা ছবিটি দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। আইএমডিবি রেটিং ৭.৭, এটি অস্কার পেয়েছিল (বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি)। অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল তিনটি ক্যাটাগরিতে (বেস্ট অ্যাকট্রেস, বেস্ট আর্ট ডিরেকশান-ইন্টেরিয়র ও বেস্ট সাউন্ড রেকর্ডিং)। একটি মাস্টারপিস ছবি, কালেকশনে রাখার মতো।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
২:৫৯ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন

লেবেলসমূহ:
মুভি,
রিভিউ,
লিভ হার টু হিভেন,
সিনেমার গল্প