পবিত্র ঈদ-উল-আযহা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো গরু-খাসির মাংস ঘরে ঘরে ঈদের আমেজ ধরে রেখেছে। আমার বাসায়ও তাই। ঈদ শেষ, ব্যস্ত জীবনের প্রাত্যাহিক রুটিন আবার শুরু হয়েছে। তবুও কি যেন নেই মনে হবে রাস্তায় নামলে। আমাদের যানজটের শহর ঢাকায় এখন যানবাহনের অকল্পনীয় চাপ নেই। শুরু হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। রাস্তায় নামলে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু সবসময় এমন কেন হয় না ? আমরা ইচ্ছে করলেই ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে পারি। তবে ইচ্ছেটা হতে হবে পরিকল্পিত। স্কুল-অফিসের টাইম শিডিউল পাল্টে, রাস্তায় অত্যন্ত হালকা বাস নামিয়ে, গাড়ীর লেন পাল্টে কিছুই হবে না।
কি পরিকল্পনা দরকার তাহলে ? আমি সাধারন নাগরিক হিসেবে যা মনে করি তা হলো ঢাকাতে প্রাইভেট কারের চাপ কমাতে হবে। মানুষকে অভ্যাস করতে হবে হাঁটার, প্রয়োজনে সাইকেল ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন কয়েক শ করে প্রাইভেট কার ঢাকার রাস্তায় নামছে। এটা সরকারকে বন্ধ করতেই হবে। চালু করতে হবে স্কাই রেল। আচ্ছা মানুষ প্রাইভেট কার কেন কিনছে ? স্বাচ্ছন্দে গন্তব্যে যাওয়ার জন্যই তো ? তাই যদি হয় তাহলে বিকল্প সার্ভিসগুলো এমন করতে হবে যাতে মানুষ প্রাইভেট কারে না যেয়ে পাবলিক ভেহিক্যাল ব্যবহার করে। দেশের নেতা-নেত্রীরা এসব হয়তো জানেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক চাপে তা করতে পারেন না। তবুও দেশের জন্য কিছু ত্যাগ তো করতেই হবে।
কি বলতে চেয়েছিলাম কি বলছি। নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এসব লিখতে শুরু করেছিলাম। আজকে শুনলাম এক ভদ্রলোক গাড়ী ক্রয় করা নিয়ে আরেকজনের সাথে আলাপ করছেন। তিনি মনে করেন গাড়ী কিনে লাভ নেই কারন যানজটে জ্বালানী তেল পুড়ে তার সময়ের পাশাপাশি অর্থের শ্রাদ্ধ হবে। এরচেয়ে মোটর সাইকেল ঢের ভালো। চিপা গলিতে হুট করে ঢুকে পড়া যাবে। তিনি আরো বললেন গাড়ী চালানোর রাস্তা ঢাকায় নাই, মানে রাস্তায় ইতিমধ্যেই অনেক গাড়ী। আর কতো ? সামনা-সামনি কিছু বলিনি, কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে তাকে একটা ধন্যবাদ এমন করে ভাববার জন্য। তিনি ভেবেছেন অন্তত, আর আমরা তো ভাবি না। এমন করেই যদি সরকার চিন্তা করতো !
সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০১০
যানজট ও একজনের ভাবনা
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৬:১৫ PM
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
এলোমেলো ভাবনাগুলো
4 মন্তব্য(গুলি):
তারেক আপনার পোষ্টটা পড়ে বেশ ভাল লাগলো।এটা ঠিক প্রাইভেট কারের সংখ্যা কমাতে পারলে হয়ত কিছুটা লাভ হতে পারে।তবে তার জন্য মানুষের মানুষিককতা বদলাতে হবে।অনেককেই দেখা যায় একাধিক গাড়ী কিনছে...এটা কেবলই বিলাসিতা...।
যানজট নিরসনে আপনি যে উপায়গুলো বলেছেন তা কিন্তু বেশ উপকারী।আপনার সাথে সাথে আমিও সেই ব্যাক্তিকে ধন্যবাদ জানাই যিনি মনে করেন গাড়ী কিনে লাভ নাই।
ভাল থাকবেন। :)
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
প্রথম ও একমাত্র করণীয় হচ্ছেঃ ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাইজড করা। মানুষের ঢাকামূখীতা কমানো। এজন্য সরকারী ও বেসরকারী অফিসগুলোকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যেমন কিছু মন্ত্রণালয় গাজীপুর, কিছু অফিস আরো দূরে কুমিল্লায় - এভাবে ছড়িয়ে দেয়া দরকার। তাছাড়া বেসরকারী কম্পানির অফিসগুলোকে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়া উচিৎ, এখন পর্যন্ত বানিজ্যের জন্য বাংলাদেশ চট্টগ্রামের উপর প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল। তাই সমস্ত কম্পানীর মূল অফিস চট্টগ্রামে থাকলে ব্যবসা করতেও সুবিধা। এতে করে অটোমেটিকভাবে ঐসব এলাকার উন্নয়ন হবে সেই সাথে ঢাকার উপর থেকে চাপ ও কমবে।
ঢাকায় ঈদের সময় ঘুরলেই বোধগম্য হয়ে যায় ডিসেন্ট্রালাইজড করলে কেমন হবে। এটা কেন যেন সরকার বুঝতে চায় না বা বুঝেও করতে পারছেনা। আবাসিক এলাকায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যেন না থাকে সে ব্যবস্থাও সরকারকে নিতে হবে। আশা নিয়ে বসে থাকা ছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই, মন্তব্যের ধন্যবাদ তানিম ভাই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন