লিনাক্স মিন্টে রাইট ক্লিক মেন্যুতে টার্মিনাল অপশনটি থাকে। অনেক উবুন্টু ব্যবহারকারী উবুন্টুতে এর অভাব বোধ করেন। সহজেই মাত্র একটি কমান্ডের মাধ্যমে আমরা উবুন্টুর রাইট ক্লিক মেন্যুতে এটি যোগ করতে পারি।
এজন্য Applications → Accessories → Terminal এ ক্লিক করে টার্মিনাল ওপেন করুন।
এরপর নিচের কমান্ডটি দিন।
পাসওয়ার্ড দিয়ে একটু অপেক্ষা করুন। ইনস্টলেশন শেষ হলে টার্মিনাল ক্লোজ করে লগ-আউট করুন।
লগ-ইন করে ডেস্কটপে রাইট ক্লিক করলে দেখবেন Open in Terminal অপশনটি চলে এসেছে।
সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১১
উবুন্টুর কনটেক্সট মেন্যুতে টার্মিনাল
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৬:৪৮ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১১
একটি ব্যাঙের গল্প ও আমরা
ইদানিং আমরা নিজের স্বত্তা ভুলে যাচ্ছি। অন্যকে নিয়ে মাতামাতি বেশী করছি। এই তো গত বছর ডিসেম্বর মাসে আর্মি স্টেডিয়ামে টাকার বিনিময়ে নাচানাচি করে গেলেন শাহরুখ খান, রানী মুখার্জি, অর্জুন রামপাল প্রমুখ। বাংলাদেশী দর্শকরা তাদের দেখার জন্য মাটিতে পর্যন্ত বসে পড়েছিল। এতে চাচা-কাকা জাতীয় মানুষজন ছিলেন এবং তারা মাঠে বসে এসব ভিনদেশী নাচ দেখেছেন। আমার অবাক লাগে সংক্ষিপ্ত পোষাকের মেয়েগুলোকে লুল জাতীয় পুরুষের মতো সেসব চাচারা অপলক নয়নে দেখেছেন। পাশে ভাতিজা টাইপের ছেলেগুলোও তাদের দেখছিল। লজ্জা লজ্জা, আমার লাগলেও তাদের লাগেনি। এটাই বড় লজ্জার। এখন শুনছি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আবার এরকম অনুষ্ঠান হবে ঢাকায়। তাতে নাকি আরো বড় চমক থাকবে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কাইফ, ম্যালাইকা অরোরা খান আসবেন। তাদের পোষাক কেমন হয় তা নিশ্চয় সচেতন পাঠক জানেন। গরমকালে তাদের যেমন গরম বেশী লাগে তেমনি আবার শীতকালেও তাদের গরম লাগে। তাই পোষাক সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এখন মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে তারা যদি নাভী দেখিয়ে, বুকের খাঁজ দেখিয়ে মুরুব্বিদের সামনে নাচেন এবং সাথে দর্শক সারিতে জোয়ান পোলাপানও থাকে তাহলে তা আমাদের জন্য হবে অত্যন্ত অপ্রীতিকর। সব পুরুষই এসব অভিনেত্রীরূপী নর্তকীদের দেখবে পাড়ার ইভটিজারের দৃষ্টিতে। সে ভুলে যাবে প্রিয়াঙ্কার মতোই তার একটা বোন আছে, কিংবা আছে একটা মেয়ে।
আমরা একদিকে লোকজনকে মেয়েদের কটূ কথা বলায় গালাগাল করি। আবার আমরাই ম্যালাইকা অরোরার “মুন্নি বদনাম হুয়ি তেরে লিয়ে” দেখে নিজেকে মুন্নির বদনামকারী ভাবি। দ্বৈতরূপে আমাদের জুড়ি মেলা ভার। নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে ক্যাটরিনা কাইফের “শিলা কি জওয়ানি” নিয়ে মশগুল থাকি। এসব গান না বাজালে মনে হয় জাতে ওঠা যায় না। তাই তো এসব স্বস্তা হিন্দী গান বাজাতে বাজাতে, বেসুরো গলায় গাইতে গাইতে নিজেদের জাতে তুলি।
কয়দিন আগে একজন জনপ্রিয় লেখকের একটা কলামে একটা গল্প পড়লাম। সেটা দিয়েই শেষ করি।
একটি পানশালায় একজন লোক এসে বলল সে ম্যাজিক দেখাবে। যেহেতু তার কাছে অর্থ নেই তাই ম্যাজিকের বিনিময়ে মদ চাইছে। ম্যানেজার রাজি হয়ে গেল। লোকটি একটি ইঁদুর বের করলো, টেবিলের উপর রাখতেই সে নাচতে লাগলো। ম্যানেজার খুশি হয়ে তাকে মদ দিলো। পরেরদিন সে আবার এলো, আবার ম্যাজিক। এবার সে একটি ব্যাঙ বের করলো। ব্যাঙটি গান গাইতে লাগলো। এটা দেখে এক লোক ব্যাঙটি কেনার জন্য দরদাম শুরু করলো। ভালো দামে ব্যাঙটি কিনে নিল লোকটি। ম্যাজিশিয়ানকে এবার ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করলো কেন সে গান গাওয়া ব্যাঙটি বেচে দিল ? ম্যাজিশিয়ান বললো ব্যাঙটি গান গায়নি। গেয়েছে ইঁদুরটি, ব্যাঙটি লিপসিং করেছে শুধু। তাই ব্যাঙের দাম তার কাছে নেই। সেজন্য ব্যাঙটি বেচে দিয়েছে।
এখন আমরাও মনে হয় তেমন হয়ে যাচ্ছি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে ব্যাঙই আনছি, যার আসলেই কোন মূল্য নেই।
আমরা একদিকে লোকজনকে মেয়েদের কটূ কথা বলায় গালাগাল করি। আবার আমরাই ম্যালাইকা অরোরার “মুন্নি বদনাম হুয়ি তেরে লিয়ে” দেখে নিজেকে মুন্নির বদনামকারী ভাবি। দ্বৈতরূপে আমাদের জুড়ি মেলা ভার। নিজের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে ক্যাটরিনা কাইফের “শিলা কি জওয়ানি” নিয়ে মশগুল থাকি। এসব গান না বাজালে মনে হয় জাতে ওঠা যায় না। তাই তো এসব স্বস্তা হিন্দী গান বাজাতে বাজাতে, বেসুরো গলায় গাইতে গাইতে নিজেদের জাতে তুলি।
কয়দিন আগে একজন জনপ্রিয় লেখকের একটা কলামে একটা গল্প পড়লাম। সেটা দিয়েই শেষ করি।
একটি পানশালায় একজন লোক এসে বলল সে ম্যাজিক দেখাবে। যেহেতু তার কাছে অর্থ নেই তাই ম্যাজিকের বিনিময়ে মদ চাইছে। ম্যানেজার রাজি হয়ে গেল। লোকটি একটি ইঁদুর বের করলো, টেবিলের উপর রাখতেই সে নাচতে লাগলো। ম্যানেজার খুশি হয়ে তাকে মদ দিলো। পরেরদিন সে আবার এলো, আবার ম্যাজিক। এবার সে একটি ব্যাঙ বের করলো। ব্যাঙটি গান গাইতে লাগলো। এটা দেখে এক লোক ব্যাঙটি কেনার জন্য দরদাম শুরু করলো। ভালো দামে ব্যাঙটি কিনে নিল লোকটি। ম্যাজিশিয়ানকে এবার ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করলো কেন সে গান গাওয়া ব্যাঙটি বেচে দিল ? ম্যাজিশিয়ান বললো ব্যাঙটি গান গায়নি। গেয়েছে ইঁদুরটি, ব্যাঙটি লিপসিং করেছে শুধু। তাই ব্যাঙের দাম তার কাছে নেই। সেজন্য ব্যাঙটি বেচে দিয়েছে।
এখন আমরাও মনে হয় তেমন হয়ে যাচ্ছি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে ব্যাঙই আনছি, যার আসলেই কোন মূল্য নেই।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১১:৩৬ PM
3
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
অনুষ্ঠান,
এলোমেলো ভাবনাগুলো,
বিশ্বকাপ,
সংস্কৃতি
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১১
১৫ জন ক্রিকেটার ও ৩ নির্বাচক সাথে ১ জন সমালোচক
আমরা সহজ কথা বুঝতে চাই না, বুঝলেও জল ঘোলা না করে বুঝি না। নিজের কথাই বলি, পড়ালেখা যখন করতাম তখন পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর না পেলে মনে হতো শিক্ষক মহাশয় হয়তো আমার প্রতি রুষ্ট। তাই নম্বর কম দিয়েছেন। নিজে যে পড়ায় ফাঁকি দিয়েছি সেটা বুঝতেই চাইতাম না। তরকারীতে লবণ না হলে লঙ্কাকাণ্ড না বাধিয়ে অনেকেই শান্তি পান না। রন্ধনও যে একটা শিল্প আর তা যে ত্রুটিযুক্ত হতে পারে তা বুঝতে চাই না। রাঁধুনীকে গালাগাল না করলে ভাত হজম হয় না। এসবের অবতারণা করলাম কিছু মনের কথা বলবো বলে। আমি বরাবরই বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজ-খবর রাখি। বিশ্বকাপের দল নিয়েও ছিল বিস্তর আগ্রহ। স্থানীয় মিডিয়া, সাবেক ক্রিকেটার, সাধারণ পাঠক সবাই ছিল নানান রকম বিশ্লেষণে ব্যস্ত। যার যার যুক্তিতে সবাই দল সাজিয়েছেন। আমিও বাদ যাই কেন ?
দল নাকি নির্বাচকেরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন। ঘোষণার বাকি ছিল। যাতে নাম ছিল না মাশরাফি বিন মুর্তজার। বর্তমান নির্বাচকদের চক্ষুশূল অলক কাপালী, সৈয়দ রাসেল তো বরাবরের মতোই উপেক্ষিত। তো এই দল বিসিবি অনুমোদন দিতে গিয়েই ঝামেলাটা বাধল। মাশরাফি দলে নাই, তাহলে অভিজ্ঞ অলককে নেয়া হোক। আশরাফুলের ওপরও বিসিবির ভরসা নেই, তাই সেও বাদ পড়ুক। না, নির্বাচক মন্ডলী তা হতে দিবেন না। তাহলে নাকি তারা পদত্যাগ করবেন। দুইদিন ধরে চলল ম্যারাথন মিটিং। দল ঘোষণার শেষ দিনে সকালে আশরাফুল বাদ পড়ে অলক ঢুকছেন আর নির্বাচকেরাও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ভাসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত এমনটি হয়নি। আশরাফুল বহাল তবিয়তে দলে আছেন, বেচারা অলক এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন। মাশরাফি বাদ পড়লেন ইনসজুরির অজুহাতে।
নির্বাচকেরা কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। দেখা যাক সেগুলো কি:
আশরাফুল : অভিজ্ঞতা, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স তাই সে দলে। বড় আসরের খেলোয়াড় সে।
অলক কাপালী : সে দুই বছর ধরে দলে নেই, ঘরোয়া ক্রিকেট তেমন কিছু করতে পারেনি। তাই এবার রাখলাম না।
মাশরাফি : ইনজুরি আক্রান্ত বলে ফিট নয়। তাই সে উপেক্ষিত।
যুক্তির পসরা ভালোই সাজাতে পারেন নির্বাচকেরা। আশরাফুল বড় আসরের খেলোয়াড়, এটা ঠিক অস্বীকার করছিনা। তবে বর্তমানে যারা ক্রিকেটের খোঁজ রাখেন তারা জানেন আশরাফুল আমাদের জন্য নারীদের চেয়েও যেন ছলনাময়ী। কখন তার ব্যাট কথা বলবে, কখন তিনি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবেন কে জানে! তার স্বমহিমা কি সেটাও গবেষণার বিষয় হতে পারে। এক ম্যাচ ভালো করে পরের অনেকগুলো ম্যাচ নিশ্চিত জেনে শীতনিদ্রা দেয়া নাকি ঐ যে কদাচিৎ এক ম্যাচ ভালো খেলা সেটা? ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময় ভালোই খেলে আশরাফুল, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স কখনোই ভিনদেশী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনূদিত হয়নি। তবুও তিনি বারবার একই যুক্তিতে দলে আসেন এবং আমরা হতাশ হই। নির্বাচকদের সাথে আছে মিডিয়া, তারা দোষ-গুণের মানুষ আশরাফুলকে শুধু গুণবাচক বিশেষণে বিশেষায়িত করেন। তাই জনগণের প্রবল আপত্তি ধোপে টিকে না, আশরাফুল দলে ঢোকেন আর আমরা মার্কা মারা জনগণ পাড়ায়, কলেজের ক্যান্টিনে আড্ডায় বসে সেসব নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকি। একেকজন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ কিনা!
অলক কাপালীর প্রসঙ্গে আসি। এই ছেলের ফ্যান আমি তখন থেকে যখন রেডিওতে ঢাকা লীগের খেলা প্রচার হতো। তখন অলক মনে হয় সদ্য খেলা শুরু করেছে, নিয়মিত রান করছে, উইকেট নিচ্ছে। ভাবতাম ভারতীয় নাকি। পরে তাকে ব্যাট করতে দেখি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে, টিভির পর্দায় অবশ্যই। তার ব্যাটিং সৌন্দর্যে দারুণ মুগ্ধ হয়ে যাই, তার লফটেড শট, অফ ড্রাইভ, পুল-হুক দারুণ শিহরণ জাগায় তখন। কারণ দলে এমন ছবির মতো সুন্দর ব্যাটিং কেউ করতে পারতো না। তো সেই অলক সময়ের বাঁকে পড়ে দল থেকে হারিয়ে গেল। আশরাফুল যদি বারবার সুযোগ পেতে পারে তাহলে অলক কেন নয় ? আশরাফুল ২০০৫ সালে অসিদের বিপক্ষে করা শতক দিয়ে দলে বারবার আসতে পারলে অলকের আছে ২০০৮ সালে ভারতের সাথে করা শতরান কেন বিবেচনায় আসবে না ? সেই শতরানও যে যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক ছিল তা মিডিয়াও স্বীকার করে। ম্যাচ যেতা হয়নি চারটি ক্যাচ মিস করায়, নাহয় ২৮০ এর ঘরে রান থেকেও দল হারে কি করে ? অলক নেই হয়তো তার লবিং নেই বলে, মিডিয়াও অন্ধের মতো তাকে ভালোবাসে না। একটা তথ্য দিয়ে অলককে নিয়ে কথা শেষ করছি। এবারের লীগে মোহামেডান ৩৩৯ রান করেছিল। সে রান তাড়া করে অলকের গাজী ট্যাংক। ফল কি হয়েছিল জানেন ? গাজী ম্যাচ জিতে নেয় যেখানে অলক করেন ৩৫ বলে ৬৩ রান (অপরাজিত), এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড কেউ বের করতে পারলেন না স্মৃতি হাতড়েও।
মাশরাফির ইনজুরি যেমনই হোক তাকে দলে না নেয়ায় খুব আপসেট হইনি। এমনিতেই দুই জন পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ, খেলার মাঝে যদি মাশরাফি আবার বল করতে গিয়ে পড়ে যায় ? কে হবে থার্ড সিমার ? এ উত্তর জানা নেই, তাই এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচকদের ধন্যবাদ। মাশরাফির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা।
এত কিছু বললাম, যে দল ঘোষিত হলো সেটা নিয়ে কিছু বললাম না। এটা ঠিক হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দলে ওপেনার আছেন চারজন (তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস ও জুনায়েদ সিদ্দীক)। এদের মধ্যে তামিম ও ইমরুল ওপেন করবে নিশ্চিত। তবে তিন নাম্বারে জুনায়েদ না নাফিস এই প্রশ্ন আমাকে করলে আমি নাফিসকে বেছে নিলেও সিডন্স সম্ভবত জুনায়েদকেই বেছে নিবেন। তাই নাফিসকে একাদশে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। চারে রকিবুল হাসানকে নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও সিডন্সের ভালোবাসায় সিক্ত রকিবুল অটোমেটিক চয়েস। তাই আশরাফুলকেও একাদশের বাইরে থাকতে হবে। এরপর যথারীতি সাকিব, মুশফিক, নাইম, শুভ, শফিউল, রাজ্জাক, রুবেল। এই মোটামুটি দল হতে পারে। তবে এসব প্লেয়ারদের মধ্য হতে আমি দল সাজালে নিম্নরূপ হবে:
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মো: আশরাফুল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাইম ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন। দলের বাইরে থাকবে জুনায়েদ সিদ্দীক, রকিবুল হাসান, রুবেল হোসেন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলে বৈচিত্র্য কম, অলক কাপালীর জন্য আবারো আফসোস হচ্ছে। শুভর জায়গায় সে থাকলে দলটা আরো ব্যলান্সড মনে হতো। বর্তমান দল খুব খারাপ করবেনা, আবার একদম ফাটাফাটি ফল করবে বলে মনে হয় না। তবে একাদশ নির্বাচন ও ব্যাটিং অর্ডার সাজানোয় দক্ষতার পরিচয় যদি ম্যানেজম্যান্ট দিতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়। অন্যথায় বাজে রেজাল্টের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সবশেষে শুভকামনা দলের জন্য। সকল সমালোচনা শেষ হয়ে যাবে দল ভালো করলে। আর যদি নির্বাচকদের একগুঁয়েমিতে দল খারাপ করে বসে তাহলে মানুষের কাছে ভিলেন হয়ে থাকবে নির্বাচক কমিটি ও বিসিবি।
দল নাকি নির্বাচকেরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন। ঘোষণার বাকি ছিল। যাতে নাম ছিল না মাশরাফি বিন মুর্তজার। বর্তমান নির্বাচকদের চক্ষুশূল অলক কাপালী, সৈয়দ রাসেল তো বরাবরের মতোই উপেক্ষিত। তো এই দল বিসিবি অনুমোদন দিতে গিয়েই ঝামেলাটা বাধল। মাশরাফি দলে নাই, তাহলে অভিজ্ঞ অলককে নেয়া হোক। আশরাফুলের ওপরও বিসিবির ভরসা নেই, তাই সেও বাদ পড়ুক। না, নির্বাচক মন্ডলী তা হতে দিবেন না। তাহলে নাকি তারা পদত্যাগ করবেন। দুইদিন ধরে চলল ম্যারাথন মিটিং। দল ঘোষণার শেষ দিনে সকালে আশরাফুল বাদ পড়ে অলক ঢুকছেন আর নির্বাচকেরাও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ভাসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত এমনটি হয়নি। আশরাফুল বহাল তবিয়তে দলে আছেন, বেচারা অলক এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন। মাশরাফি বাদ পড়লেন ইনসজুরির অজুহাতে।
নির্বাচকেরা কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। দেখা যাক সেগুলো কি:
আশরাফুল : অভিজ্ঞতা, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স তাই সে দলে। বড় আসরের খেলোয়াড় সে।
অলক কাপালী : সে দুই বছর ধরে দলে নেই, ঘরোয়া ক্রিকেট তেমন কিছু করতে পারেনি। তাই এবার রাখলাম না।
মাশরাফি : ইনজুরি আক্রান্ত বলে ফিট নয়। তাই সে উপেক্ষিত।
যুক্তির পসরা ভালোই সাজাতে পারেন নির্বাচকেরা। আশরাফুল বড় আসরের খেলোয়াড়, এটা ঠিক অস্বীকার করছিনা। তবে বর্তমানে যারা ক্রিকেটের খোঁজ রাখেন তারা জানেন আশরাফুল আমাদের জন্য নারীদের চেয়েও যেন ছলনাময়ী। কখন তার ব্যাট কথা বলবে, কখন তিনি স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবেন কে জানে! তার স্বমহিমা কি সেটাও গবেষণার বিষয় হতে পারে। এক ম্যাচ ভালো করে পরের অনেকগুলো ম্যাচ নিশ্চিত জেনে শীতনিদ্রা দেয়া নাকি ঐ যে কদাচিৎ এক ম্যাচ ভালো খেলা সেটা? ঘরোয়া ক্রিকেটে সবসময় ভালোই খেলে আশরাফুল, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তার ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স কখনোই ভিনদেশী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনূদিত হয়নি। তবুও তিনি বারবার একই যুক্তিতে দলে আসেন এবং আমরা হতাশ হই। নির্বাচকদের সাথে আছে মিডিয়া, তারা দোষ-গুণের মানুষ আশরাফুলকে শুধু গুণবাচক বিশেষণে বিশেষায়িত করেন। তাই জনগণের প্রবল আপত্তি ধোপে টিকে না, আশরাফুল দলে ঢোকেন আর আমরা মার্কা মারা জনগণ পাড়ায়, কলেজের ক্যান্টিনে আড্ডায় বসে সেসব নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকি। একেকজন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ কিনা!
অলক কাপালীর প্রসঙ্গে আসি। এই ছেলের ফ্যান আমি তখন থেকে যখন রেডিওতে ঢাকা লীগের খেলা প্রচার হতো। তখন অলক মনে হয় সদ্য খেলা শুরু করেছে, নিয়মিত রান করছে, উইকেট নিচ্ছে। ভাবতাম ভারতীয় নাকি। পরে তাকে ব্যাট করতে দেখি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে, টিভির পর্দায় অবশ্যই। তার ব্যাটিং সৌন্দর্যে দারুণ মুগ্ধ হয়ে যাই, তার লফটেড শট, অফ ড্রাইভ, পুল-হুক দারুণ শিহরণ জাগায় তখন। কারণ দলে এমন ছবির মতো সুন্দর ব্যাটিং কেউ করতে পারতো না। তো সেই অলক সময়ের বাঁকে পড়ে দল থেকে হারিয়ে গেল। আশরাফুল যদি বারবার সুযোগ পেতে পারে তাহলে অলক কেন নয় ? আশরাফুল ২০০৫ সালে অসিদের বিপক্ষে করা শতক দিয়ে দলে বারবার আসতে পারলে অলকের আছে ২০০৮ সালে ভারতের সাথে করা শতরান কেন বিবেচনায় আসবে না ? সেই শতরানও যে যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক ছিল তা মিডিয়াও স্বীকার করে। ম্যাচ যেতা হয়নি চারটি ক্যাচ মিস করায়, নাহয় ২৮০ এর ঘরে রান থেকেও দল হারে কি করে ? অলক নেই হয়তো তার লবিং নেই বলে, মিডিয়াও অন্ধের মতো তাকে ভালোবাসে না। একটা তথ্য দিয়ে অলককে নিয়ে কথা শেষ করছি। এবারের লীগে মোহামেডান ৩৩৯ রান করেছিল। সে রান তাড়া করে অলকের গাজী ট্যাংক। ফল কি হয়েছিল জানেন ? গাজী ম্যাচ জিতে নেয় যেখানে অলক করেন ৩৫ বলে ৬৩ রান (অপরাজিত), এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড কেউ বের করতে পারলেন না স্মৃতি হাতড়েও।
মাশরাফির ইনজুরি যেমনই হোক তাকে দলে না নেয়ায় খুব আপসেট হইনি। এমনিতেই দুই জন পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ, খেলার মাঝে যদি মাশরাফি আবার বল করতে গিয়ে পড়ে যায় ? কে হবে থার্ড সিমার ? এ উত্তর জানা নেই, তাই এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচকদের ধন্যবাদ। মাশরাফির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা।
এত কিছু বললাম, যে দল ঘোষিত হলো সেটা নিয়ে কিছু বললাম না। এটা ঠিক হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দলে ওপেনার আছেন চারজন (তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস ও জুনায়েদ সিদ্দীক)। এদের মধ্যে তামিম ও ইমরুল ওপেন করবে নিশ্চিত। তবে তিন নাম্বারে জুনায়েদ না নাফিস এই প্রশ্ন আমাকে করলে আমি নাফিসকে বেছে নিলেও সিডন্স সম্ভবত জুনায়েদকেই বেছে নিবেন। তাই নাফিসকে একাদশে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। চারে রকিবুল হাসানকে নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও সিডন্সের ভালোবাসায় সিক্ত রকিবুল অটোমেটিক চয়েস। তাই আশরাফুলকেও একাদশের বাইরে থাকতে হবে। এরপর যথারীতি সাকিব, মুশফিক, নাইম, শুভ, শফিউল, রাজ্জাক, রুবেল। এই মোটামুটি দল হতে পারে। তবে এসব প্লেয়ারদের মধ্য হতে আমি দল সাজালে নিম্নরূপ হবে:
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মো: আশরাফুল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাইম ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন। দলের বাইরে থাকবে জুনায়েদ সিদ্দীক, রকিবুল হাসান, রুবেল হোসেন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলে বৈচিত্র্য কম, অলক কাপালীর জন্য আবারো আফসোস হচ্ছে। শুভর জায়গায় সে থাকলে দলটা আরো ব্যলান্সড মনে হতো। বর্তমান দল খুব খারাপ করবেনা, আবার একদম ফাটাফাটি ফল করবে বলে মনে হয় না। তবে একাদশ নির্বাচন ও ব্যাটিং অর্ডার সাজানোয় দক্ষতার পরিচয় যদি ম্যানেজম্যান্ট দিতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায়। অন্যথায় বাজে রেজাল্টের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সবশেষে শুভকামনা দলের জন্য। সকল সমালোচনা শেষ হয়ে যাবে দল ভালো করলে। আর যদি নির্বাচকদের একগুঁয়েমিতে দল খারাপ করে বসে তাহলে মানুষের কাছে ভিলেন হয়ে থাকবে নির্বাচক কমিটি ও বিসিবি।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১০:৩৬ AM
4
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
অলক কাপালী,
আশরাফুল,
এলোমেলো ভাবনাগুলো,
ক্রিকেট,
নির্বাচক,
বিশ্বকাপ,
মাশরাফই
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১১
লিব্রে অফিস ফাইনাল ভার্সন ইনস্টলেশন পদ্ধতি
অবশেষে লিব্রে অফিস ফাইনাল ভার্সন মুক্তি পেল। আমরা ব্যবহারকারীরাও আরেকটি অফিস স্যুট ব্যবহারের সুযোগ পেলাম। কথা না বাড়িয়ে দেখি কি করে ইনস্টল করা যায় পিপিএ'র মাধ্যমে ও ডাউনলোড করে।
টার্মিনালে পিপিএ যুক্ত করে ইনস্টলেশন
প্রথমেই ওপেন অফিস আনইনস্টল করে নিন। তারপর লিব্রে অফিসের পিপিএ রিপোতে যুক্ত করে আপডেট করে নিন।
আরো ভালো ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশনের জন্য নিচের দুটো লাইনের যে কোনটি টার্মিনালে চালাতে পারি:
গ্নোমের জন্য-
কেডিইর জন্য-
ওপেন অফিস রিমুভের সময় স্পেলচেকার ও ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট প্যাকেজ মুছে গিয়ে থাকতে পারে। তাই নিচের কমান্ড চালিয়ে সেগুলো ফিরিয়ে আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
ডাউনলোড করে ইনস্টলেশন
এতো গেল টার্মিনালে কি করে কমান্ড চালিয়ে লিব্রে অফিস ইনস্টল করা যায় সেটা। যদি এত কষ্ট না করতে চান তাহলেও আপনার জন্য সমাধান আছে। চলে যান লিব্রে অফিসের সাইটে এবং ডাউনলোড করে নিন প্রয়োজনীয় প্যাকেজ (ডেবিয়ান .deb বা আরপিএম .rpm)। ইচ্ছে করলে টরেন্টও নামাতে পারেন। ডাউনলোড করে এক্সট্রাক্ট করুন সুবিধামতো স্থানে। তারপর DEBS ফোল্ডারটি (আমি উবুন্টুতে ইনস্টল করেছি বলে এমন ফোল্ডার) খুঁজে বার করে রাইট ক্লিক করে টার্মিনালে খুলুন। তারপর নিচের কমান্ড চালিয়ে সব ডেবিয়ান ফাইল ইনস্টল করে ফেলুন।
এরপরে সে ফোল্ডারে ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশান নামের ফোল্ডারে ঢুকতে হবে এবং উপরের কমান্ড আবার চালাতে হবে।
আর যদি অন্য অপারেটিং সিস্টেম (ফেডোরা বা ওপেনসুয্যে) হয় তাহলে RPMS ফোল্ডারটি খুলতে হবে রাইট ক্লিকে টার্মিনাল দিয়ে। তারপর নিচের কমান্ড চালাতে হবে।
ফেডোরার জন্য:
ওপেনসুয্যের জন্য:
ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশানের জন্য:
ফেডোরার জন্য-
ওপেনসুয্যের জন্য-
এভাবে ডাউনলোডকৃত ফাইল ইনস্টল করা সম্ভব। তো আর দেরী কেন, ইনস্টল করে ফেলুন লিব্রে অফিস।
টার্মিনালে পিপিএ যুক্ত করে ইনস্টলেশন
প্রথমেই ওপেন অফিস আনইনস্টল করে নিন। তারপর লিব্রে অফিসের পিপিএ রিপোতে যুক্ত করে আপডেট করে নিন।
sudo apt-get remove openoffice*.*
sudo add-apt-repository ppa:libreoffice/ppa
sudo apt-get update
sudo apt-get install libreoffice
আরো ভালো ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশনের জন্য নিচের দুটো লাইনের যে কোনটি টার্মিনালে চালাতে পারি:
গ্নোমের জন্য-
sudo apt-get install libreoffice-gnome
কেডিইর জন্য-
sudo apt-get install libreoffice-kde
ওপেন অফিস রিমুভের সময় স্পেলচেকার ও ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট প্যাকেজ মুছে গিয়ে থাকতে পারে। তাই নিচের কমান্ড চালিয়ে সেগুলো ফিরিয়ে আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
sudo apt-get install language-support-en
ডাউনলোড করে ইনস্টলেশন
এতো গেল টার্মিনালে কি করে কমান্ড চালিয়ে লিব্রে অফিস ইনস্টল করা যায় সেটা। যদি এত কষ্ট না করতে চান তাহলেও আপনার জন্য সমাধান আছে। চলে যান লিব্রে অফিসের সাইটে এবং ডাউনলোড করে নিন প্রয়োজনীয় প্যাকেজ (ডেবিয়ান .deb বা আরপিএম .rpm)। ইচ্ছে করলে টরেন্টও নামাতে পারেন। ডাউনলোড করে এক্সট্রাক্ট করুন সুবিধামতো স্থানে। তারপর DEBS ফোল্ডারটি (আমি উবুন্টুতে ইনস্টল করেছি বলে এমন ফোল্ডার) খুঁজে বার করে রাইট ক্লিক করে টার্মিনালে খুলুন। তারপর নিচের কমান্ড চালিয়ে সব ডেবিয়ান ফাইল ইনস্টল করে ফেলুন।
sudo dpkg -i *.deb
এরপরে সে ফোল্ডারে ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশান নামের ফোল্ডারে ঢুকতে হবে এবং উপরের কমান্ড আবার চালাতে হবে।
cd desktop-integration
sudo dpkg -i *.deb
আর যদি অন্য অপারেটিং সিস্টেম (ফেডোরা বা ওপেনসুয্যে) হয় তাহলে RPMS ফোল্ডারটি খুলতে হবে রাইট ক্লিকে টার্মিনাল দিয়ে। তারপর নিচের কমান্ড চালাতে হবে।
ফেডোরার জন্য:
su -c 'yum install *.rpm'
ওপেনসুয্যের জন্য:
rpm -Uvh *.rpm
ডেস্কটপ ইন্টিগ্রেশানের জন্য:
cd desktop-integration
ফেডোরার জন্য-
su -c 'yum install *redhat*.rpm'
ওপেনসুয্যের জন্য-
rpm -Uvh *suse*.rpm
এভাবে ডাউনলোডকৃত ফাইল ইনস্টল করা সম্ভব। তো আর দেরী কেন, ইনস্টল করে ফেলুন লিব্রে অফিস।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৬:৩৬ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
অফিস,
উবুন্টু,
ওপেনসুয্যে,
ফেডোরা,
লিনাক্স,
লিব্রে অফিস
মুভি রিভিউ : লিভ হার টু হিভেন (১৯৪৫)
কয়দিন আগে দেখলাম একটি চমৎকার ছবি “লিভ হার টু হিভেন” (১৯৪৫)। এটি একটি রোমান্টিক ছবি। শীতের এক রাতে দেখতে বসে গেলাম। রিভিউ ভালো লিখতে পারিনা। তবুও একটা চেষ্টা চালালাম।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন লেখক। যাকে ভালোবেসে বিয়ে করে এক তরুণী। বিয়েটা হয় হঠাৎ করে। অনেকটা এক তরফা ভালোবাসা মনে হয় কিছু মুহুর্তে। তরুণ লেখক তার শারিরীক প্রতিবন্ধী ভাইকে প্রচন্ড ভালোবাসে। যা সহ্য করতে পারেনা তার নতুন বউ। তবুও স্বামীর সুখের কথা ভেবে বউটি অসুস্থ দেবরের সেবা করে যায়। সে তার প্রিয় লেখক স্বামীকে একান্তে পেতে চায়, কিন্তু পায়না তার লেখার ব্যস্ততায়। অবসর সময়টুকু কেটে যায় ভাইয়ের সাথে গল্প করে। দিন চলে যায়, একসময় রিচার্ড (লেখক) তার ভাইয়ের অনুরোধে তাদের পুরনো বাড়িতে ফিরে যায়। সেখানে এক সকালে গোসল করতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে মারা যায় রিচার্ডের ভাই। সাঁতারে দক্ষ এলেন (লেখকের বউ) পাশে থাকার পরেও ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না রিচার্ড। এমন সময় তার ঘরে নতুন অতিথির আগমন বার্তা ঘোষিত হয়। শোক ভুলতে শুরু করে রিচার্ড। এলেন আবার তার স্বামীকে দূরে সরে যেতে দেখে। এবার তার সময় দখল করে নিচ্ছে এলেনের সৎবোন। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এলেনের। এবার আর সহ্য করতে পারেনা রিচার্ড। সে সন্দেহ করে এলেনই তার ভাইয়ের মৃত্যু ও বাচ্চার মৃত্যুর জন্য দায়ী, এলেন তা স্বীকারও করে নেয়। রিচার্ড তাকে ছেড়ে চলে যায়। এদিকে তখন নতুন চক্রান্ত করে এলেন। সে আত্নহত্যা করে, তবে এমনভাবে ঘটনা সাজায় যাতে ফেঁসে যায় তার ছোট বোন ও স্বামী রিচার্ড। তবে শেষ পর্যন্ত ছোট বোনটি বেঁচে গেলেও দুই বছরের সাজা হয় রিচার্ডের। একসময় রিচার্ড ফিরে আসে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকা রুথ (এলেনের ছোট বোন) ফিরে পায় তার ভালোবাসা।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চল্লিশের দশকের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী Gene Tierney (Ellen), রিচার্ডের চরিত্রে Cornel Wilde এবং রুথের চরিত্রে Jeanne Crain; আপনারা ছবিটি দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। আইএমডিবি রেটিং ৭.৭, এটি অস্কার পেয়েছিল (বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি)। অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল তিনটি ক্যাটাগরিতে (বেস্ট অ্যাকট্রেস, বেস্ট আর্ট ডিরেকশান-ইন্টেরিয়র ও বেস্ট সাউন্ড রেকর্ডিং)। একটি মাস্টারপিস ছবি, কালেকশনে রাখার মতো।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন লেখক। যাকে ভালোবেসে বিয়ে করে এক তরুণী। বিয়েটা হয় হঠাৎ করে। অনেকটা এক তরফা ভালোবাসা মনে হয় কিছু মুহুর্তে। তরুণ লেখক তার শারিরীক প্রতিবন্ধী ভাইকে প্রচন্ড ভালোবাসে। যা সহ্য করতে পারেনা তার নতুন বউ। তবুও স্বামীর সুখের কথা ভেবে বউটি অসুস্থ দেবরের সেবা করে যায়। সে তার প্রিয় লেখক স্বামীকে একান্তে পেতে চায়, কিন্তু পায়না তার লেখার ব্যস্ততায়। অবসর সময়টুকু কেটে যায় ভাইয়ের সাথে গল্প করে। দিন চলে যায়, একসময় রিচার্ড (লেখক) তার ভাইয়ের অনুরোধে তাদের পুরনো বাড়িতে ফিরে যায়। সেখানে এক সকালে গোসল করতে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে মারা যায় রিচার্ডের ভাই। সাঁতারে দক্ষ এলেন (লেখকের বউ) পাশে থাকার পরেও ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না রিচার্ড। এমন সময় তার ঘরে নতুন অতিথির আগমন বার্তা ঘোষিত হয়। শোক ভুলতে শুরু করে রিচার্ড। এলেন আবার তার স্বামীকে দূরে সরে যেতে দেখে। এবার তার সময় দখল করে নিচ্ছে এলেনের সৎবোন। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এলেনের। এবার আর সহ্য করতে পারেনা রিচার্ড। সে সন্দেহ করে এলেনই তার ভাইয়ের মৃত্যু ও বাচ্চার মৃত্যুর জন্য দায়ী, এলেন তা স্বীকারও করে নেয়। রিচার্ড তাকে ছেড়ে চলে যায়। এদিকে তখন নতুন চক্রান্ত করে এলেন। সে আত্নহত্যা করে, তবে এমনভাবে ঘটনা সাজায় যাতে ফেঁসে যায় তার ছোট বোন ও স্বামী রিচার্ড। তবে শেষ পর্যন্ত ছোট বোনটি বেঁচে গেলেও দুই বছরের সাজা হয় রিচার্ডের। একসময় রিচার্ড ফিরে আসে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকা রুথ (এলেনের ছোট বোন) ফিরে পায় তার ভালোবাসা।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চল্লিশের দশকের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী Gene Tierney (Ellen), রিচার্ডের চরিত্রে Cornel Wilde এবং রুথের চরিত্রে Jeanne Crain; আপনারা ছবিটি দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। আইএমডিবি রেটিং ৭.৭, এটি অস্কার পেয়েছিল (বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি)। অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল তিনটি ক্যাটাগরিতে (বেস্ট অ্যাকট্রেস, বেস্ট আর্ট ডিরেকশান-ইন্টেরিয়র ও বেস্ট সাউন্ড রেকর্ডিং)। একটি মাস্টারপিস ছবি, কালেকশনে রাখার মতো।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
২:৫৯ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
মুভি,
রিভিউ,
লিভ হার টু হিভেন,
সিনেমার গল্প
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১১
ওপেনসুয্যের ড্রাইভগুলো রাইট এনাবল করার উপায়
ওপেনসুয্যে ইনস্টল করার পরে এনটিএসএস ড্রাইভগুলো অটোমাউন্ট হলেও রাইট প্রটেক্টেড থাকে, যা বিরক্তিকর। এ থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায় হলো এফস্ট্যাব ফাইলটি এডিট করা। এজন্য প্রথমেই কনসোল বা টার্মিনাল খুলতে হবে। তারপর নিচের কমান্ড দিতে হবে:
kdesu kwrite /etc/fstab
পাসওয়ার্ড চাইলে দিয়ে এন্টার চাপতে হবে।
নতুন যে ফাইল খুলবে তাতে এনটিএফএস ড্রাইভগুলোর এন্ট্রির পাশে নিচের লাইনটি থাকবে,
users,gid=users,fmask=133,dmask=022,locale=en_US.UTF-8
এটি মুছে নিচের লাইনটি লিখতে হবে,
defaults,locale=en_US.UTF-8
তারপর ফাইলটি সেভ করে বেরিয়ে আসতে হবে। এরপর পিসি রিস্টার্ট করলে এনটিএফএস ড্রাইভগুলো রাইট এনাবল হয়ে যাবে।
kdesu kwrite /etc/fstab
পাসওয়ার্ড চাইলে দিয়ে এন্টার চাপতে হবে।
নতুন যে ফাইল খুলবে তাতে এনটিএফএস ড্রাইভগুলোর এন্ট্রির পাশে নিচের লাইনটি থাকবে,
users,gid=users,fmask=133,dmask=022,locale=en_US.UTF-8
এটি মুছে নিচের লাইনটি লিখতে হবে,
defaults,locale=en_US.UTF-8
তারপর ফাইলটি সেভ করে বেরিয়ে আসতে হবে। এরপর পিসি রিস্টার্ট করলে এনটিএফএস ড্রাইভগুলো রাইট এনাবল হয়ে যাবে।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৬:০১ PM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
এনটিএফএস,
ওপেনসুয্যে,
ড্রাইভ,
লিনাক্স
বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১১
আমি এখন ওপেনসুয্যে চালাই
লিনাক্সের সাথে তো অল্পদিনের পরিচয় না, পিসি কেনার পর থেকেই লিনাক্স বিষয়ক লেখা পড়ি। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার করা শুরু করি উবুন্টু 9.04 থেকে যা 10.04 এ পূর্ণতা লাভ করে। লিনাক্স মিন্টও চালাতাম এর পাশাপাশি। মাঝে শখের বশে ফেডোরা কেমন বুঝতে চেয়েছিলাম, মন কাড়তে পারেনি ফেডোরা। এখন ওপেনসুয্যে ট্রাই করছি, এখন পর্যন্ত বেশ লাগছে। কিছু সমস্যা ফেস করেছিলাম। সেগুলো কাটিয়ে উঠেছি। সমস্যাগুলো হল:
এনভিডিয়া ড্রাইভার ইনস্টলেশন, জেডাউনলোডার ইনস্টলশেন, ডেলুগ্যে ইনস্টলেশন, ফায়ারফক্সে ইউটিউবে সাউন্ড না আসা (পালস অডিও ইনস্টল করে এটা দূর করেছি) ইত্যাদি। পালস অডিও ইনস্টল করে ভিএলসি প্লেয়ারের সাউন্ড সংক্রান্ত সমস্যা চলে গেছে। ক্যাফেইনের সাউন্ডের ঝামেলা যায়নি, অসুবিধা নেই। আমি ভিএলসিতেই ভিডিও চালাই। ডেলুগ্যের সমস্যা ছিল ফায়ারওয়ালে, ফায়ারওয়াল বন্ধ করে দিতেই ঠিক। আমার এইচপি প্রিন্টারটাও বেশ চলছে। গিম্প, ওপেনঅফিস, ফায়ারফক্স দেয়াই ছিল। আমি গুগল ক্রোম, পিকাসা, পিজিন এগুলো ইনস্টল করে নিয়েছি। এখন ভালোই চলছে আমার ওপেনসুয্যে। ভার্সনটা 11.3 কেডিই। গ্নোম ট্রাই করার ইচ্ছে আপাতত নেই, কেডিই দারুণ লাগছে। বুঝতে পারছিনা ওপেনসুয্যেই আমার প্রধান অপারেটিং সিস্টেম হয়ে যায় কিনা!
এবার কয়েকটা ছবি দেই আমার ওপেনসুয্যে পাওয়ার্ড ডেস্কটপের।
(ছবি বড় করে দেখার জন্য ছবিতে ক্লিক করুন)
এনভিডিয়া ড্রাইভার ইনস্টলেশন, জেডাউনলোডার ইনস্টলশেন, ডেলুগ্যে ইনস্টলেশন, ফায়ারফক্সে ইউটিউবে সাউন্ড না আসা (পালস অডিও ইনস্টল করে এটা দূর করেছি) ইত্যাদি। পালস অডিও ইনস্টল করে ভিএলসি প্লেয়ারের সাউন্ড সংক্রান্ত সমস্যা চলে গেছে। ক্যাফেইনের সাউন্ডের ঝামেলা যায়নি, অসুবিধা নেই। আমি ভিএলসিতেই ভিডিও চালাই। ডেলুগ্যের সমস্যা ছিল ফায়ারওয়ালে, ফায়ারওয়াল বন্ধ করে দিতেই ঠিক। আমার এইচপি প্রিন্টারটাও বেশ চলছে। গিম্প, ওপেনঅফিস, ফায়ারফক্স দেয়াই ছিল। আমি গুগল ক্রোম, পিকাসা, পিজিন এগুলো ইনস্টল করে নিয়েছি। এখন ভালোই চলছে আমার ওপেনসুয্যে। ভার্সনটা 11.3 কেডিই। গ্নোম ট্রাই করার ইচ্ছে আপাতত নেই, কেডিই দারুণ লাগছে। বুঝতে পারছিনা ওপেনসুয্যেই আমার প্রধান অপারেটিং সিস্টেম হয়ে যায় কিনা!
এবার কয়েকটা ছবি দেই আমার ওপেনসুয্যে পাওয়ার্ড ডেস্কটপের।
(ছবি বড় করে দেখার জন্য ছবিতে ক্লিক করুন)
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
৮:০৬ PM
5
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
এনভিডিয়া,
ওপেনসুয্যে,
ডেস্কটপ,
লিনাক্স
বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১১
ওপেনসুয্যেতে ইনস্টল করুন সাম্প্রতিক এনভিডিয়া ড্রাইভার
ওপেনসুয্যে অপারেটিং সিস্টেমে এনভিডিয়া গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার ইনস্টল কিভাবে করতে হয় তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন, ব্যাপারটা সহজ। একটু খেয়াল করলেই খুব সহজে এনভিডিয়ার সাম্প্রতিক ড্রাইভার (প্রপ্রাইটরি) ইনস্টল করা যায়। এখন ওপেনসুয্যের 11.3 ভার্সন সাম্প্রতিক বলে সেটিতে কিভাবে এনভিডিয়া ড্রাইভার ইনস্টল করা যায় দেখব।
প্রথমেই কার্ণেল আপডেট করে নিতে হবে।
YaST → Software → Software Repositories → Add
Protocol: HTTP
Server Name: download.nvidia.com
Directory on Server: /opensuse/11.3
এভাবে তথ্যগুলো যুক্ত করে বেরিয়ে আসুন। এবার এনভিডিয়া সার্ভারকে ইনস্টলেশন সোর্স হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যার ম্যানেজম্যান্টে যেতে হবে।
YaST → Software → Software Management
আপনার কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিলেক্ট হয়ে যাবে। নিচের যেকোন একটি প্যাকেজ হতে পারে,
a) x11-video-nvidia + nvidia-gfx-kmp-(kernel_flavor)
b) x11-video-nvidiaG01 + nvidia-gfxG01-kmp-(kernel_flavor)
c) x11-video-nvidiaG02 + nvidia-gfxG02-kmp-(kernel_flavor)
অতিরিক্ত কোন প্যাকেজ সিলেক্ট না হলে বুঝতে হবে আপনার কার্ড ড্রাইভার সাপোর্ট করছেনা। এজন্য কার্ণেল কম্পাইল করতে হবে। আমি সেদিকে যেতে চাচ্ছি না, অনেকের জন্য তা সমস্যার কারণ হতে পারে।
এবার বরাবরের মতো প্যাকেজগুলো ইনস্টলের জন্য অনুমতি দিয়ে অপেক্ষা করুন, ইয়াস্ট (YaST) সাম্প্রতিক ড্রাইভার ইনস্টল করে নেবে। তারপর পিসি রিস্টার্ট করে গ্রাফিক্সের মজা উপভোগ করুন।
প্রথমেই কার্ণেল আপডেট করে নিতে হবে।
YaST → Software → Software Repositories → Add
Protocol: HTTP
Server Name: download.nvidia.com
Directory on Server: /opensuse/11.3
এভাবে তথ্যগুলো যুক্ত করে বেরিয়ে আসুন। এবার এনভিডিয়া সার্ভারকে ইনস্টলেশন সোর্স হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যার ম্যানেজম্যান্টে যেতে হবে।
YaST → Software → Software Management
আপনার কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিলেক্ট হয়ে যাবে। নিচের যেকোন একটি প্যাকেজ হতে পারে,
a) x11-video-nvidia + nvidia-gfx-kmp-(kernel_flavor)
b) x11-video-nvidiaG01 + nvidia-gfxG01-kmp-(kernel_flavor)
c) x11-video-nvidiaG02 + nvidia-gfxG02-kmp-(kernel_flavor)
অতিরিক্ত কোন প্যাকেজ সিলেক্ট না হলে বুঝতে হবে আপনার কার্ড ড্রাইভার সাপোর্ট করছেনা। এজন্য কার্ণেল কম্পাইল করতে হবে। আমি সেদিকে যেতে চাচ্ছি না, অনেকের জন্য তা সমস্যার কারণ হতে পারে।
এবার বরাবরের মতো প্যাকেজগুলো ইনস্টলের জন্য অনুমতি দিয়ে অপেক্ষা করুন, ইয়াস্ট (YaST) সাম্প্রতিক ড্রাইভার ইনস্টল করে নেবে। তারপর পিসি রিস্টার্ট করে গ্রাফিক্সের মজা উপভোগ করুন।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১১:৩৬ AM
0
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
এনভিডিয়া,
ওপেনসুয্যে,
গ্রাফিক্স,
ড্রাইভার,
লিনাক্স
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১১
ওপেনসুয্যেতে জেডাউনলোডার ইনস্টলেশন পদ্ধতি
ওপেনসুয্যে লিনাক্স ঘরানার জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও উবুন্টু, ফেডোরা, লিনাক্স মিন্ট ইত্যাদির মতো অনেকেই এর সাথে পরিচিত নন। তবুও যারা কিছুদিন এটি ব্যবহার করেছে তারা জানে ওপেন সুয্যে কেমন অপারেটিং সিস্টেম। ওপেনসুয্যে প্রথমবার ইনস্টল করলে (হতে পারে এটা আপনার প্রথম লিনাক্স ওএস কিংবা উবুন্টু থেকে ওপেনসুয্যেতে এসেছেন)। কিছু কমন সফটওয়্যার ইনস্টলেশনে সমস্যা হতে পারে। যেমন ভিএলসি প্লেয়ার, ডেলুগ্যে, জেডাউনলোডার ইত্যাদি।
আজকে আমি বলবো কি করে ওপেন সুয্যেতে জেডাউনলোডার ইনস্টল করতে হবে। এটি খুব ভালো ডাউনলোড ম্যানেজার। যা র্যাপিডশেয়ার, হটফাইল, মেগাআপলোড ইত্যাদি হোস্টে আপলোড করা ফাইল সহজে প্রিমিয়াম একাউন্ট ছাড়া ডাউনলোড করতে পারে। উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স সকল সিস্টেমেই এটি ব্যবহার করা যায়। প্রথমেই ডাউনলোড করে নিন এই (jd.sh) ফাইলটি। তারপর সেটি সুবিধামত জায়গায় রেখে টার্মিনাল চালু করুন। রুটে যান
# su
Password: (পাসওয়ার্ড দিন এবং এন্টার চাপুন; ঠিক হলে রুটে প্রবেশ করবেন)
টার্মিনালে যে ফোল্ডারে ডাউনলোডকৃত ফাইলটি রেখেছেন সেই ফোল্ডারে যান। তারপর নিচের কমান্ডগুলো পর্যায়ক্রমে দিন।
# chmod +x jd.sh
# start jd.sh
অথবা
#sh jd.sh
আপডেট প্রক্রিয়া শুরু হবে, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ইন্টারনেটের গতি ভালো না হলে সময় লাগতে পারে। আপডেটের পরে শুরু হবে ইনস্টলেশন, প্রয়োজনীয় বাটনে (OK, yes) ক্লিক করে ইনস্টল শেষ করুন। এরপর jd.sh ফাইলটি যে ফোল্ডারে জেডাউনলোডার ইনস্টল হয়েছে সেখানে কপি করে পেস্ট করে দিন। এরপর ফাইলটি চালালেই জেডাউনলোডার চালু হয়ে যাবে।
নিচের লিঙ্ক থেকে ফাইলটি ডাউনলোড করুন ,
jd.sh
আশা করি জেডাউনলোডার কিভাবে ওপেন সুয্যেতে ইনস্টল করতে হবে বুঝতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে অন্য কোন টিউটোরিয়াল নিয়ে হাজির হবার আশা রাখি, সে পর্যন্ত হ্যাপি ডাউনলোডিং।
আজকে আমি বলবো কি করে ওপেন সুয্যেতে জেডাউনলোডার ইনস্টল করতে হবে। এটি খুব ভালো ডাউনলোড ম্যানেজার। যা র্যাপিডশেয়ার, হটফাইল, মেগাআপলোড ইত্যাদি হোস্টে আপলোড করা ফাইল সহজে প্রিমিয়াম একাউন্ট ছাড়া ডাউনলোড করতে পারে। উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স সকল সিস্টেমেই এটি ব্যবহার করা যায়। প্রথমেই ডাউনলোড করে নিন এই (jd.sh) ফাইলটি। তারপর সেটি সুবিধামত জায়গায় রেখে টার্মিনাল চালু করুন। রুটে যান
# su
Password: (পাসওয়ার্ড দিন এবং এন্টার চাপুন; ঠিক হলে রুটে প্রবেশ করবেন)
টার্মিনালে যে ফোল্ডারে ডাউনলোডকৃত ফাইলটি রেখেছেন সেই ফোল্ডারে যান। তারপর নিচের কমান্ডগুলো পর্যায়ক্রমে দিন।
# chmod +x jd.sh
# start jd.sh
অথবা
#sh jd.sh
আপডেট প্রক্রিয়া শুরু হবে, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ইন্টারনেটের গতি ভালো না হলে সময় লাগতে পারে। আপডেটের পরে শুরু হবে ইনস্টলেশন, প্রয়োজনীয় বাটনে (OK, yes) ক্লিক করে ইনস্টল শেষ করুন। এরপর jd.sh ফাইলটি যে ফোল্ডারে জেডাউনলোডার ইনস্টল হয়েছে সেখানে কপি করে পেস্ট করে দিন। এরপর ফাইলটি চালালেই জেডাউনলোডার চালু হয়ে যাবে।
নিচের লিঙ্ক থেকে ফাইলটি ডাউনলোড করুন ,
jd.sh
আশা করি জেডাউনলোডার কিভাবে ওপেন সুয্যেতে ইনস্টল করতে হবে বুঝতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে অন্য কোন টিউটোরিয়াল নিয়ে হাজির হবার আশা রাখি, সে পর্যন্ত হ্যাপি ডাউনলোডিং।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১২:৩৭ PM
2
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
ওপেন সুয্যে,
ওপেনসুয্যে,
জেডাউনলোডার,
লিনাক্স
শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১১
আমার বিশ্বকাপের দল
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য ২৩ সদস্যের দল দিয়েছে নির্বাচক কমিটি। দল দেখে খুব খারাপ মনে হয়নি। এখন আমার ইচ্ছে করছে এদের মধ্য হতে ১৫ জনকে বাছাই করতে। দেখা যাক আমি পারি কিনা।
প্রথমেই ওপেনিং স্লট। এখানে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে বাদ দেয়ার কারণই নেই। দুই জনই আমার অটোমেটিক চয়েস। তিন নম্বরে আমি চাই শাহরিয়ার নাফিসকে, তার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা, স্পিনে দক্ষতা ও বড় ইনিংস খেলার মানসিকতায় সেও আমার অটোমেটিক নাম্বার থ্রী ব্যাটসম্যান। জুনায়েদ তাই বাদ পড়ছে। চার নম্বরে আমি চাইব মুশফিকুর রহিমকে। তার ব্যাটিং টেকনিক ভালো, শুরুটা ধীরে করে ইনিংস বড় করতে পারে, প্রয়োজনে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারে। এরপরে পাঁচ নম্বরে সাকিব আল হাসান আসছে নির্দ্বিধায়। ছয় নম্বরে অলক কাপালী, আমার প্রিয় একজন ক্রিকেটার। তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, হচ্ছে। ধরে খেলার পাশাপাশি ব্যাটিং পাওয়ার প্লের সমস্যার সমাধান হতে পারে কাপালী। তাই আমার পছন্দ কাপালীকে ছয় নম্বরে। সাত নম্বরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অথবা নাইম ইসলাম। বর্তমান ফর্মে নাইম বাদ পড়ছে, টিকে যাচ্ছে রিয়াদ। প্রয়োজনে তাকে ছয়ে ও কাপালীকে সাতে নামানো যায়। আট নম্বরে আমি রাখব সোহরাওয়ার্দী শুভকে। যদি তিন পেসার নামানোর দরকার হয় তাহলে শুভ বাদ পড়বে। নয় নম্বরে মাশরাফি মুর্তজা, যার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। দশে রাজ্জাক ও এগারোয় শফিউল ইসলাম।
এরপর বাকী চারজন। একজন ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে থাকছে জুনায়েদ সিদ্দীক, মিডল অর্ডারের জন্য আশরাফুল ও রকিবুল এবং অতিরিক্ত পেসার হিসেবে থাকছে রুবেল হোসেন। আশরাফুলকে রাখব তার অভিজ্ঞতার জন্য, দলে তার জায়গা বের করা কঠিন। তবে আমি শুভর স্থলে রাখতে পারি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাওয়া এই ব্যাটসম্যানকে।
তাহলে দলটা দাঁড়াল এরকম:
তামিম ইকবাল
ইমরুল কায়েস
শাহরিয়ার নাফিস
মুশফিকুর রহিম
সাকিব আল হাসান
অলক কাপালী
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
সোহরাওয়ার্দী শুভ
মাশরাফি মুর্তজা
আব্দুর রাজ্জাক
শফিউল ইসলাম
অতিরিক্ত:
জুনায়েদ সিদ্দীক
মো: আশরাফুল
রকিবুল হাসান
রুবেল হোসেন
এর বাইরে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে থাকছে :
নাজমুল হোসেন
জহুরুল ইসলাম অমি
নাইম ইসলাম
তাহলে সংক্ষেপে দলটা কেমন হলো ? ওপেনার চার জন (তামিম, ইমরুল, নাফিস, জুনায়েদ), পেসার তিন জন (মাশরাফি, রুবেল, শফিউল), মিডল- অর্ডার ব্যাটসম্যান পাঁচ জন (সাকিব, কাপালী, রিয়াদ, আশরাফুল, রকিবুল), কিপার এক জন (মুশফিক), স্পিনার দুই জন (রাজ্জাক, শুভ)। দু:খিত ছক্কা নাইমের জন্য, তার ফর্ম ইদানিং ভালো যাচ্ছে না। আশরাফুল টিকে গেছে দুটো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতার জন্য। আমি জোর দিয়েছি ব্যাটিং এ, কারণ বিশ্বকাপে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেটাই দরকার। তবে বোলারদের উপর আস্থা রাখছি। জানি এমন দল হয়তো হবে না, তবুও ব্লগে লিখে রাখলাম। একসময় বলতে পারব বিশ্বকাপের জন্য আমারও পছন্দের একটা স্কোয়াড ছিল।
প্রথমেই ওপেনিং স্লট। এখানে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে বাদ দেয়ার কারণই নেই। দুই জনই আমার অটোমেটিক চয়েস। তিন নম্বরে আমি চাই শাহরিয়ার নাফিসকে, তার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা, স্পিনে দক্ষতা ও বড় ইনিংস খেলার মানসিকতায় সেও আমার অটোমেটিক নাম্বার থ্রী ব্যাটসম্যান। জুনায়েদ তাই বাদ পড়ছে। চার নম্বরে আমি চাইব মুশফিকুর রহিমকে। তার ব্যাটিং টেকনিক ভালো, শুরুটা ধীরে করে ইনিংস বড় করতে পারে, প্রয়োজনে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারে। এরপরে পাঁচ নম্বরে সাকিব আল হাসান আসছে নির্দ্বিধায়। ছয় নম্বরে অলক কাপালী, আমার প্রিয় একজন ক্রিকেটার। তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, হচ্ছে। ধরে খেলার পাশাপাশি ব্যাটিং পাওয়ার প্লের সমস্যার সমাধান হতে পারে কাপালী। তাই আমার পছন্দ কাপালীকে ছয় নম্বরে। সাত নম্বরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অথবা নাইম ইসলাম। বর্তমান ফর্মে নাইম বাদ পড়ছে, টিকে যাচ্ছে রিয়াদ। প্রয়োজনে তাকে ছয়ে ও কাপালীকে সাতে নামানো যায়। আট নম্বরে আমি রাখব সোহরাওয়ার্দী শুভকে। যদি তিন পেসার নামানোর দরকার হয় তাহলে শুভ বাদ পড়বে। নয় নম্বরে মাশরাফি মুর্তজা, যার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। দশে রাজ্জাক ও এগারোয় শফিউল ইসলাম।
এরপর বাকী চারজন। একজন ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে থাকছে জুনায়েদ সিদ্দীক, মিডল অর্ডারের জন্য আশরাফুল ও রকিবুল এবং অতিরিক্ত পেসার হিসেবে থাকছে রুবেল হোসেন। আশরাফুলকে রাখব তার অভিজ্ঞতার জন্য, দলে তার জায়গা বের করা কঠিন। তবে আমি শুভর স্থলে রাখতে পারি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাওয়া এই ব্যাটসম্যানকে।
তাহলে দলটা দাঁড়াল এরকম:
তামিম ইকবাল
ইমরুল কায়েস
শাহরিয়ার নাফিস
মুশফিকুর রহিম
সাকিব আল হাসান
অলক কাপালী
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
সোহরাওয়ার্দী শুভ
মাশরাফি মুর্তজা
আব্দুর রাজ্জাক
শফিউল ইসলাম
অতিরিক্ত:
জুনায়েদ সিদ্দীক
মো: আশরাফুল
রকিবুল হাসান
রুবেল হোসেন
এর বাইরে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে থাকছে :
নাজমুল হোসেন
জহুরুল ইসলাম অমি
নাইম ইসলাম
তাহলে সংক্ষেপে দলটা কেমন হলো ? ওপেনার চার জন (তামিম, ইমরুল, নাফিস, জুনায়েদ), পেসার তিন জন (মাশরাফি, রুবেল, শফিউল), মিডল- অর্ডার ব্যাটসম্যান পাঁচ জন (সাকিব, কাপালী, রিয়াদ, আশরাফুল, রকিবুল), কিপার এক জন (মুশফিক), স্পিনার দুই জন (রাজ্জাক, শুভ)। দু:খিত ছক্কা নাইমের জন্য, তার ফর্ম ইদানিং ভালো যাচ্ছে না। আশরাফুল টিকে গেছে দুটো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতার জন্য। আমি জোর দিয়েছি ব্যাটিং এ, কারণ বিশ্বকাপে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেটাই দরকার। তবে বোলারদের উপর আস্থা রাখছি। জানি এমন দল হয়তো হবে না, তবুও ব্লগে লিখে রাখলাম। একসময় বলতে পারব বিশ্বকাপের জন্য আমারও পছন্দের একটা স্কোয়াড ছিল।
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১১:৫৬ AM
1 মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১১
বাঙালীর শখ
শখের মূল্য বাঙালীর কাছে অনেক বেশী, হয়তো অন্য জাতীর কাছেও। বাঙালী ছাড়া আর কোন জাতের মানুষ কাছ থেকে দেখিনি বলে ঠিক কথা বলতে পারছিনা, আমার চোখে তাই বাঙালের শখটাই চোখে পড়লো। নিজেকে দিয়েই শুরু করি। ডেস্কটপ কম্পিউটার থাকা সত্ত্বেও ল্যাপটপ কিনেছিলাম শখ ছিলো বলে। স্বস্তা মোবাইল ফোন থাকার পরেও দামী সেট ব্যবহারের শখ ছাড়তে পারিনি বলে নোকিয়া শো-রুমে কিছু টাকা অপচয় করে এসেছি। শখে পড়ে বাংলায় লিখছি, আপাত দৃষ্টিতে এটির খরচ চোখে না পড়লেও আসলে সময়, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইড্থ অপচয় হচ্ছে। শখ আছে বলেই না বিলাস দ্রব্যের বিক্রি হচ্ছে দেশজুড়ে। আবার শখে পড়ে বাংলার তরুণ-তরুণীরা মিডিয়ায় এসে অন্য লোকের শখের কারণ হয়ে যাচ্ছে। ছেলেবেলায় জীববিজ্ঞানে পড়া বাস্তু-সংস্থানের সাথে এটির মিল আছে কিনা কে জানে, থাকলেও থাকতে পারে। আমরা বই পড়ার শখ থাকলেও বই মেলা ছাড়া সেটা স্বীকার করি না। সারা বছর হিন্দী সিনেমা, সিরিয়াল দেখে অবসর পার করি আর বই মেলা এলে খাঁটি বাঙালী সাজি। এসবই নিজেকে অন্যরকমভাবে জাহির করার শখ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় মা-বাবার শখ যতোটা কাজ করে শিক্ষার্থীর শখ যেন ততোটাই অদৃশ্য। বাপ-মা কি পড়ালেখা করবে না সন্তান ? মেডিক্যালে পড়ার আগ্রহই যদি না থাকে তবে সেখানে পড়িয়ে কি হবে ? এরচেয়ে তাকে তার ইচ্ছামতো ফ্যাশন ডিজাইনার হতে দিলে তার মনের বিকাশ ঠিকমতো ঘটতো ! এরকম অংকে পারদর্শী ছেলেকে বিবিএ পড়িয়ে তথাকথিত শিক্ষিত বানিয়ে কি লাভ হয় তা আমি বুঝি না। ঐ যে, ছেলে পাশ করলে বাপ-মা বলতে পারবে, “আমার ছেলে ডাক্তার, কতো রুগী আসে তার কাছে !” আসল কথাই হয়তো এড়িয়ে যান তারা, শখ ছিল ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন। তাই হয়েছে। সবার শখ হয়তো পূরণ হয় না, যাদের হয় তাদের কথাই বলছি। চিড়িয়াখানায় জীব-জন্তু দেখাটাও শখ, ইট-সিমেন্টের শহরে একটা পাখির ডাক শুনতে পাওয়াই যেখানে ভাগ্য সেখানে চিড়িয়াখানা আছে বলে রক্ষা। আবার ভিনদেশ থেকে নর্তক-নর্তকী এলে তাদের দেখাটাও শখ। টিকিটের দাম যাই হোক, তাদের দেখতে হবেই। তারাও জন্তু নাকি ? শখ বলে কথা।
এমনই এক শখ খেলা দেখা, দেশের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বেঁচে থাকতে দেশের মাটিতে আর কোন বিশ্বকাপ দেখা হবে কিনা সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তাই বাঙালীর এমন চেষ্টা। পুলিশের লাঠির বাড়ি, বিশেষ মহলের হুমকি-ধামকি কিছুই থামাতে পারছেনা খেলা পাগল মানুষগুলোকে। তারা টিকেট কিনেই ছাড়বে। আমার নিজেরও যে ইচ্ছে ছিল তা নয়, কিন্তু এই গোলমালে যেয়ে টিকেট না কিনে ঘরে বসে আরামসে খেলা দেখাই আমার কাছে সহজ মনে হচ্ছে। টিকেট আমাদের মতো লোকের জন্য নয়, যাদের ক্ষমতা আছে তাদের জন্য। আমরা এখানে বহিরাগত। তা বেশ, এরচেয়ে বাংলাদেশের সাফল্যই বেশী কাম্য। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ দেখতে না পারার দু:খ ভুলতে পারব দলের সাফল্যে। একসময় শখের বসে খেলা খেলাটাই এখন আমাদের মান-সম্মানের উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেও সেই শখ। ম্যালা কথা বলে ফেলেছি, কেউ যদি ভুল করে এই লেখা পড়তে যান তাহলে নষ্ট হওয়া সময়ের জন্য মাফ চাই। নাম করা কলামিস্টের লেখা পড়লেও শিক্ষনীয় না হোক বিনোদিত হওয়া যেত, আর আমি কে ? আপন মনে বকবক করা এক শখের লেখক !
এমনই এক শখ খেলা দেখা, দেশের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বেঁচে থাকতে দেশের মাটিতে আর কোন বিশ্বকাপ দেখা হবে কিনা সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তাই বাঙালীর এমন চেষ্টা। পুলিশের লাঠির বাড়ি, বিশেষ মহলের হুমকি-ধামকি কিছুই থামাতে পারছেনা খেলা পাগল মানুষগুলোকে। তারা টিকেট কিনেই ছাড়বে। আমার নিজেরও যে ইচ্ছে ছিল তা নয়, কিন্তু এই গোলমালে যেয়ে টিকেট না কিনে ঘরে বসে আরামসে খেলা দেখাই আমার কাছে সহজ মনে হচ্ছে। টিকেট আমাদের মতো লোকের জন্য নয়, যাদের ক্ষমতা আছে তাদের জন্য। আমরা এখানে বহিরাগত। তা বেশ, এরচেয়ে বাংলাদেশের সাফল্যই বেশী কাম্য। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ দেখতে না পারার দু:খ ভুলতে পারব দলের সাফল্যে। একসময় শখের বসে খেলা খেলাটাই এখন আমাদের মান-সম্মানের উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেও সেই শখ। ম্যালা কথা বলে ফেলেছি, কেউ যদি ভুল করে এই লেখা পড়তে যান তাহলে নষ্ট হওয়া সময়ের জন্য মাফ চাই। নাম করা কলামিস্টের লেখা পড়লেও শিক্ষনীয় না হোক বিনোদিত হওয়া যেত, আর আমি কে ? আপন মনে বকবক করা এক শখের লেখক !
এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
এই সময়ে
১০:২২ AM
2
মন্তব্য(গুলি)
এটি ইমেল করুন
এটি ব্লগ করুন!
X-এ শেয়ার করুন
Facebook-এ শেয়ার করুন
লেবেলসমূহ:
এলোমেলো ভাবনাগুলো,
বাঙালী,
শখ