Ads 468x60px

শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

বাংলাদেশের হার, আমার রিভিউ

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ শেষ হলো কিছুক্ষণ আগে। ঢাকা শহরে থেকেও মাঠে বসে খেলা দেখতে পারলাম না। টিভিতে দেখেছি, তাও তো দেখা হলো। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়তে হয়নি, ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে। খেলা পুরোটা না দেখলেও প্রায় আশি ভাগ দেখেছি। তা দেখে আমার ব্যক্তিগত মতামত লেখার দু:সাহস করছি। লিখতে বসেছি যখন তখন আর ছাড় দেব কেন, রাগ-হতাশা আশা-নিরাশা সব এখানে ঝেড়ে ফেলব।

প্রথমেই দেখলাম টস হলো, জিতলো আমাদের সাকিব-আল-হাসান। ভাবলাম হয়তো বলে উঠবে, “We are going to bat first.”। না, অবাক হয়ে শুনলাম সে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে। রাতে নাকি কুয়াশা পড়বে, তাতে সমস্যা হবে বোলারদের। তাই ফিল্ডিং। সে আরও জানালো ২৬০ এর মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে ভারতকে। পরে ধোনীকেও যখন বলতে শুনলাম সেও ফিল্ডিং নিতো তখন ভেবে নিলাম সাকিবই ঠিক। আধঘন্টা পর খেলা শুরু হলো। শফিউলের পয়লা বল শেওয়াগ মাঠের বাইরে পাঠালো সবুজ মাঠে চুমো খাইয়ে। এরপর পেসারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠলো শেওয়াগ-শচীন। বারবার মাশরাফির জন্য আফসোস হচ্ছিল তখন। কেন তার কপালে ইনজুরি জোটে ? সে থাকলে এমন বস্তাপঁচা বোলিং হয় না, ম্যাশের আড়ালে অন্য পেসাররাও ভরসা পায়। পুরো পঞ্চাশ ওভার জুড়েই বোলাররা বেদম পিটুনি খেলো ভারতের ব্যাটসম্যানদের হাতে। মার খেয়ে খেয়ে ৩৭০ রান দিয়ে বসলো। শেওয়াগ তুলে নিল এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম শতক, তাকে সঙ্গ দিয়ে বিরাত কোহলিও শতকের দেখা পেল। এমন ছন্নছাড়া বোলিং করলে সামনে বাংলাদেশ দলের কপালে খারাপী আছে এটা বেশ বুঝতে পারছি।



ব্যাটিং কিছুটা হলেও বোলিং'র দু:খ ঢেকেছে। তামিমের খোলস বন্দী হয়ে করা ৭০, সাকিবের অসময়ে তেড়েফুঁড়ে করা ৫৫, ইমরুলের অবাক করা ঝড়ো ব্যাটিং দুপুরের ক্ষতে মলমের কাজ করেছে। ভালো লেগেছে শ্রীশান্তের এক ওভারে দেয়া ২৪ রানে ইমরুলের ভূমিকা আছে দেখে। তবে রিয়াদ-নাইমের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে সেখানে অলক কাপালী থাকলে আরো কিছু রান যুক্ত হতে পারতো। রিয়াদ কোনকালেই সাত নম্বর ব্যাটসম্যান নয়, তবুও সে এই পজিশনে ব্যাট করে। আর নাইম সেই যে ছক্কা মেরে জিম্বাবুয়ের সাথে ম্যাচ জিতালো তারপর থেকে ছক্কা মারাই ভুলে গেলো। তাই লেজের দিকে যে দুর্বলতা তা ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রয়োজন কিভাবে মেটাবে বোধগম্য হলো না। তবে ২৮৩ রান খারাপ নয়। আশা করেছিলাম ৩১০-৩২০ করে আরো ভালো জবাব দেবে তারা। আফসোস ৩৫ ওভারে ২০২ হবার পরেও শেষ ১৫ ওভারে ৭ উইকেট নিয়ে ১০০ রান যোগ করতে পারলো না টেল-এন্ডাররা।



মেলা বকলাম, এবার থামি। শেষ কথা বলবো দলে আরো দুইজন হার্ডহিটার দরকার ছিল। রিয়াদ-নাইম বা রকিবুল-জুনায়েদ নামক ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ৩০০ রান চেজ করার চিন্তা অসম্ভব। তবুও ভালো খেলেছে বাংলাদেশ, সামনে আরো ভালো খেলবে এটাই প্রত্যাশা। পনের কোটি মানুষের আশা তো এমনি এমনি মিটিয়ে যাবার নয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Like us on Facebook