খবর পড়লাম আশরাফুল নাকি আজকের ম্যাচ শেষে কেঁদেছে। তার টিমমেটরাই সেটা জানিয়েছে সাংবাদিকদের। দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে বোতল-তোয়ালে টানাটানির কাজ করেছে আশরাফুল। এটা নিয়ে অনেকেই দেখলাম ব্যথিত। আশরাফুলের জায়গায় আমি থাকলেও হয়তো বিব্রত বোধ করতাম। আমি বিষয়টা অন্যভাবে দেখতে চাই।
নিউজিল্যান্ডের সাথে সফল একটা সিরিজ শেষ করে তামিম আসলেও দলে জায়গা পাবে এটা আশা করেছিল শাহরিয়ার নাফিস। নির্বাচকরা তখন কূটচালে ব্যস্ত কি করে আশরাফুলকে দলে রাখা যায়। তারা এশিয়ান গেমসে আশরাফুলকে নেতা করে পাঠাল। ভুলে গেল টি-২০ তে অন্যতম সফল খেলোয়াড় অলোক কাপালীর কথা। জাতীয় দলে জুনায়েদ-রকিবুলও থাকবে আবার আশরাফুলও থাকবে। বলির পাঁঠা বানানো হলো একটা ম্যাচও না খেলতে দেয়া জহুরুল ইসলাম অমি ও সফল ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিসকে। সমালোচনা এড়াতে দল প্রকাশ করা হলো বিলম্বে। তবুও সমালোচনা হলো এবং মাথা মোটা নির্বাচকরা নির্বিকার থাকতেই পছন্দ করলেন।
কেউ কি ভেবেছেন নাফিস, অমির হৃদয় চিরে আসা দু:খবোধের কথা ? কিংবা বারবার আশায় থাকা অলোক কাপালীর একটু সুযোগ না পাওয়ার বেদনার কথা ? তাদের কান্না পত্রিকায় আসে না, আসে আশরাফুলের কান্নার সংবাদ। অথচ কি এমন গড় এই আশরাফুলের ? নির্বাচকরা কি করে শাহরিয়ার নাফিসের মতো জিম্বাবুয়ের সাথে ৬২ গড় থাকা ব্যাটসম্যানকে বাদ দেয় ?
আমার মনে পড়ছে আকরাম - বুলবুলের কথা। তারা নির্বাচকদের ভালোবাসা কখনো পাননি। কিংবা দুর্জয়, নান্নু। সময় বড় নিষ্ঠুর। সে সময়ের কাছে ধরা খেয়ে যাচ্ছে আশরাফুল - মাশরাফি। বর্তমান বড় কঠিন, নির্বোধ ব্যাটিং কিংবা ধারহীন বোলিং দিয়ে দলে টিকে থাকা বড়ই কঠিন। হয়তো সময় হয়েছে এদের বিদায়ের, তবে তা যেন হয় সাময়িক। রফিক, পাইলটদের মতো যেন আশরাফুল- মাশরাফির করুণ বিদায় না হয়। তবে বিশ্বকাপের দলে আশরাফুলকে দেখতে চাই না। মাশরাফি থাকুক, ও আশরাফুলের মতো এতো বাজে পারফরম্যান্স দেখাবে না, এই বিশ্বাস আমার আছে।
শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১০
আশরাফুলের কান্না ও কিছু বাস্তবতা
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১১:১৪ PM
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
অলোক কাপালী,
আশরাফুল,
এলোমেলো ভাবনাগুলো,
ক্রিকেট,
শাহরিয়ার নাফিস
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন